বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী-কাতারের আমির আসছেন

কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খালিফা আল-থানি বাংলাদেশ সফরে সম্মত হয়েছেন। তেলসমৃদ্ধ দেশটির আমিরের এ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) আঙ্কটাড-১৩ সম্মেলনের এক ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে


বৈঠকে কাতারের আমির বাংলাদেশ সফরের এই আগ্রহের কথা জানান। শেখ হাসিনা এ সম্মেলনে যোগ দিতে উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলসহ বর্তমানে কাতার সফর করছেন। খবর বাসসের।
দুই নেতা বিশেষ করে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে কাতারের বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কাতারের আমির সম্প্রতি তাঁর দেশের একটি বিনিয়োগ দলের বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁর আসন্ন সফরের প্রস্তুতির জন্য উপপ্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন হামাদ আল-আত্তাইয়া শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব শেখ এম ওয়াহিদ-উদ-জামান, পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস এবং কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিএবির মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী: গতকাল দোহারে তাঁর সম্মানে হোটেল ফোর সিজনসে বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভোজসভায় বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি দেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে নতুন করে তৈরি পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে তাঁদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট আইনকানুন উদার করার জন্য তাঁর সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রবাসীদের স্বার্থে তিনটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিএবির নেতারা তাঁদের সংগঠনকে শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সদস্য করার জন্য ব্যবস্থা নিতে এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) বা অনুরূপ এলাকায় ভূমি বরাদ্দ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন।
বিএবি প্রতিষ্ঠাতাদের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেব অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাতারে কাজ করছেন।
পাকিস্তানে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে শোক: প্রধানমন্ত্রী গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসলামাবাদের কাছে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় বিপুলসংখ্যক লোকের প্রাণহানিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গতকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষে এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে বিমান দুর্ঘটনায় মূল্যবান প্রাণহানিতে আপনার ও পাকিস্তানের সরকার ও জনগণের কাছে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’

No comments

Powered by Blogger.