বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-শিক্ষায় বিজ্ঞানমনস্কতা by মোহাম্মদ কায়কোবাদ

অধ্যাপক সত্যেন বোস যখন রাত জেগে কার্জন হলে গবেষণা করতেন, তখন নাকি রিকশাওয়ালারা পর্যন্ত জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখত, একজন বিজ্ঞানের সাধক কীভাবে নিবিষ্টমনে কাজ করে যাচ্ছেন। এটা ছিল আমাদের মহাপরাধীন দেশে বিজ্ঞানমনস্কতার উদাহরণ।


কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের পর যে দেশ বিদ্যুৎবেগে অগ্রসর হবে এবং তা হবে কেবল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে, সেই দেশে বিজ্ঞান কিন্তু কোনো জনপ্রিয় বিষয় নয়। অবশ্য উন্নত দেশেও যে বিজ্ঞান খুব জনপ্রিয়, তা নয়। আমেরিকান বিখ্যাত কৌতুকবিদ বলেছিলেন, ‘আমেরিকা শিক্ষায় বিশ্বাস করে: একজন ক্রীড়াবিদ সপ্তাহে যা উপার্জন করে, একজন অধ্যাপক বছরে তার থেকে বেশি উপার্জন করে।’ তবে মনে রাখতে হবে, আমেরিকার মতো প্রযুক্তি ও অর্থনীতিতে উন্নত দেশ যতটা স্বেচ্ছাচারী মনোভাব পোষণ করতে পারে, তা সাড়ে পাঁচ শ ডলার গড়পড়তা আয়ের সবচেয়ে জনঘনত্বের দেশ, যা পৃথিবীর সহস্রাংশ ভূখণ্ডের ওপর চব্বিশ সহস্রাংশ মানুষের জীবন ধারণের ব্যবস্থা করছে, তাও আবার উল্লেখযোগ্য কোনো প্রাকৃতিক সম্পদের অনুপস্থিতিতে, তা করতে পারে না। গ্রিনহাউস ইফেক্টের কারণে যে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা; বন্যা, প্লাবন, ঘূর্ণিঝড় যে দেশের নিয়মিত অতিথি; আবাসন-সমস্যা যে দেশে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, সেই দেশকে টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।
একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার, মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে আমাদের জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। যেকোনো খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় ও অঙ্গীকার খুবই সময়োপযোগী। তবে এই প্রত্যয়কে বাস্তবে রূপ দিতে হলে আমাদের আদা-জল খেয়ে লাগতে হবে। আমাদের জনসংখ্যাকে সমস্যা হিসেবে ভাবলে চলবে না। তাকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে হবে। আর এর জন্য কার্যকর হাতিয়ার হলো শিক্ষা। তবে ১৬ কোটি মানুষের দেশে শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যে বিনিয়োগ ঘটাতে হবে, সমস্যা-জর্জরিত দেশে তা কঠিন।
আমাদের স্কুল-কলেজগুলোতে যেমন ভৌত অবকাঠামো অপ্রতুল, ঠিক তেমনি যোগ্য, অভিজ্ঞ যথাযথ মানের শিক্ষকেরও অভাব। তবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ব্যয়সাশ্রয়ী প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা বিস্তার করা সম্ভব। অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী কর্তৃক প্রস্তুত শিখন বিষয় এক বা একাধিক টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে রুটিন অনুযায়ী সম্প্রচার করে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে টিভিকক্ষে শেখানো সম্ভব। আমাদের স্মৃতিশক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় সৃজনশীল প্রশ্নের মাধ্যমে নবযুগের সূচনা করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিকে কার্যকর করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। শুধু তা-ই নয়, গুরুত্বহীন শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতেও সমাজে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। আজ থেকে ৪০-৫০ বছর আগে একজন লোক তার মেধাবী ভ্রাতুষ্পুত্র নিয়ে গর্ববোধ করত, আজ গর্ববোধ করে সন্ত্রাসী তৎপরতায় নিয়োজিত সমীহ আদায়কারী ভ্রাতুষ্পুত্র নিয়ে। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদাও আজ ভূলুণ্ঠিত। একজন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনে সন্ত্রাসী তৎপরতার শিকার হলে সাংবাদিক সমাজ কিংবা সমাজ তাঁর সুচিকিৎসার জন্য এমনকি বিদেশেও পাঠাতে পারে, যা গায়ক ও ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু একজন শিক্ষক স্বীয় দায়িত্ব পালনে যদি হামলার শিকার হন, তাহলে তাঁর ভাগ্যে বড়জোর সরকারি হাসপাতাল—করুণা, উপেক্ষা আর অবজ্ঞা।
