মৃদুকন্ঠ-মানস গঠনে শিশু শিক্ষাক্রম by খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ

মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, শৈশবেই একটি শিশুর মানস গঠন প্রক্রিয়ার ভিত্তি রচিত হয়, যার ওপর ধীরে ধীরে বিকশিত হতে থাকে তার ব্যক্তিত্ব গঠনপ্রক্রিয়া। কোনো রকম ধারণা, বিশ্বাস, শিক্ষা বা ব্যক্তিত্ব নিয়ে কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করে না। বরং জন্ম-পরবর্তী সময়ে আপনজন, পরিবেশ-প্রতিবেশ থেকে স্টিমুলাস বা উপাত্ত সংগ্রহ ও ধারণ করার ফলে ধারণা জন্ম নেয়, বিশ্বাস গড়ে ওঠে, শিক্ষা অর্জিত হতে থাকে এবং এগুলোর মিশ্রণে স্বকীয় ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটতে থাকে।


স্কুলে বর্ণমালা, সংখ্যা, ভাষা, অঙ্ক, বিজ্ঞান-এসব পাঠ থেকে তাত্তি্বক জ্ঞান আহরিত হয় এবং ইনটেলেকচুয়াল বা বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটতে থাকে। সোশ্যাল স্কিল বা সামাজিক গুণাবলি অর্জিত হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন শিক্ষাপ্রক্রিয়া থেকে। যার মধ্যে রয়েছে উপস্থাপনা, গল্প বলা, আবৃত্তি, ছবি আঁকা, গান করা, ভাব প্রকাশ, খেলাধুলা, পারস্পরিক ভাব বিনিময়, পারস্পরিক সহমর্মিতা প্রভৃতি। যারা শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন করে, তাদের অনেকেই কর্মজীবনে প্রয়োগিক দক্ষতার তেমন পারঙ্গমতা দেখাতে পারে না। বিশেষ করে সামাজিক জীবনে তারা অনেকটাই নিজ অবগুণ্ঠনের মধ্যে থেকে যায়, সামাজিক দায়িত্ব পালনে সমর্থ হয় না। যারা শৈশবে সামাজিক দক্ষতা অর্জনে সাফল্য অর্জন করে, তারা একাডেমিক পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকার না করলেও কর্মজীবন এবং সমাজজীবনে নেতৃত্বের ভূমিকায় চলে আসে। পরীক্ষায় এবং সামাজিক দক্ষতায় সমান উৎকর্ষ অর্জন করলে তো সোনায় সোহাগা। এরাই হয়ে ওঠে সমাজের চালিকাশক্তি। সর্ব অঙ্গনে-শিল্প-সাহিত্য, শিল্প-বাণিজ্য, রাজনীতি-কূটনীতি, প্রশাসন-ব্যবস্থাপনা, ক্রীড়া-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিসহ সর্বত্র, যেখানেই যার পদচারণ।
যেহেতু সব শিক্ষার ভিত রচিত হয় শৈশবে, সে কারণে শৈশবকালীন শিক্ষা অতিগুরুত্বপূর্ণ। ভিত মজবুত হলে পরিকাঠামো গড়ে উঠবে। গড়ে উঠতে বাধা থাকে না। ভিত মজবুত না হলে পরিকাঠামো স্বাভাবিকভাবে গড়ে উঠবে না। কখনো বা ভেঙে পড়বে।
শৈশব-শিক্ষার শুরু গৃহে, মায়ের কোলে, পারিবারিক মিথস্ক্রিয়ার পরিবেশে। সেই সঙ্গে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষালয়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, মক্তব-মাদ্রাসা-যে নামেই ডাকা হোক না কেন। প্রাথমিক শিক্ষালয়ের শিক্ষা পরিবারিক শিক্ষার সঙ্গে মিলে শিশুর মানস গঠন তথা ব্যক্তিত্ব গঠনে চূড়ান্ত অবদান রাখে। কমবেশি ১০ বছর বয়সে, শিশু যখন প্রাথমিক শিক্ষালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে আসে, তখন তার মানস গঠনের ভিত বেশ সংহত হয়, যার বিকাশ সাধনের ধারা অব্যাহত থাকে। মৌল পরিবর্তনের সম্ভাবনা তেমন থাকে না, যদি না ভিতকাঁপানো প্রবল ইন্টারভেনশন না ঘটে, যার সম্ভাবনা কম। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিশু শিক্ষা তথা প্রাথমিক শিক্ষালয়ের পাঠ্যসূচি এবং সফল শিক্ষা প্রক্রিয়া সুনাগরিক তৈরির মাধ্যমে উন্নত সমাজ গঠনে বিশেষ অবদান রাখে। উচ্চ এবং মাধ্যমিক শিক্ষার চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে অধিকতর সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এ বিষয়টি সরকার সম্যক উপলব্ধি করেছে বলে মনে হয়। কো-কারিকুলাম কার্যক্রম সম্পর্কে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও পদক্ষেপ নিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এক শিফটে চলছে এমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি বুধবার ষষ্ঠ পিরিয়ডে গান শেখার জন্য এবং সপ্তম পিরিয়ডে আবৃত্তি, গল্প বলা ও বিতর্কের জন্য রুটিনে নির্দিষ্ট রাখা হয়েছে। দুই শিফটে চলছে এমন স্কুলগুলোতে ওই ক্লাসগুলো অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার চতুর্থ পিরিয়ডে (প্রথম শিফট) এবং পঞ্চম পিরিয়ডে (দ্বিতীয় শিফট)। এই ক্লাসরুটিন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চতম পর্যায় থেকে অনুমোদিত এবং দেশের সব সরকারি প্রাইমারি স্কুলে প্রযোজ্য।
