জাপানের অর্থনীতিতে আবার মন্দা

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অপ্রত্যাশিতভাবে ফের সংকোচনের মুখে পড়েছে জাপানের অর্থনীতি। ফলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে আবারও দেখা দিয়েছে মন্দা।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে গেছে। যদিও ওই সময়ে জিডিপি ২ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছিল।
এ নিয়ে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ সংকোচনের মুখে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। দেশটিতে ২০১১ সালে ভূমিকম্প ?ও সুনামির পর এবারই সবচেয়ে বেশি মন্দা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, দুর্বল অর্থনীতির কারণে জাপান সরকারের বিক্রয় কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আরও বিলম্বিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্র“তি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জাপানের ক্ষমতায় ফেরার প্রায় দুবছরের মাথায়ই এ মন্দা দেখা দিল।
অর্থনীতিবিদরা আশা করছিলেন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে। কিন্তু বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এসে অর্থনীতি আগের তুলনায় আরও ০ দশমিক ৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। ব্যক্তিগত ভোগপণ্য ক্রয় এবং রফতানি কমে যাওয়ায় অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে ঋণের বোঝা কমানোর লক্ষ্যে বিক্রয় কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পেছাতে প্রধানমন্ত্রী আবে মধ্যবর্তী নির্বাচন ডাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী বছর অক্টোবরে দ্বিতীয় দফায় বিক্রয় কর বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর আগে গত এপ্রিলে প্রথম দফায় বিক্রয় বাড়িয়ে ৫ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ করেছিল সরকার। এতে করে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যায়। অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব এখনও কাটেনি।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে আরও কমে যাওয়ায় এখন কর আবার বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জাপানের অর্থনীতি মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং বছরের শেষ দিকে এসে তা আরো সংকুচিত হওয়ায় এখন কর বাড়ানো দেরি করার বিষয়টিতে ভোটারদের রায় নেয়ার সময় এসেছে। ডিসেম্বরে মধ্যবর্তী একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তা করা যেতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.