সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের কেস স্টাডিগুলো যেন একেকটি গল্প by তপন চক্রবর্তী

সুইডেনের আয়তন বাংলাদেশের চার গুণ, তবে লোকসংখ্যা কম প্রায় ৯৫ লাখ। এদের মোট লোকসংখ্যার ১২ শতাংশ বিভিন্ন দেশের ইমিগ্রেন্ট। এ অংশের প্রায় অর্ধেক ফিনল্যান্ডের অধিবাসী।

এখানে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি নয়। এসব বাংলাদেশির স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে এখানে রয়েছে বিচিত্র অভিজ্ঞতা। অনেকের মা-বাবার দেওয়া নামটি বদলে ফেলতে হয়েছে।
এখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা সরাসরি সুইডেনে আসতে পারছেন না। ইউরোপের অন্য দেশে আসছেন আগে, এরপর আত্মীয়-স্বজনের সাহায্যে সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের আবেদন করছেন।

প্রায় ২০ বছর আগে নরওয়ে হয়ে এখানে এসেছেন ফেনীর মোতাহের হোসেন বাদল।

তার বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। একসময়ের ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে সক্রিয় পরোপকারি মেধাবী ছাত্র বাদল এখন সুইডেনের স্টক হোমে এসেও মানুষের সেবা করার কাজটিই বেছে নিয়েছেন।

তিনি স্টকহোমে ‌‌‘ব্লুম স্টার পোনদেন’ নামের একটি ওল্ড হোমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

দুসন্তান ও স্ত্রী নিয়ে স্টক হোমের ওস্টবারিয়া আবাসিক এলাকায় থাকেন। আদুরে অন্তর ও তুলফা তার এ দুসন্তান সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখছে বাসা। এ আবাসিক এলাকায় সারি সারি দালানগুলোতে লোকজন বসবাস করে তা বোঝার উপায়  নেই। একেবারে শান্ত নীরব পরিবেশ।

বাঙালি সোহেল, শিমুল, শিপলু কিশোরসহ অনেকের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের কেস স্টাডিগুলো যেন একেকটি গল্প।

সুইডেনে এখন শরৎকাল। গাছের পাতাগুলো হলুদ হয়ে ঝরে যাচ্ছে। দিনরাত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, তাপমাত্রা ৮-৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। এখানে শীতকাল শুরু হবে নভেম্বরের শেষের দিকে। তখন মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। ভাবতে অবাক লাগে। তবে এখানকার লোকদের কোনো অসুবিধা হয় না। স্বাভাবিকভাবেই কাজে যোগ দিচ্ছেন।

সুইডিশরা কুকুরকে সন্তানের মতো ভালোবাসে। অসুস্থ সন্তানের জন্য যেমন অফিস থেকে ছুটি নেওয়া যায় তেমনি এখানে কুকুরের জন্য ছুটি পাওয়া যায়। এরা নারী, শিশুদের অধিকার নিয়ে খুবই সচেতন। নারী-শিশুদের বিন্দুমাত্র অধিকার খর্ব হয় এমন কাজ করা যাবে না। তা না হলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.