অপহরণের হোতা আমির নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার

শিশু পরাগ মণ্ডল অপহরণ ঘটনার অন্যতম হোতা আমির পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। কেরানীগঞ্জের দুর্ধর্ষ এ সন্ত্রাসী অপহরণ ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিল।
টঙ্গী এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল শনিবার ভোরে তাকে আটক করা হয়। এ সময় আমিরের দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি আক্তার (২৫), দুই বছরের শিশুপুত্র আবির ও গৃহকর্মী রুমি (১২) ওই বাসায় অবস্থান করছিল।
তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আমিরের দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটির ভাষ্য মতে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আমির জানালা দিয়ে অস্ত্র ও গুলি বাইরে ফেলে দেয়। দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় পুলিশ প্রথমে দরজায় গুলি করে। পরে দরজা খুলে দিলে পুলিশ ভেতরে ঢুকে চোখ বেঁধে আমিরকে গুলি করে মৃত ভেবে চলে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি বিশেষ দল দীর্ঘ নজরদারির পর গতকাল ভোরে নিশ্চিত হয়েই অভিযান চালায় টঙ্গীর তিলেরগাতি এলাকার ওই বাড়িতে। পুলিশ আমিরের হেফাজত থেকে দুটি অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তল, ৮৭ রাউন্ড গুলি ও জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে। যেভাবে গ্রেপ্তার : গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, পরাগ উদ্ধারের পর তদন্তকারীরা আমিরের সন্ধানে মরিয়া হয়ে ওঠে। অত্যন্ত ধূর্ত আমির অবস্থান ও মোবাইল ফোন বদলাতে থাকে দ্রুত। একপর্যায়ে পুলিশ রাজধানীর বাইরে দুটি স্থানে তার অবস্থানের তথ্য পেয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ শুরু করে। পরে টঙ্গী থেকে কিছু তথ্য পেয়ে তা নিশ্চিত করার জন্য নানামুখী চেষ্টা চালায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিবি কর্মকর্তারা পর্যাপ্ত প্রমাণ নিয়ে আমিরকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন। শনাক্তের জন্য নেওয়া হয় কেরানীগঞ্জের পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামকে। পরাগ অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলামকে নিয়ে ডিবি পুলিশের (দক্ষিণ) দল শুক্রবার রাতে টঙ্গীতে অবস্থান নেয়। রাত গভীর হওয়ার পর তারা অভিযান শুরু করে। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ডিবি পুলিশ চারদিক থেকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। প্রথমে এক আত্মীয়কে দিয়ে বাসার মালিকের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে ডেকে তোলা হয়। তাঁর কাছ থেকে নতুন ভাড়াটিয়ার অবস্থান নিশ্চত হয়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক তথ্যের পর আমিরের সন্ধানে সোর্স লাগানো হয়েছিল। তাদের দেওয়া তথ্যে ডিবি পুলিশ নিশ্চিত হয়, আমির প্রবাসফেরত ব্যবসায়ী পরিচয়ে টঙ্গীর মুদাফার এলাকার তিলেরগাতি মহল্লার আবদুস ছোবহানের এক তলা বাড়ির একটি রুম ভাড়া নিয়ে স্ত্রী-ছেলেসহ বাস করছে।
অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্য ইন্সপেক্টর মেজবাহউদ্দিন জানান, প্রায় ৪০ মিনিট দরজায় ধাক্কাধাক্কির পর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দরজা খুলেই আমির ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে তিন-চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ডিবি পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় আমির। এ সময় সে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। ঘরের ভেতর থেকে আটক করা হয় আমিরের দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি আক্তার, শিশুপুত্র আবির হোসেন ও কাজের মেয়ে রুমিকে। ওই ঘর থেকেই উদ্ধার করা হয় স্পেনের তৈরি পয়েন্ট টুটু এবং আমেরিকার তৈরি ৭.৬৫ বোরের দুটি অত্যাধুনিক পিস্তল।
