সাক্ষাৎকার-দোষীরা শাস্তি পাবেই by সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন

সাক্ষাৎকার গ্রহণ :আবু হেনা মুহিব তাজরীন ফ্যাশনের ভয়াবহ অগি্নকাণ্ডে শোকার্ত-স্তম্ভিত গোটা দেশ। বাংলাদেশের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানের পোশাকের ক্রেতা দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ। সবার প্রশ্ন_ শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? বিশ্বের শীর্ষ পোশাক রফতানিকারক দেশের অবস্থান ছিনিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ যখন আমাদের সামনে, তখনই ঘটল এ বিপর্যয়।
কীভাবে এ থেকে উত্তরণ ঘটানো যাবে, সে বিষয়ে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং পোশাকশিল্প মালিক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন


বাংলাদেশ তৈরি পোশাক ও রফতানিকারক সংস্থা বিজিএমইএ দেশ-বিদেশে সুপরিচিত সংগঠন। সত্তরের দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশে এ শিল্পের যাত্রা শুরু। শুরুটা ছিল 'অপ্রচলিত পণ্য' রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের ছোট সংগঠন। প্রধান রফতানি পণ্য ছিল পাট, চা, চামড়া ইত্যাদি। ক্রমে এই তৈরি পোশাকই উদ্যোক্তাদের চেষ্টায় পরিণত হয় প্রধান রফতানি পণ্যে। রফতানি আয়ের সিংহভাগ আসে এখন তৈরি পোশাক থেকে। সংগঠিত শিল্প শ্রমিকদের প্রধান অংশও জড়িত এ শিল্পে, যাদের সিংহভাগ নারী। এ শিল্পের যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে বিজিএমইএ। বর্তমানে এ সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের পর তিনি এ শিল্পে জড়িত হয়ে পড়েন। তিনি ওনাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ফ্রান্স-বাংলাদেশ চেম্বারের সদস্য। খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তিনি পরিচিত। মোহামেডান ক্লাবের সক্রিয় সংগঠক ছাড়াও রয়েছেন রাগবি ফেডারেশনে


সমকাল : তাজরীন ফ্যাশনে অগি্নকাণ্ডের ঘটনায় এযাবৎ কী উদ্যোগ নিয়েছে বিজিএমইএ?
মহিউদ্দিন : আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনেরা এই শিল্পের প্রাণ। শ্রমিক ভাই-বোন এবং উদ্যোক্তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় আজ পোশাকশিল্প ২০ বিলিয়ন ডলারের শিল্পে পরিণত হয়েছে। আজ বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগামী পাঁচটি দেশের মধ্যে এসেছে, তার কৃতিত্বের দাবিদার আমাদের পোশাকশিল্পের শ্রমিকরাই। এই অগি্নকাণ্ডের ঘটনায় আমরা মর্মাহত। যারা নিহত হয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনা যাবে না। তারপরও আমরা নিহতদের পরিবারপ্রতি ১ লাখ টাকা দেওয়া, তাদের লাশ গ্রামের বাড়ি পেঁৗছানো এবং আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া সরকার এবং বায়ারদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নিহতদের প্রতি পরিবারকে যথাসম্ভব সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সরকারের দুটি তদন্ত কমিটির বাইরে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব আমরা। দোষীরা শাস্তি পাবেই।
সমকাল : তাজরীন ফ্যাশনে অগি্নকাণ্ডে বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, আগুন লাগার পর সিঁড়ি দিয়ে নামতে গেলে নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের বাধা দিয়েছিল। সব ফ্লোরে গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মহিউদ্দিন : আমি যতদূর জেনেছি কোনো গেটে তালা দেওয়া হয়নি। ছাদ পর্যন্ত সব ফ্লোরের যাওয়ার পথ খোলা ছিল। তারপরও শ্রমিকরা ছাদে যায়নি। ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠার পর কেন, কারা শ্রমিকদের বের হতে বাধা দিয়েছিল, তা নাশকতা না কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ_ এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কাজ চলছে।
সমকাল : কিন্তু কোনো তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়াই আপনারা নাশকতার কথা বলছেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন কিসের ভিত্তিতে?
