সিলেটে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে সিলেটে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছিল ব্যবসায়ীদের। নগরের বেশির ভাগ দোকানপাটই হরতালের কারণে খোলেনি। সকাল ৮টায় ‘আমরা সিলেটবাসী’র আহ্বায়ক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ১০-১২ জন হরতাল সমর্থক মধুবন মার্কেটের সামনে অবস্থান নেন। পরে পৌনে ৯টায় মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রকিব চৌধুরীর ৩০-৪০ জন ছেলে মিছিল নিয়ে মধুবন সুপার মার্কেটের সামনে আসেন। এর পর সবাই হরতালের সমর্থনে মিছিল নিয়ে জিন্দাবাজারে এসে সমাবেশে মিলিত হন। সমাবেশে বক্তব্য দেন আবদুর রাজ্জাক, ছাত্রদল নেতা মাহবুব চৌধুরী। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা মঈন উদ্দিন সুহেল, এমদাদ চৌধুরী, যুবদল নেতা মামুনুর রশিদ, কামরুল হাসান চৌধুরী শাহিন, সাদিকুর রহমান সাদিক, ছাত্রদল নেতা হুমায়ুন কবির সুহিন আহমদ, নজরুল ইসলাম, আবদুল মজিদ প্রমুখ। এ সময় সংগঠনের নেতাকর্মীরা সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং চালিয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা বিরতির পর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তারা ফের নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকাস্থ মধুবন মার্কেটের সম্মুখে অবস্থান নেন আমরা সিলেটবাসী নামে সংগঠনের নেতারা। বিকাল পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করেন। এ সময় আমরা সিলেটবাসী সংগঠনের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, হরতালের সিলেটে শতভাগ সমর্থন ছিল। এ কারণে সিলেটে লোকজন নিজ উদ্যোগে হরতাল কর্মসূচি পালন করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের পিকেটিং না করতে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু তবু আমরা মাঠেই আছি। আমাদের সঙ্গে সিলেটের মানুষজনও মাঠে ছিল। সমাবেশে আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হকের নাম চার্জশিট থেকে বাদ না দিলে কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন কমসূচি ঘোষণা করা হবে।
রাজ্জাকের বাসায় আগুন: সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক ও আমরা সিলেটবাসী সংগঠনের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাকের বাসায় রহস্যজনকভাবে অগ্নিকা- ঘটেছে। আগুনে কাঠের আলমারি, এলটিডি টিভি, সোফা ও অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে যায়। সিলেট নগরীর রায়নগর এলাকায় রাসোস ৬০ নং বাসায় রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বাসার ড্রয়িং রুমের জানালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তিনি ও পরিবারের অন্য সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। তাই বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি।
বিকালে সমাবেশ: হরতাল চলাকালে গতকাল সোমবার নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক ও ‘আমরা সিলেটবাসী’র সভাপতি আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও সিলেট ল’ কলেজের ভিপি মাহবুবুল হক চৌধুরীর পরিচালনায় বিকালে সমাবেশ হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট নুরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল গফফার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, সদস্য নাসিম হোসাইন, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সদস্য সচিব শামীম সিদ্দিকী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক, নজিবুর রহমান নজিব, কামরুল হাসান শাহীন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহীন, আমির হোসেন, রিপন আহমদ, মোস্তফা মেহেদী হাসান, এ কে এম তারেক কালাম, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সুরমান আলী, মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান পুতুল, আবদুস সাত্তার মামুন, দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সাইফুল হাসান সুহেব, লল্লিক আহমদ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সোহাদ রব চৌধুরী, আল মামুন খান, আবদুস সামাদ তুহেল, রিপন আহমদ,  সোহেল আহমদ, আবদুল মজিদ, দেলোয়ার হোসেন দারা, অর্জুন ঘোষ, কামরুজ্জামান দিপু, এখলাস মুন্না, নাজিম উদ্দিন পান্না, আবদুর রউফ, রজব আহমদ, হুমায়ুন কবির সুহিন, কল্লোল জ্যোতি বিশ্বাস জয়, রকিবুল হাসান রাসেল, খন্দকার ফয়েজ আহমদ, সিহাব খান, রুমু আহমদ, সুমেল আহমদ চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম পান্না, নজরুল ইসলাম, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, দেলোয়ার হোসেন দিনার, জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুল আহাদ সুমন, আকাব আহমদ পলাশ, দিলদার হোসেন শামীম, আফজাল হোসেন, আহমদ শাহীন, ফজলুল হক রাজু, এলিম শেখ প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.