পুলিশের অভিযানকালে আমির গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ দেওয়া হয় স্থানীয় থানাকে। টঙ্গী থানার এএসআই জহিরুল হক ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ আমিরকে সকাল সাড়ে ৬টায় টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে সকাল সোয়া ৭টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আমিরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পুলিশের অভিযান প্রসঙ্গে পাশের ভাড়াটিয়া জরিনা বিবি (৭০) বলেন, 'রাতে অনেক মানুষের পায়ের শব্দ পেয়ে ভেবেছিলাম, গরু চোর এসেছে। পরে জেগে উঠে দরজা খুলতেই সামনে অপরিচিত লোক দেখে ভয় পাই। তখনই তাঁরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘরের ভেতর গিয়ে দরজা বন্ধ করে থাকতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরই গুলির শব্দ পাই। মহররমের রোজা রাখার জন্য রাতে রান্না করে রেখেছিলাম। গুলির শব্দে এমন ভয় পেয়েছিলাম যে, ভাত মাখিয়ে মুখে তুলতে পারিনি। পুলিশ চলে গেলে আমরা গিয়ে দেখি, পুলিশ ওই ঘরে তালা দিয়ে গেছে। কে, কাকে গুলি করেছে, জানি না। সকালে জানাজানি হলে হাজার হাজার মানুষ এ বাসায় ভিড় জমায়। তখন নতুন ভাড়াটিয়া সম্পর্কে অনেক কথা শুনি।'
নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি : গুলিবিদ্ধ আমির পুলিশের অভিযানের মুখে নিজের পরিচয় গোপন করতে চাইলেও, তা ব্যর্থ হয়। নানা টালবাহানার পর দরজা খুলেই গুলি চালালে পুলিশের নিশানায় পরিণত হয় সে। এরপর হাসপাতালে পৌঁছেই গুলিবিদ্ধ আমির নিজেকে মোক্তার হোসেন পরিচয় দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভর্তি রেজিস্টারেও তার নাম লেখা হয় মোক্তার হোসেন (৩৫)। তার বাবা আব্বাস আলী এবং বাড়ি তিলেরগাতি, টঙ্গী লেখা হয়। প্রাথমিক এ তথ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এরপর টঙ্গী হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের সময় অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলতে থাকে, 'ভাই, আমি মোক্তার হোসেন। আমির নামে কাউকে চিনি না। ডিবি পুলিশ আমাকে ঘুম থেকে তুলে চোখ বেঁধে স্ত্রী-সন্তানের সামনে ঘরের ভেতর গুলি করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার নামে রাস্তায় আমাকে গুলি করে মেরে ফেলবে। আপনারা আমার সাথে চলেন।'
কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি পুলিশ হেফাজতে গিয়ে সব ফাঁস করে দেয়। তার স্বামী মোক্তার হোসেন আমিরই পরাগের অপহরণকারী বলে সে স্বীকার করে।
বিউটির কৌশল : শিশু পরাগ অপহরণ ঘটনার হোতা আমির ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে- এমন কথা শুনে গাজীপুর ও টঙ্গীর গণমাধ্যমকর্মীরা থানা ও হাসপাতালে ছুটে যান। তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ আমিরকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে কাতরাতে দেখেন। তখন সাংবাদিকদের কাছে আমির নিজেকে বারবার মোক্তার হোসেন বলে পরিচয় দেয়। অন্যদিকে থানার হাজতখানার সামনে বসে আমিরের দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি দাবি করে, আমির নয়, তার স্বামীর নাম মোক্তার হোসেন। সন্ত্রাসী নয়, পেশায় সে চাল ব্যবসায়ী। আলাপের পরে একপর্যায়ে বিউটির কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, 'আপনি তো তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী মিতু কোথায়?' উত্তরে বিউটি জানায়, 'মিতু কোথায় আমি জানি না। তবে মামুন মিতুর খবর জানে।' এ কথায়ই পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা অনেকটা নিশ্চিত হন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আমির। কারণ আমিরের প্রথম স্ত্রী মিতুর ভাই মামুন। আর বোনের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও মামুন এখনো আমিরের বিশ্বস্ত সহযোগী। পারিবারিক এ তথ্য দিয়েই ফেঁসে যায় বিউটি। পরে স্বীকার করে, মোক্তার হোসেনই পরাগ অপহরণের আসামি আমির।
আমিরকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পর কাজের মেয়ে ও শিশুপুত্রসহ তার স্ত্রী বিউটিকে টঙ্গী থানায় রাখা হয়।
পুলিশ ইন্সপেক্টর মেজবাহউদ্দিন বলেন, 'বিউটি ধূর্ত মহিলা। অপহরণের পর পরাগকে বিউটিই ইনজেকশন পুশ এবং ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করেছিল। সে আমিরের অস্ত্রবাহকের কাজ করত। পরাগ অপহরণ মামলায় তাকেও আসামি করা হবে।'