মহিউদ্দিন : তাজরীনসহ গত বছর অগি্নকাণ্ডের শিকার হওয়া 'হা-মীম' ও 'গরীব এন্ড গরীব'_ এগুলোর প্রত্যেকটিই অত্যাধুনিক বড় কমপ্লায়েন্ট কারখানা। কেন এসব কারখানাতেই বড় বড় অগি্নকাণ্ড ঘটছে, তা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। এর মধ্যে গত সোমবার দেবোনিয়া ফ্যাশন কারখানায় আগুন ধরাতে গিয়ে জাকির হোসেন এবং সুমী বেগম নামে দুই শ্রমিক পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। গত সোমবার দক্ষিণখানের মোল্লারটেকে সোয়ান গার্মেন্টের গোডাউনে অগি্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব আসলে নাশকতারই আলামত। তৈরি পোশাকশিল্প খাতের প্রধান রফতানিকারক দেশ চীনের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফর করছেন। আগামী মাসে বাটেক্সপো মেলায় ৪০টি ব্র্যান্ড অংশ নিচ্ছে। এ অবস্থায় পোশাকশিল্পকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় পর্যায়ে ষড়যন্ত্র এবং শিল্পকে অস্থিতিশীল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানো সম্ভব। এ বিষয়গুলো তলিয়ে দেখতে হবে।
সমকাল : কোনো দুর্ঘটনা হলে তদন্ত কমিটি গঠন এক ধরনের কৌশল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব প্রতিবেদন শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখে না। অভিযুক্তরা শাস্তি পেয়েছেন_ এমন নজিরও খুব বেশি নেই।
মহিউদ্দিন : বিজিএমইএ এই অভিযোগ থেকে মুক্ত। কারণ, আমরা ইতিপূর্বেকার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিয়েছি। কিন্তু বুঝতে হবে বিজিএমইএ ল' এনফোর্সিং এজেন্সি নয়। সাধ্যমতো সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি আমরা।
সমকাল : তাজরীন ফ্যাশন কারখানাটি কমপ্লায়েন্ট ছিল না। বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট তাদের গ্রিন থেকে অরেঞ্জে নামিয়ে দিয়ে উন্নত করার সময় দিয়েছে। এর মধ্যেই দুর্ঘটনা।
মহিউদ্দিন : ছোটখাটো কিছু ত্রুটি ছিল তাজরীন ফ্যাশনে। তবে এটি কমপ্লায়েন্ট কারখানা। এ কারণেই বড় ক্রেতারা এখানে রফতানি আদেশ দিয়েছে। আর কমপ্লায়েন্সের একক কোনো সূচক নেই। দেশভেদে, ক্রেতাভেদে এর কমপ্লায়েন্স ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে এই ইস্যুতে আমাদের অবশ্যই আরও মনোযোগ দিতে হবে।
সমকাল : ইতিমধ্যে তাজরীন ফ্যাশনের রফতানি আদেশ বাতিল করেছে প্রধান ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।
মহিউদ্দিন : এখনই এ ধরনের সিদ্ধান্ত অমানবিক। অন্তত চলতি কাজগুলো শেষ করার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দিলে শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সমকাল : এই দুর্ঘটনা পোশাক খাতে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে? এর আগে শ্রমিক নেতা হত্যা ও আশুলিয়ার শ্রমিক অসন্তোষ_ এসব পোশাক খাতে 'মেইড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ইমেজ' ক্ষুণ্ন করেছে।
মহিউদ্দিন : কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব তো পড়বেই। তবে আমি মনে করি না দু'একটা দুর্ঘটনায় আমাদের সব অর্জন ম্লান হয়ে যাবে। কারণ, আমাদের শ্রমিক আর উদ্যোক্তাদের শ্রমে-ঘামে গড়া ওঠা পোশাকশিল্প এবং গুণগত মানে উত্তীর্ণ পোশাক পণ্যই তার বড় শক্তি। তাছাড়া ক্রেতারা এ দেশের পোশাক নিচ্ছেন, মানে ব্যবসা করছেন; কোনো রকম চ্যারিটি নয় এটি। তৈরি পোশাকের বিশ্ববাজারে কঠিন প্রতিযোগিতা করেই বাংলাদেশ এ খাতের এখন দ্বিতীয় প্রধান রফতানিকারক দেশ। সুতরাং দু'একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনায় আমাদের ব্র্যান্ড ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়ে যাবে না।
সমকাল :অগি্নকাণ্ড রোধে বিজিএমএর এযাবৎ উদ্যোগ কী?
মহিউদ্দিন : ১৯৯৭ সালে বিজিএমইএতে একটি স্থায়ী ফায়ার সেফটি সেল গঠন করা হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ সেলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। বিভিন্ন পোশাকশিল্প কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগি্ন প্রতিরোধ, অগি্ন নির্বাপণ, প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি উদ্ধার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা এ সেলের প্রধান কাজ। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিক-কর্মচারীকে এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি এ সেলের কর্মকর্তারা নিয়মিত কারখানাগুলো পরিদর্শন, কারখানা কর্তৃপক্ষকে অগি্ন নিরাপত্তা বিষয়ে পরামর্শ প্রদান ও কারখানায় নিয়মিত বহির্গমন মহড়া পরিচালনা করে থাকেন। এছাড়াও কারখানায় অগি্ন নিরাপত্তা বিষয়ে অধিক সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য বিজিএমইএ থেকে প্রতিটি কারখানায় অগি্ন নিরাপত্তা বিষয়ক হ্যান্ডবুক, পোস্টার, স্লোগান, লিফলেট, ভিসিডি ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ কার্যক্রম বিষয়ে বাংলাদেশভিত্তিক পোশাকশিল্পের ১৯টি বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়েছে। এ ধরনের আরও কর্মসূচি আছে আমাদের।
সমকাল : কিন্তু এসব উদ্যোগের কোনো
সুফল নেই...
