এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিশ্ববাজার থেকে ইতালির ঋণ গ্রহণের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাবটা আগের দিন আমেরিকার শেয়ারবাজারে পড়েছিল। আর গতকাল তা বিস্তৃত হলো এশিয়ার শেয়ারবাজারে।
ইতালির বন্ডের সুদের হার বেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই দেশটির ঋণ নেওয়ার ব্যয় বৃদ্ধি প্রতিফলিত হয়েছে। এতে করে ইউরোপের অভিন্ন মুদ্রা ইউরো নিয়ে উদ্বেগের মাত্রাও বেড়ে গেছে।
এখন যদি ইতালি ১০ বছর মেয়াদি বন্ড ছেড়ে বিশ্ববাজার থেকে ঋণ নিতে চায়, তাহলে এই ঋণের জন্য দেশটিকে বার্ষিক ৭ শতাংশের বেশি হারে সুদ গুনতে হবে।
এ ৭ শতাংশ হারকে বিপজ্জনক পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্রিস, পর্তুগাল ও আয়ারল্যান্ডকেও তাদের বন্ডের সুদের হার এ পর্যায়ে উপনীত হওয়ার পর সাহায্যের জন্য হাত পাততে হয়েছিল।
গতকাল এশিয়ার প্রধান শেয়ারবাজারগুলোয় বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। ব্যতিক্রম ছিল ব্যাংকক।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য প্রতিনিধিত্বমূলক নির্দেশিকা হিসেবে খ্যাত এএসসিআই মূল্যসূচক (জাপান বাদ রেখে) সাড়ে ৩ শতাংশ পড়ে গেছে।
গতকাল টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের নিক্কি সূচক কমেছে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ। তবে এশিয়ার বড় বাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে হংকংয়ে। সেখানকার হ্যাংসেং সূচক কমেছে সোয়া ৫ শতাংশ। হংকংয়ের শেয়ারবাজারকেই ইউরোপের অর্থনীতির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত বলে বিবেচনা করা হয়।
এ ছাড়া সিউলের কসপি সূচক সাড়ে ৪ শতাংশ, সাংহাইয়ের সমন্বিত সূচক ১ দশমিক ৮০ শতাংশ, সিঙ্গাপুরের এসটি সূচক ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সিডনির এসপি সূচক ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ হারে কমেছে।
শেয়ারবাজারের নিম্নমুখী প্রবণতার বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা আবারও স্বর্ণের দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করেছেন।
এদিকে গতকালই খবর এসেছে যে বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়ার প্রভাবে অক্টোবর মাসে চীনের রপ্তানি আয় কমে গিয়েছে। যদিও গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় এ বছর অক্টোবর মাসে চীনের পণ্য রপ্তানি প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে। তবে এ বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবর মাসে চীনের রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে সাড়ে ২৪ শতাংশ ও ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।
অবশ্য একই সময়ে চীনের আমদানি বেড়েছে ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। এর ফলে অক্টোবর মাসে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার।

No comments

Powered by Blogger.