খালেদা-লি চুন বৈঠকঃ গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে সহযোগিতা দেবে চীন

বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে বাংলাদেশকে কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। পদ্মানদীর ওপর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণেও সহায়তা দেবে তারা।

বাংলাদেশ সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) পলিটব্যুরো সদস্য ও পার্টির পঞ্চম সর্বোচ্চ নেতা লি চ্যাং চুন রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠককালে একথা জানান।
বৈঠকে চীনের পক্ষে লি চ্যাংয়ের সঙ্গে ছিলেন শতাধিক প্রতিনিধি। আর খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান শমসের মোবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল প্রমুখ।

বৈঠক শেষে শমসের মোবিন চৌধুরী জানান, সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। পদ্মার ওপর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণে সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছে তারা।

তিনি জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও সহযোগিতা করবে চীন।

এছাড়া আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য চট্টগ্রাম থেকে চীনের কুনমিং পর্যন্ত রেল ও সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও আলোচনা হয় বৈঠকে। এজন্য মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ওই রেল ও সড়ক যোগাযোগ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন চীনা প্রতিনিধি দল।

লি চ্যাং জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের গভীর সম্পর্ক। সে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতেই সম্প্রতি চীন সফর করেন খালেদা জিয়া।

খালেদাকে ফের চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান চ্যাং চুন।

অপরদিকে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টম কংগ্রেস সফল হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন খালেদা। বাংলাদেশের উন্নয়নে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.