মহিউদ্দিন : এসব উদ্যোগের কারণে অগি্নকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনা কমেছে। ১৯৯০ সাল থেকে এ শিল্পে সংঘটিত মোট ২১৪টি অগি্ন দুর্ঘটনায় ২৫টি কারখানার ৩৮৮ জন শ্রমিক-কর্মচারী নিহত হয়েছেন। বিজিএমইএ ২০০১, ২০০৬ এবং ২০১০ সালে মোট তিনটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিয়েছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পোশাকশিল্পে অগি্ন দুর্ঘটনার হার অনেক কমেছে। যদিও ২০১০ সালে গাজীপুরের গরীব এন্ড গরীব সোয়েটার কারখানা এবং আশুলিয়ার হা-মীম গ্রুপের কারখানায় সংঘটিত অগি্ন দুর্ঘটনায় ৫০ জন শ্রমিক শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এবং সর্বশেষ তাজরীন ফ্যাশন কারখানায় ১১৩ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন।
সমকাল :শ্রমমন্ত্রী বলেছেন, কমপ্লায়েন্ট না হলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। টক শোতে বিজিএমইকে এক রকম কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। আপনি কী বলবেন?
মহিউদ্দিন :আমি মাননীয় মন্ত্রীর সঙ্গে একমত। কোনো কারখানা ঝুঁকি নিয়ে চলতে পারে না। শতভাগ কমপ্লায়েন্ট না হলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তবে বিজিএমইএর সীমাবদ্ধতা এবং দেশের প্রেক্ষাপট আমাদের বুঝতে হবে। গঠনমূলক সমালোচনায় আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সেখান থেকে আমরা শোধরাবো।
সমকাল : যত্রতত্র পোশাক কারখানা গড়ে ওঠাকে অগি্নকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হয়। গার্মেন্ট পল্লীর কতদূর?
মহিউদ্দিন : এ বিষয়ে বহু দেন-দরবার হয়েছে সরকারের সঙ্গে। আমাদের আদমজী দেওয়ার কথা বলে বাজারমূল্য থেকে কয়েক গুণ বেশি দাম ধরা হয়েছে। আবারও দেওয়ার কথা বলা হলো, সব কিছু ঠিকঠাক, একনেকে এসে বাদ হয়ে গেল। এরপরও মুন্সীগঞ্জের বাউশিয়ায় ৪০০ একর জায়গার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি নেই। আমার মনে হয় আগামী ২০ বছরেও এ গার্মেন্ট পল্লী হবে না।
সমকাল : 'ক্লিন ক্লথ ক্যাম্পেইন' নামে বাংলাদেশবিরোধী ধারণা ইউরোপজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে শোনা যাচ্ছে...
মহিউদ্দিন : আমি মনে করি, একটা ছোট দেশ, আমাদের কাঁচামাল নেই, অবকাঠামো নেই, বলতে গেলে কিছু নেই। এ রকম দুর্বল অবস্থান নিয়ে কিছু সাহসী উদ্যোক্তা সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে পোশাক খাতের বিশ্ববাজারে দ্বিতীয় প্রধান রফতানিকারক দেশ_ এটা অনেকে সহজে মেনে নিতে পারে না। এর মধ্যে দেশের কিছু পরশ্রীকাতর লোক আছে। তাদের সহযোগিতায় প্রতিযোগীরা পোশাক খাত অস্থির করতে এবং অপপ্রচারের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছে।
সমকাল : যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশ নিয়ে নতুন করে আপনার লবিং করছেন কিন্তু এই দুর্ঘটনায় এর অগ্রগতি কি আরেক দফা হোঁচট খেল?
মহিউদ্দিন : হ্যাঁ , দীর্ঘদিন ধরে লবিং চলছে। তবে এ ব্যাপারে আমি খুব বেশি আশাবাদী নই। এটা আসলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। দু'পক্ষের রাজনৈতিক ঐক্যের ভিত্তিতে আলোচনা ছাড়া এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে না। এখন অপরাপর ধনী দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিয়মিত শুল্ক কোনো কোনো ক্ষেত্রে দিয়েই আমাদের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, জাপান, ভারত আমাদের এ সুবিধা দিয়েছে।
সমকাল : আপনাকে ধন্যবাদ।
মহিউদ্দিন : সমকাল পাঠকদের ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.