দুই সপ্তাহ আগে ভাড়া নেওয়া হয় বাসা : স্থানীয়দের তথ্য ও পুলিশের কাছে দেওয়া বিউটির প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে, আমির টঙ্গীর বাসাটি ভাড়া নিয়েছে মাত্র ১৫ দিন আগে। প্রবাসজীবন থেকে ফেরা ব্যবসায়ী পরিচয়ে বাসাটি মাসিক তিন হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া নেওয়া হয়। আমির আগে বাসায় ওঠে। আর ৯ দিন আগে ছেলে ও কাজের মেয়েকে নিয়ে বিউটি বাসাটিতে আসে। টঙ্গীর বাসায় ওঠার আগে সন্তানসহ বিউটি কেরানীগঞ্জের আটিপাড়ায় থাকত।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৭০) কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁর স্বামী চট্টগ্রামে থাকেন। বাড়িতে টু-লেট টানানো দেখে এক ব্যক্তি আসে এবং নিজেকে মোক্তার হোসেন নামে পরিচয় দিয়ে ভাড়া নেওয়ার কথা বলে। সে চীনে থাকত এবং ব্যবসা করে বলে জানায়। এরপর সে ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ৯ দিন আগে ওঠে। তার ব্যাপারে আর কোনো তথ্য জানা ছিল না।
কাল হলো জমির দলিল : কয়েক দিন আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজবাড়ী থেকে আটক করে আমিরের সেকেন্ড ইন কমান্ড আল আমিনকে। তার দেওয়া তথ্যে পুলিশ জানতে পারে, টঙ্গী এলাকায় জমি কিনে বাড়ি তৈরি করছে আমির। মুদাফার তিলেরগাতি এলাকার মাদ্রাসা মার্কেটের পাশের ওই জমির কাছাকাছি বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করছে সে। ডিবি পুলিশ সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারে ১৭ লাখ টাকায় কেনা এ জমি মোক্তার হোসেন আমিরের নামে গত ২০ নভেম্বর টঙ্গী রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধন করা হয়েছে। দলিলে ক্রেতার যে ছবি লাগানো হয়েছে তা আমিরের। এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই শুক্রবার রাতে চারজন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান শুরু করে। প্রথমে স্থানীয় জমির দালাল মোরশেদ এবং পরে শাহেদকে আটক করে ডিবি পুলিশ। শাহেদের দেওয়া তথ্যে পুলিশ জানতে পারে ব্যবসায়ী পরিচয়ে ১৫ দিন আগে আমির হোসেন তিলেরগাতির কনসেন্ট গার্মেন্টের পাশের আবদুস ছোবহানের একতলা বাড়ির একটি রুম ভাড়া নিয়েছে।
জমি কেনা ও বাড়ি নির্মাণ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা আলফাল হোসেন বলেন, 'তিলেরগাতির মাদ্রাসা মার্কেটের পেছনে কিছুদিন আগে ওই ব্যক্তি জমির দালাল মোরশেদ এবং শাহেদের মাধ্যমে জমি কিনে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে তাদের মাধ্যমে আরো দুই শতক জমি কিনে ২০ নভেম্বর রেজিস্ট্রি করা হয়। রেজিস্ট্রি করার আগে বায়নাপত্র করে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করে ওই ব্যক্তি। শুক্রবার সারা দিন বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলেছে। এরপরই গভীর রাতে তাকে গুলি করে আটক করে পুলিশ। এই লোক পরাগ অপহরণের সঙ্গে জড়িত এবং দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আমির হোসেন- আমরা এলাকার কেউ তা জানতাম না।'
নতুন সংসারের আয়োজন : আমিরকে আটকের পাশাপাশি তার স্ত্রী-সন্তানকেও নিয়ে গেছে পুলিশ। তাই তাদের ভাড়া নেওয়া বাসাটি এখন তালাবদ্ধ। পুলিশ সেখানে বাড়ির মালিকসহ কাউকে না ঢোকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। গতকাল সকালে আলোচিত বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়, দরজায় তালা থাকলেও একটি জানালা খোলা। জানালা দিয়ে দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। ঘরটিতে নেই কোনো শোবার খাট। তবে মেঝের বড় অংশ জুড়ে আছে ফোমের একটি মেট্রেস। ঘরের এক পাশে সোফা ও ফ্রিজ। পাশে জামা-কাপড় রাখার জন্য স্টিলের একটি স্ট্যান্ড। সেখানে ঝুলছে একটি সাদা জামা। একটু দূরেই বাচ্চাদের খেলার দুটি সাইকেল। রান্নাঘরে একটি পাতিলে কিছু ভাত ও আরেকটিতে রান্না করা ডাল দেখা যায়। সেখানেই আলাদা করে রাখা প্যাকেট ময়দাসহ রান্নার কিছু উপকরণ। রান্নাঘর ও থাকার ঘরের সব মালই নতুন।
মামলা : পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ এবং অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় একটি মামলা করেছেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন আমিরের ছোড়া গুলিতে অভিযান দলের সদস্য ইন্সপেক্টর মেজবাহ উদ্দিন, এসআই আজিজুল হক ও এসআই মোমিন খান আহত হয়েছেন।
আমিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমিরের অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাকে পুলিশি প্রহরায় বিশেষ কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে শারীরিক অবস্থার কারণে তার দেহ থেকে গুলি অপসারণ করা যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.