বছর দশেক আগে নিয়াজ আহমেদ নামের এক ছাত্র বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল। কী এক অজানা রোগে সে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মারা গেল। এমনকি একটি বোর্ডও তার জন্য গঠন করা সম্ভব হয়নি। তাও তো সেকালে ভালো ছাত্রদের খানিকটা কদর ছিল—মেধাতালিকায় নাম এলে দেশের উৎসাহী মানুষ জানতে পারত। কখনো বা টেলিভিশন চ্যানেলে গর্বিত পিতা-মাতা, শিক্ষকসহ দেড় সেকেন্ডের জন্য দেখাও যেত। এখন তো আর সেই সুযোগ নেই। গ্রেডিং পদ্ধতির কল্যাণে ৭০ হাজার ছাত্র পারফেক্ট জিপিএ পেয়ে আমাদের সমাজে ‘নোবডি’ হয়ে যাচ্ছে। এখন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের দেয়ালজুড়ে মেধাবী ছাত্রীদের নাম লেখার আর সুযোগ নেই, যদিও তারা ঠিকই অবশ্য এমন ব্যবস্থার অদূর ভবিষ্যতে আর থাকবে না। যে দেশে শিক্ষায় যথাযথ বিনিয়োগ একটি সুকঠিন কাজ, সে দেশে শিক্ষাকে জনপ্রিয় করতে নানা উদ্যোগ, নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন অত্যন্ত জরুরি। অথচ নম্বর পদ্ধতি বিশ্বাসযোগ্য নয়—এই বলে একটি আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতাকে ছাত্রদের দেওয়া চ্যালেঞ্জকে বাতিল করে দেওয়া হলো। গ্রেড পদ্ধতির বারও এত নিচে সেট করা, যেকোনো বুদ্ধিমান প্রাণীই ৮০-র পরিবর্তে ৯৯ পাওয়ার মতো বোকামি করবে না। মজার বিষয় হলো, মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতার নম্বরকে অবিশ্বাস করলেও ক্রীড়ায় সব অঘটনকেই যথেষ্ট মর্যাদা এবং স্বীকৃতি দিতে আমাদের জুড়ি নেই; যদিও এমন অনেক মেধাবী ছাত্র ছিল, যারা বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পরীক্ষায়, বিভিন্ন পরীক্ষকের মূল্যায়নে প্রথম হয়েছে।
তরুণদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে তারা তা মোকাবিলা করতে চায় সাফল্যের সঙ্গে—এটাই তারুণ্যের শক্তি এবং ধর্ম। আমরা তাদের থেকে চ্যালেঞ্জ সরিয়ে নিলাম। ২০০৫ সালে মাহবুব, নাফি ও খোবাইব—এই তিন কলেজ-ছাত্র এশিয়া অঞ্চলীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের দলকে পেছনে ফেলেছিল; যদিও তাদের কলেজে প্রোগ্রামিংয়ের যে শিক্ষা দেওয়া হতো, তা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নগণ্য ছিল। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে উচ্চকণ্ঠে কিছু বলা না গেলেও দেশব্যাপী গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজনের মাধ্যমে তরুণদের যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের আসর থেকে আমরা বেশ কয়েকটি পদক এনেছি। শুধু তাই-ই নয়, ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিকস থেকে সিটি কলেজের ছাত্র মো. আবীরুল ইসলাম ২০০৮ সালে উপমহাদেশের আট প্রতিযোগীর মধ্যে সেরা হয়ে যে রৌপ্যপদক অর্জন করল, তাও কিন্তু চ্যালেঞ্জ গ্রহণে তারুণ্যের অদম্য উৎসাহের ফলেই। আমাদের এই মেধাবী ছাত্ররা তাদের মেধার স্বীকৃতিও পাচ্ছে এমআইটি কিংবা ক্যালটেকের মতো বিশ্বজোড়া খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেধার উন্নতি, শিক্ষা-দক্ষতার মান উন্নতি এখন সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। এর মাধ্যমে ছাত্রদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য যেমন নানা অনলাইন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ঠিক তেমনি হচ্ছে অলিম্পিয়াডের মতো নানা কর্মসূচি। গণিত অলিম্পিয়াড বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নসহ অন্যান্য বিষয়ে অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা এখনো জনপ্রিয় হয়নি। চীন ও তাইওয়ানে অলিম্পিয়াডের ফলাফলে এতই গুরুত্ব দেওয়া হয় যে এখানে সাফল্য অর্জনকারী ছাত্ররা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। প্রতিবছর মানসিক অঙ্কের বিশ্ব প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। ভারতের গুজরাটের ১২ বছর বয়সী মেয়ে প্রিয়শশী সোমানী জার্মানিতে ৫ থেকে ৭ জুন ২০১০-এ অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ছয় অঙ্কের সংখ্যার বর্গমূল দশমিকের পর আট ঘর পর্যন্ত শুদ্ধ উত্তর ৬.