মিডিয়া ভাবনা-প্রেস কাউন্সিলকে কার্যকর করতে হবে by মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর

দেশের প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমের সমালোচনা করেন না। গণমাধ্যমের সমালোচনা করেন মন্ত্রী, এমপি বা অন্য রাজনীতিবিদেরা। গণমাধ্যম সরকার বা সরকারি দলের প্রশংসা করলে প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা খুশি হন, আর সমালোচনা করলেই যত দোষ।
সরকারি লোকেরা চান, গণমাধ্যম সব সময় সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকুক। কিছু কিছু দলকানা ও নতজানু মিডিয়া সে রকম একপেশে আচরণ করে বলে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা গণমাধ্যমের সমালোচনা মেনে নিতে পারেন না। একটু সমালোচনা হলেই তাঁরা তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন।
সম্প্রতি যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও যোগাযোগমন্ত্রীর সমালোচনা করে প্রথম আলো পত্রিকায় একটু লেখালেখি হওয়ায় এর প্রতিক্রিয়া জাতীয় সংসদের অধিবেশন পর্যন্ত গড়িয়েছে। এ ব্যাপারে অনেকটা নালিশের সুরে যোগাযোগমন্ত্রী (নাকি সচিব?) প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন। এটাও একটা অদ্ভুত ঘটনা। কোনো পত্রিকায় যদি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বা মন্ত্রীর সমালোচনা করে কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিতও হয়, সেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করতে হবে কেন? প্রধানমন্ত্রী কি কোনো মন্ত্রীকে বিশেষ প্রশ্রয় দেন? যোগাযোগমন্ত্রী বেশি সমালোচিত হলে প্রধানমন্ত্রীর কি কোনো অসুবিধে হবে?
প্রধানমন্ত্রীও প্রায় আগবাড়িয়ে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংবাদপত্রের বা সাংবাদিকতার যেভাবে সমালোচনা করেছেন, তা-ও খুব স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া মনে হয়নি। এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী কিছু বললে তা মানানসই হতো। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে কি মাহবুব উল আলম হানিফের মতো কোনো দলীয় নেতা পাওয়া যায়নি, যিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অপ্রিয় কথাগুলো বলতে পারতেন?
৮ ফেব্রুয়ারির তিনটি সংবাদপত্র থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে আমি আজকের লেখাটি লিখতে চাই।
১. ‘সংবাদপত্রের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মন্ত্রীদের সমালোচনা হচ্ছে বা হবে—এটা ঠিক। তবে পত্রিকাগুলো অনেক সময়ই অসত্য, বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে। এর প্রতিকার হওয়া উচিত।...কিন্তু পত্রিকাগুলো যখন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে, তখন এর প্রতিকার কী হবে? আপনিও (সাংসদ রাশেদ খান মেনন) যে আজকের অবস্থায় পড়বেন না, তারই বা নিশ্চয়তা কী। কাল যখন আপনি এ অবস্থায় পড়বেন, তখন কী হবে, এটা ভেবে দেখা উচিত।’ (প্রথম আলো)
(আমার আশঙ্কা, আর কিছুদিনের মধ্যে ঢাকার দুটি সস্তা পত্রিকায় সাংসদ রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে পারে—লেখক।)
২. ‘সংসদে প্রধানমন্ত্রী: কয়েকটি পত্রিকা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সংবাদ পরিবেশন করে।’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন)
৩. সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কোনো পত্রিকা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সংবাদ পরিবেশন করে। এর আগে আমি যখন যুক্তরাজ্যে যাই, তখন পত্রিকা সম্পাদকীয় লিখল। আমি নাকি আরাম আয়েশ করতে গিয়েছি। অথচ সেখানে গিয়ে আমি দুই ঘণ্টাও বিশ্রাম পেলাম না। ওখানে থাকা অবস্থায় আমি ব্যস্ততম দিন পার করেছি। তার পরও একটি পত্রিকায় এ ধরনের সম্পাদকীয় লিখল, কোনো সংসদ সদস্য এর প্রতিবাদ করেননি।’ (আমাদের সময়)
প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরের কর্মসূচির সমালোচনা করে সম্পাদকীয় লিখেছিল ডেইলি স্টার। এ ব্যাপারে ডেইলি স্টার তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে আশা করি। তবে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে সরকারি ব্রিফিংয়ের পাশাপাশি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একজন কর্মকর্তার নিবন্ধ (নিউ এজ) ও প্রখ্যাত বেতার সাংবাদিক সিরাজুর রহমানের একটি নিবন্ধ (নয়া দিগন্ত) থেকে কিছু তথ্য ডেইলি স্টার কাজে লাগাতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য কর্মকর্তা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের সঙ্গে এ দুটি নিবন্ধে বর্ণিত তথ্যের অনেক গরমিল দেখা যায়। যা-ই হোক, এটা ডেইলি স্টার-এর বিষয়। এ প্রসঙ্গ আর নয়।