নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা-করাচি-কোয়েটাসহ ১২ শহরে মোবাইলের নেটওয়ার্ক বন্ধ

আশুরাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে রাজধানী ইসলামাবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি শহরে মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে গতকাল শনিবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দেরা ইসমাইল খান শহরে বোমা হামলা হয়েছে। এতে শিশুসহ সাতজন মারা গেছে। আহত হয়েছে ৩০ জন। পাকিস্তানি তালেবান হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, মোবাইল ফোনের টেওয়ার্ক বন্ধ করে সরকার তাদের রুখতে পারবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক গত শুক্রবার জানান, আশুরার দিন সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে শনি ও রবিবার (আজ) পাকিস্তানের ডজন খানে শহরে মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইসলামাবাদ, করাচি, কোয়েটা ছাড়াও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়ার কয়েকটি অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের মধ্যাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহর আছে।
সরকারের কঠোর নজরদারির মধ্যেই গতকাল দেরা ইসমাইল খানে শিয়াদের মিছিল লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। পুলিশের দাবি, দূর-নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সাহায্যে (রিমোট) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় রিমোট ব্যবহার করেছে সন্ত্রাসীরা।
হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, 'হাকিমুল্লাহ নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করে এবং শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে চান। আমি তাঁর কাছে জানতে চাই_ইসলাম ধর্মের কোথায় বলা আছে যে বোমা মেরে তুমি তোমার ভাই ও বোনকে হত্যা কর।'
আশুরার দিন পাকিস্তানজুড়ে শিয়া সম্প্রদায়ের মিছিলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আকাশপথেও নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে গতকাল প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ ও সেনাপ্রধান আশফাক পারভেজ কায়ানির সঙ্গে আলোচনা করেন।
টিটিপি মুখপাত্র ইহসানউল্লাহ ইহসান বলেন, 'মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে তালেবানকে আটকানো যাবে না।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি, ডন।

No comments

Powered by Blogger.