৫১ মিনিটে, ১০টি দশ অঙ্কের সংখ্যা যোগ করে এবং দুটি আট অঙ্কের সংখ্যা গুণ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েদেরও এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে। আমাদের মুস্তাক আহমেদ, মুনিরুল আবেদীন ও ফেরদৌস যে ২০১০ সালে এমআইটি, হার্ভার্ড, বার্কলে, স্ট্যানফোর্ডের দলগুলোকে পেছনে ফেলে প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে একাদশ স্থান দখল করেছিল, তাও প্রমাণ করে যে আমাদের ছাত্ররা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে। একইভাবে তানায়েম, নাফি, মাহবুবের ফল ২০০৯ সালে স্টকহোম শহরে অনুষ্ঠিত আইসিপিসি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয়ে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার চৌকস কারিগর হবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির জ্ঞান ও দক্ষতায় যারা বিশ্বমানের। আমাদের দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না থাকলেও, ভৌত অবকাঠামোতে আমরা দুর্বল হলেও, পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকলেও আমাদের শিক্ষা বিশ্বমানের। কারণ আমাদেরই ডিগ্রি নিয়ে মঞ্জুরুর রহমান খান, তানায়েম মুসা, জানে আলম ও আরিফুর রহমান গুগলের মতো নামকরা কোম্পানিতে চাকরি পাচ্ছে এবং তা এমন বেতনের যে তার এক-দশমাংশ বেতনও তারা স্বদেশভূমিতে পাবে না। আমাদের ডিগ্রি পেয়ে কিংবা তার আগেই মাইক্রোসফট কিংবা গুগলের মতো কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে তার উদাহরণ ভূরি ভূরি। আমাদের শাহরিয়ার মঞ্জুর দীর্ঘদিন যাবৎ প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে সম্মানিত বিচারকের ভূমিকা পালন করছে। বিশ্বের তাবৎ কম্পিউটার জাদুকরের প্রোগ্রামের শুদ্ধতা যাচাই করে থাকে। তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট আমাদের সাফল্য ঈর্ষণীয়। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবসায় যদিও আমাদের অর্জন অন্তত প্রতিবেশী দেশের তুলনায় একেবারেই নগণ্য—তাদের ৭০ বিলিয়ন ডলার আয়ের বিপরীতে আমাদের মাত্রই ৩৩ মিলিয়ন ডলার, কিন্তু প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের ছাত্ররা নিয়মিতভাবেই পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় শ্রেয়তর সাফল্য অর্জন করছে। আমরা যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সাফল্য পেতে চাই, তাহলে মেধাবী কম্পিউটার স্নাতকদের সৈনিক হিসেবে নয়, ব্রিগেডিয়ার আর জেনারেল হিসেবে নেতৃত্ব দিতে হবে। সুখের বিষয় এই যে, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাঁর পূর্ববর্তী শাসনামলে আমাদের ছাত্রদের সাফল্যে খুশি হয়ে তাদের নগদ আর্থিক পুরস্কার একাধিকবার প্রদান করেছিলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে গুরুত্বহীন ভাবার সুযোগ নেই।
দেশের আচার বানানো, রান্না, নাচ-গান সংস্কৃতির নানা অঙ্গনে, ক্রীড়ার নানাবিধ আয়োজনে ঘটা করে লোভনীয় পুরস্কার দেওয়ার প্রচলন থাকলেও বিজ্ঞান, প্রযুক্তির উৎকর্ষে কিংবা শিক্ষায় এমন আয়োজন নেই।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ছাত্রদের মধ্যে জনপ্রিয় করতে আমাদের শিক্ষক সমাজকে অত্যন্ত জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে, নিয়মিতভাবে আমাদের ছাত্রদের নানা সাফল্যগাথা জানিয়ে উজ্জীবিত করতে হবে। সম্ভবত আমাদের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট নানা পরিসংখ্যান মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে হবে, ঠিক যেমনটি করা হয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নিয়ে।
আমরা চাই, আমাদের অর্থনীতির মেধাবী ছাত্রটি শাহরুখ খানকে দেখুক, তাই বলে অমর্ত্য সেনকে একেবারে উপক্ষো করে নয়; আমরা চাই, পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে ভালো ছাত্রটি টেন্ডুলকারকে প্রাণভরে দেখুক, তবে নোবেল বিজয়ী কনস্টানটিন নভোসেলভকে একেবারে অবজ্ঞা করে নয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় সামনে রেখে আমরা চাই আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির মেধাবী তরুণেরাও সারা দেশে পরিচিত হোক। তাদের সাফল্য সারা দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করুক, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আত্মবিশ্বাসী করুক; ওয়ারশ শহরের কেন্দ্রীয় স্কয়ারে টককোডারের চ্যাম্পিয়ন টমেকের মতো প্রতিকৃতি না থাকলেও।
মোহাম্মদ কায়কোবাদ: অধ্যাপক, সিএসই বিভাগ, বুয়েট ও ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস।

No comments

Powered by Blogger.