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও যোগাযোগমন্ত্রীর সমালোচনা ও কার্টুন সূত্রে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাংসদ রাশেদ খান মেনন ও অন্যরা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সাংবাদিকতা পেশার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী। প্রধানমন্ত্রীকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তিনি সংবাদপত্রের সমালোচনা করায় তা জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় তুলে আনা সম্ভব হতে পারে। আমার মতো নগণ্য কলামিস্ট একই কথা গত ১০ বছরে ১০০ বার লিখলেও তার কোনো গুরুত্ব নেই। বাংলাদেশে কথার গুরুত্ব হয় ব্যক্তি বা পদাধিকার ভেদে, বক্তব্যের মানদণ্ডে নয়। সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েছি আমরা সবাই। তাই প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে স্বাগত জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পত্রিকাগুলো অনেক সময় অসত্য, বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে। এর প্রতিকার হওয়া উচিত।’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এর প্রতিকার করতে পারে একমাত্র তথ্য মন্ত্রণালয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস ইনস্টিটিউট। এ দুটি প্রতিষ্ঠান তো ঠিকমতো চলছে না। তথ্য মন্ত্রণালয়ে এগুলো দেখা যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁদের দক্ষতারও অভাব রয়েছে। মন্ত্রী বা আমলা হলেই সবকিছু বুঝতে পারবেন, এমন আশা করা উচিত নয়। আর যাঁদের পরামর্শ তথ্যমন্ত্রী শোনেন (শোনেন কি?), তাঁরা নিছক দলকানা ইউনিয়ন নেতা। নেতাগিরি করা ছাড়া মিডিয়া-বিষয়ক আর কোনো যোগ্যতা তাঁদের আছে বলে মনে হয় না। যদি থাকত, তাহলে প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস ইনস্টিটিউট এ রকম অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলো কেন?
প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে ভাষণ দিলে বা যোগাযোগমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলে এর প্রতিকার হবে না। অথচ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেছেন, ‘এর প্রতিকার হওয়া উচিত।’
অসত্য ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদপত্র বা টিভিতে প্রতিবেদন প্রচারিত হলে (ও প্রমাণিত হলে) যেন প্রতিবেদক ও পত্রিকার সম্পাদক বা চ্যানেলের মালিক শাস্তি পান, প্রেস কাউন্সিলকে তা নিশ্চিত করতে হবে। বছরে তিনবারের বেশি শাস্তি বা দণ্ড পেলে সেই পত্রিকা বা টিভির ডিক্লারেশন বা লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। প্রতিবেদকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করতে হবে। আদালতে মানহানির মামলায় যে রকম অর্থদণ্ড হয়, প্রতিবেদক ও সম্পাদকের জন্য সে রকম বড় অঙ্কের অর্থদণ্ড থাকতে হবে। স্মরণ করা দরকার, সংবাদপত্র ও টিভির ভালো প্রতিবেদনের জন্য প্রতিবছর নানা অর্থ পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে। কাজেই বানোয়াট প্রতিবেদনের জন্য অর্থদণ্ডেরও ব্যবস্থা থাকা যুক্তিযুক্ত।
অনেকে বলবেন, বর্তমান প্রেস কাউন্সিল আইনে সে রকম কোনো সুযোগ নেই। তাতে কী? আইন পাল্টাতে হবে। দেশের সংবিধান পাল্টে যাচ্ছে, আর প্রেস কাউন্সিল আইন তো নস্যি! প্রেস কাউন্সিল আইন সংস্কার করে সম্পাদক ও প্রতিবেদকের শাস্তি বিধানের ধারা যুক্ত করলে বুঝব প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে এর যে প্রতিকারের কথা বলেছেন, সে ব্যাপারে তিনি আন্তরিক। প্রেস কাউন্সিলকে কার্যকর করা না হলে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে নিছক লোকদেখানো বলেই বিবেচনা করতে হবে। প্রেস কাউন্সিল ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে এর প্রতিকার করা সম্ভব কি না, তা মিডিয়া-বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাব করতে পারেন। আমার জ্ঞান সীমিত। আমার সামনে আর কোনো পথ নেই। প্রধানমন্ত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন। গণমাধ্যম-বিশেষজ্ঞ ও প্রবীণ সাংবাদিকেরা এ ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) এ ব্যাপারে কী করতে পারে, তা আলোচনা করা যাক। তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান পিআইবি। প্রশিক্ষণ ও গবেষণা তাদের প্রধান দুটি কাজ। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় সংবাদপত্রগুলো যদি অসত্য ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে খবর পরিবেশন করে, তাহলে বুঝতে হবে, প্রেস ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ এ ক্ষেত্রে কোনো কাজে লাগেনি। সাংবাদিক প্রশিক্ষণের মূল কথাই হলো, তাঁরা বস্তুনিষ্ঠভাবে সংবাদ পরিবেশন করবেন। তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কিছু লিখবেন না। অপর পক্ষের বক্তব্য ছাড়া কিছু প্রকাশ করবেন না। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি সব সময় তা দেখতে পাই? প্রেস ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ কি দেখতে পায়?
