বিচ হ্যাচারির দুই কর্মকর্তাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা-শেয়ার আত্মসাৎ

সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার আত্মসাৎ করার দায়ে বিচ হ্যাচারির কোম্পানি সচিব নূর ইসলামকে ১৫ লাখ ও কম্পিউটার অপারেটর মোঃ আবদুল আলিমকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত সেপ্টেম্বরে এ জরিমানা করা হয়েছে বলে এসইসি সূত্র জানিয়েছে। সম্প্রতি এ জরিমানার তথ্য প্রকাশ করেছে এসইসি। তবে তারা কেউই জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেননি।


প্রসঙ্গত, বোনাস লভ্যাংশ হিসেবে প্রাপ্য ২১ হাজার বোনাস শেয়ার কিছু সংখ্যক সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ না করে কোম্পানি সচিব নূর ইসলাম ও শেয়ার বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ আবদুল আলিম পারস্পরিক যোগসাজশের মাধ্যমে বিক্রি করেন। শেয়ার বিক্রির ওই অর্থ তারা দু'জন ভাগ করে নেন। গত বছরের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক তদন্তে এ অভিনব শেয়ার জালিয়াতির তথ্য উদ্ঘাটিত হয়। গত ১৪ জুন এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সমকালে প্রকাশিত হয়।
ডিএসইর তদন্তে কোম্পানি সচিব নূর ইসলাম ও কম্পিউটার অপারেটর মোঃ আবদুল আলিম শেয়ার জালিয়াতির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন। ডিএসইর কাছে এক লিখিত স্বীকারোক্তিতে কোম্পানি সচিব জানান, তিনি প্রায় ১৫-২০ শেয়ারহোল্ডারের বোনাস শেয়ার কোম্পানির শেয়ার ডিপার্টমেন্টের কম্পিউটার অপারেটর আলিমের এসইসিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিও হিসেবে পাঠান। ওই বিও হিসাবটির অথরাইজড পারসন ছিলেন নূর ইসলাম। লিখিতভাবে নূর ইসলাম তার দায় স্বীকার করেন।
বিচ হ্যাচারির এ দুই কর্মকর্তার অবৈধ কর্মকাণ্ড এসইসি অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ১৭(এ) ধারার লঙ্ঘন। এসইসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, অপরাধ স্বীকার করায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে। তবে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিরুদ্ধে এ কারসাজিতে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের জরিমানা ও সতর্ক করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউস এসইসিএল সিকিউরিটিজকে সতর্ক করা হয়েছে।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ জানান, কারসাজিতে যুক্তরা কেউই জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেননি। তবে জরিমানা মওকুফের আবেদন করেছেন। আবেদনটি পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে বাতিল হলে জরিমানা আদায়ে উভয়ের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.