ক্লাসরুটিনে সময় নির্ধারণের সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গানের ক্লাসের জন্য ১২টি গানও নির্বাচন করেছে। এই নির্বাচিত গানগুলো নির্দিষ্ট ক্লাসে শেখাতে হবে। অবশ্য আবৃত্তির জন্য কবিতা নির্বাচন করে দেওয়া হয়নি। বিতর্কের বিষয়ও নির্দিষ্ট করা হয়নি। এটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষকের ওপর।
নির্বাচিত গানগুলো এখানে উল্লেখ করছি (১) সুর সাগরে সাতটা সুরের নৌকা আছে বাঁধা-খান আতাউর, (২) মেঘের কোলে রোদ হেসেছে-রবীন্দ্রনাথ, (৩) চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল-নজরুল, (৪) বেলা দ্বিপ্রহর, ধু ধু বালুচর, আল্লা মেঘ দে-আবদুল লতিফ, (৫) ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এ বসুন্ধরা-দ্বীজেন্দ্রলাল, (৬) এই সুন্দর ফুল, সুন্দর ফল-নজরুল, (৭) সারা জীবন দিল আলো সূর্য গ্রহ চাঁদ-রবীন্দ্রনাথ, (৮) ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়-নজরুল, (৯) তোমারি গেহে পালিছ স্নেহে, তুমি ধন্য ধন্য হে-রবীন্দ্রনাথ, (১০) আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি-গাফ্ফার চৌধুরী, (১১) লাখো শহীদের রক্তমাখা-আবদুল লতিফ, (১২) আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি-রবীন্দ্রনাথ। কোনো কোনো গান শিশুদের জন্য একটু কঠিন কি না, এ প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীতচর্চার জন্য একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা যে রয়েছে, এটি প্রশংসনীয়। নির্বাচিত ১২টি গানের স্বরলিপি তৈরি করে বিতরণ করাও হয়েছিল তখন।
বিষয়টি জানার পর আমি কিছু খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করলাম। এক রকমের সমীক্ষা। পরিকল্পিত সংগীতচর্চার কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, বোঝার চেষ্টা করলাম। সমীক্ষান্তে আশাহত হলাম। কোনো সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গান বা আবৃত্তির ক্লাসগুলো অনুষ্ঠিত হয় না। নির্দেশ জারির পর থেকে কখনো হয়নি। বেশির ভাগ শিক্ষক, এমনকি প্রধান শিক্ষকরাও বিষয়টি জানেন না। ১২টি গান যে অনুমোদিত রয়েছে, তাও অনেকেই জানেন না। স্বরলিপিও কোনো স্কুলে নেই। বিষয়টি জানে শুধু দেশের ৫২টি প্রাইমারি স্কুল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই)। তাদের সিলেবাসে গান শেখানোর মডিউল রয়েছে। কিন্তু একই কাহিনী। এ প্রশিক্ষণটিও হয় না। আমার পরিচালিত সমীক্ষার ফল তুলে ধরলাম বোঝার জন্য যে আমাদের পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তবায়নের অসংগতি কত বেশি। যাহোক, কিছু কারণ আমি চিহ্নিত করেছি এ অসংগতির জন্য। সেগুলো হলো-(ক) সংগীতের সঙ্গে কোনো পরিচিতি নেই, এমন শিক্ষককে পিটিআই কিভাবে সংগীত শেখাবে? (খ) পিটিআইগুলোতেও সংগীত শিক্ষক নেই। (গ) ফলে সংগীত না শিখিয়েই পিটিআইতে শিক্ষকদের সংগীতে 'পাস' দেখিয়ে দেওয়া হয়। (ঘ) পিটিআইতে আবৃত্তি এবং বিতর্ক শেখানোর ব্যবস্থা রাখা হয়নি, যদিও প্রাইমারি স্কুলে এগুলোর জন্য ক্লাস বরাদ্দ রয়েছে। (ঙ) একজন শিক্ষক চেষ্টা করলে আবৃত্তি এবং বিতর্ক চর্চা করে শিশুদের শেখানোর জন্য মানসিকতা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। কিন্তু তদারকি না থাকায় তেমনটা ঘটছে না। (চ) কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা প্রণয়নের পর বাস্তবায়ন কৌশল রচনা করেনি।
