চীনা শাসনের প্রতিবাদ-তিব্বতে আরো তিনজনের আত্মাহুতি

চীনা শাসনের প্রতিবাদে তিব্বতের আরো চার নাগরিক শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতির চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত তিনজনের বয়স ২০-এর কোঠায়। গণমাধ্যম ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।
চলতি মাসে এ নিয়ে ২১ জন তিব্বতি শরীরে আগুন লাগাল।
গত রবি ও সোমবার চীনের গানসু, সিচুয়ান ও কিংহাই প্রদেশে চার তিব্বতি তাদের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর মধ্যে স্যাঙ্গে দোলমাস নামের এক কিশোরী নান রবিবার মারা যায়। সোমবার মারা যান কুনচক সেরিং (১৮) ও গনপো তিয়ারিং (২৪) নামের দুই তরুণ। একই দিন সিচুয়ান প্রদেশে ওয়াং গেইল (২০) নামের এক তরুণ শরীরে আগুন লাগান। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, তিব্বতি ভাষা শেখা অপ্রাসঙ্গিক এবং গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতির চেষ্টা বোকামি_এ ধরনের বক্তব্যসংবলিত বই বিতরণের প্রতিবাদ জানিয়ে সলহো মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের এক হাজারের বেশি ছাত্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে। কিংহাই প্রদেশের গনঘি অঞ্চলে এ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।
তিব্বতিদের অধিকারবিষয়ক লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ফ্রি তিব্বতের পরিচালক স্টিফেন ব্রিগডেন বলেন, 'আমরা প্রায় প্রতিদিনই তিব্বতিদের আত্মহননের চেষ্টার খবর পাই। প্রতিবাদের অনেক শান্তিপূর্ণ উপায় রয়েছে। কিন্তু তারা তিব্বতকে চীনের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে এমন এক উপায় বেছে নিয়েছে যার পক্ষে যুক্তিও দাঁড় করানো যায় না।'
তিব্বতে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতির ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ছয় তিব্বতি তাদের গায়ে আগুন লাগিয়েছে। এ ছাড়া ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ৮৫ জন তিব্বতি শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতির চেষ্টা চালিয়েছে। তাদের বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.