প্রেস ইনস্টিটিউটের একটি মাসিক পত্রিকা (নিরীক্ষা) রয়েছে। পেশাদার পত্রিকা। সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে এ পত্রিকার ভূমিকা পালন করার কথা। সংবাদপত্রে যেসব ত্রুটিপূর্ণ, অসত্য, বানোয়াট খবর প্রকাশিত হয় (প্রমাণিত হওয়ার পর) প্রতি সংখ্যায় তার পরিচিতি ছাপিয়ে পত্রিকাটি অন্য সাংবাদিকদের সচেতন করতে পারে। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এ রকম ত্রুটিপূর্ণ ‘রিপোর্ট’ চিহ্নিত করবে। পাশাপাশি ভালো, তথ্যবহুল, বস্তুনিষ্ঠ, আদর্শ প্রতিবেদনও বাছাই করে প্রতি সংখ্যায় প্রতিবেদকের ছবি ও সাক্ষাৎকারসহ নিরীক্ষায় প্রকাশ করা যায়। একই কমিটি এ কাজও করতে পারে। ভালো সাংবাদিকতা, দুর্বল সাংবাদিকতা ও মতলববাজ সাংবাদিকতা চিহ্নিত না করলে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকেরা এর পার্থক্য জানবেন কীভাবে? প্রেস ইনস্টিটিউট তাদের জার্নালের মাধ্যমে এ কাজটি করলে দেশে কারা সুস্থ সাংবাদিকতা করছেন এবং কারা হলুদ সাংবাদিকতা করছেন, তা পাঠকের কাছে স্পষ্ট হবে। দোষী সাংবাদিক বা পত্রিকাকে চিহ্নিত না করে শুধু বক্তব্য দিলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় অনেক ভালো কাজের সঙ্গে দূষিত আবর্জনাও ঢুকে গেছে। সেগুলো পরিষ্কার করা দরকার।
তবে কোনো মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রী সম্পর্কে নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হলেই তা অসত্য বা বানোয়াট হবে, এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয় সম্পর্কে নেতিবাচক খবর প্রকাশ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। প্রায়ই কয়েকটি স্বাধীন পত্রিকায় তা প্রকাশিত হচ্ছে। যাঁরা এসব প্রতিবেদন লিখছেন, তাঁরা পাঠকের অভিনন্দন দাবি করতে পারেন। এ ধরনের তথ্যবহুল ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা করা খুব কষ্টসাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। যাঁরা এ কাজ দক্ষতার সঙ্গে করছেন, তাঁদের প্রতি পাঠকেরা কৃতজ্ঞ।
কোনো মন্ত্রী, মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি সম্পর্কে সংবাদপত্রে বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রথমে এর প্রতিবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে হবে। নতুন বিধান হওয়া উচিত, প্রতিবাদটি সংবাদপত্রের একই জায়গায় একই টাইপের শিরোনামে প্রকাশ করতে হবে এবং প্রতিবেদকের বক্তব্য থাকাও বাধ্যতামূলক করতে হবে। আমার ধারণা, প্রেস কাউন্সিল যদি এই একটি বিধান বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে বানোয়াট খবরের প্রবণতা অনেকটা কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুধু চিঠি লিখলে এর প্রতিকার হবে না। প্রতিকার পাওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা থাকতে হবে। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সূত্র ধরে তথ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে একটু সক্রিয় হবেন। মন্ত্রীরা তো প্রধানমন্ত্রীর ইশারার দিকেই তাকিয়ে থাকেন।

অভিনন্দন টিপু সুলতান
আড়িয়ল বিলে প্রস্তাবিত বিমানবন্দর নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রথম আলোর দুটি প্রতিবেদনের জন্য প্রতিবেদক টিপু সুলতানকে আন্তরিক অভিনন্দন। এত তথ্যবহুল, মতামতসমৃদ্ধ, পরিমিত ও নিরাসক্ত প্রতিবেদন দুটি এ বছরের অন্যতম সেরা প্রতিবেদন হিসেবে পুরস্কৃত হলে আমি অবাক হব না। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে এ দুটি প্রতিবেদন।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর: উন্নয়নকর্মী ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.