ক্যালিফোর্নিয়ায় নাফিসের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করেছিলেন সেই সহযোগী গ্রেফতার

নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশী যুবক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগের সূত্র ধরে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে এফবিআই।

মার্কিন কর্মকর্তাদের সন্দেহ, হাওয়ার্ড উইলি কারটার সেকেন্ড নামের ওই ব্যক্তি নাফিসের সহযোগী। গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্ক পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসসহ যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়। পুলিশের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ‘ইয়াকিন’ পরিচয়ে কারটার নাফিসের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করেছিলেন। নাফিসকে সন্ত্রাসী আক্রমণে সহায়তার কথা বলা হয় সেই সব ই-মেইলে। কারটারের বাসা থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের যৌন সম্পর্কের ৩০টি ভিডিও এবং সহস্রাধিক ছবি জব্দ করা হয় বলেও এসব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে আদালতের বরাত দিয়ে এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, কারটারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার কোনো অভিযোগ এখনো দায়ের করা হয়নি।
প্রবাসী শিক্ষার্থীদের ভিসা কড়াকড়ি করার দাবি এক সিনেটরের: হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে বাংলাদেশী এক শিক্ষার্থী গ্রেফতার হওয়ার পর বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ এবং কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন মার্কিন সিনেট জুডিশিয়ালি কমিটির চেয়ারম্যান ও ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর চাক শুমার। নিউইয়র্ক ডেইলি থেকে এ তথ্য জানা গেছে. গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বিদেশী ছাত্রছাত্রীরা সহজে ভিসা পাচ্ছেন। ফলে সম্ভাব্য সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পথ খোলা থেকে যাচ্ছে। এ কারণে শিক্ষার্থী ভিসার নীতিমালা আরও কঠোর করতে অবিলম্বে একটি বিল পাসের জন্য কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

গ্রেফতার নাফিসকে ভিসা দেয়া প্রসঙ্গে ওই সিনেটর বলেন, মিসৌরি ইউনিভার্সিটি নাফিসের ভিসার আবেদনে সুপারিশ করে কোনো অন্যায় করেনি বলে যারা যুক্তি দেখাচ্ছেন, তারা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখেন না যে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই নাফিসকে নিউইয়র্কে বদলির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এভাবেই নাফিসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ সুগম হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট সূত্রমতে, এশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা ভিসায় আসা উল্লেখযোগ্য অংশ আসে, যার শীর্ষে রয়েছে ভারত ও চীন। এসব ছাত্রছাত্রী প্রতি বছর বেতনসহ অন্যান্য খাতে ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি নয় বলে স্টেট ডিপার্টমেন্ট সূত্রে জানা যায়।

No comments

Powered by Blogger.