শিশুদের মানস গঠনের জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, যা নিবন্ধের শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে। নগরকেন্দ্রিক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোয় বিষয়টিতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ওই সব স্কুলে প্রাথমিক ক্লাসগুলোতে বিশেষ করে প্রাক-প্রাথমিক ক্লাসে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হয় মিউজিক, রাইম, স্টোরি-টেলিং ও পরিকল্পিত খেলার মাধ্যমে। আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা পিছিয়ে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। এ কারণে পল্লী অঞ্চলের মেধাবী ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে পরীক্ষায় ভালো ফল করলেও সমাজজীবনে প্রতিষ্ঠা লাভে সংকটের সম্মুখীন হয়। শিশুদের মানস গঠন জাতি গঠনেরই প্রস্তুতিমূলক সূচনা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, কো-কারিকুলাম শিক্ষাক্রম পরিচালনার যে পরিকল্পনা শিক্ষা অধিদপ্তরে কাগজপত্রে রয়েছে, তা ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের জন্য কিছু সুপারিশ রাখছি।
শব্দের উচ্চারণে নিজেকে প্রকাশের মাধ্যমে ভাব বিনিময় একটি পরিশীলিত শিক্ষা। এর অভাবে একটি শিশু মুখচোরা হয়ে থাকে, আত্মবিকাশ বিঘি্নত হয়। আত্মপ্রত্যয়ও গড়ে ওঠে না। আবৃত্তি, বিতর্ক, গল্প বলার চর্চা এ প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সহায়ক হয়ে থাকে। কণ্ঠ অনুশীলন বা সংগীতচর্চা শিশুদের সামাজিকায়নে প্রত্যয় জোগায়, নিজের প্রতি আস্থা বাড়িয়ে দেয় এবং সুন্দর মানস গঠনে সাহায্য করে। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়, তাতে এসব গুণাবলি ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষক প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। বড় কোনো পরিবর্তন না করে বিতর্ক, আবৃত্তি, গল্প বলা, সংগীত প্রভৃতি বিষয়ে দক্ষ শিক্ষক পদপ্রার্থীকে অগ্রাধিকার প্রদান করা যেতে পারে। যেমন-কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ভালো খেলোয়াড়দের যোগদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আরো একটু অগ্রসর হয়ে কাঙ্ক্ষিত ক্ষেত্রে স্বীকৃত দক্ষতা থাকলে প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারিত রাখা যায়।
তবে জোর দিতে হবে শিক্ষকদের নিয়োগোত্তর প্রশিক্ষণের ওপর। ৫২টি পিটিআইতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের বিশেষ নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আবৃত্তি, বিতর্ক ও গল্প বলায় দক্ষতা প্রদান সম্ভব। দেশের প্রখ্যাত আবৃত্তিকার, বিতার্কিকদের সমন্বয়ে একটি প্রশিক্ষক দল গঠন করে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়। পিটিআই শিক্ষকরা ব্যাচে বিভক্ত হয়ে এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। এই প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক হতে হবে। গানের জন্য এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে না। কারণ সব শিক্ষক গান রপ্ত করতে পারবেন না। গানের জন্য প্রতিটি পিপিআইতে পৃথকভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। সম্ভব না হলে সম্মানী ভিত্তিতে অতিথি সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যায়। পিটিআই যেহেতু জেলা সদর বা নিকটবর্তী স্থানে, কাজেই সেখানে গানের শিক্ষক সংগ্রহ অসুবিধা হবে না। এতে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমী, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো সহায়তা দিতে সক্ষম। পিটিআইতে শিক্ষকদের চাকরি-উত্তর এক বছর প্রশিক্ষণ কোর্স বাধ্যতামূলক। এক বছরে শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ভালোভাবে এবং আরো ৫০ শতাংশ মোটামুটি দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হবে। এদের দ্বারা ধীরে ধীরে সব স্কুলে সংগীত শিক্ষা প্রচলন সম্ভব হবে। কারণ একটি স্কুলে একাধিক শিক্ষক থাকেন। এদের মধ্যে একজন গান জানলেই শিশুদের প্রয়োজন মিটবে।
সেই সঙ্গে তদারকি ফলপ্রসূ হতে হবে। পরিদর্শকরা তো নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন করছেন। একজন পরিদর্শকও কি এ কথাগুলো রিপোর্ট করেছেন, আমি যে তথ্যগুলো পরিদর্শন করলাম। তাহলে ইন্সপেকশনে লাভ কী? ইন্সপেক্টরদের রিপোর্ট দাখিলের জন্য 'পরিদর্শন রিপোর্ট ফর্ম' স্ট্রাকচার করে দিতে হবে, যেখানে উল্লেখ থাকতে হবে কো-কারিকুলাম শিক্ষাদান হচ্ছে কি না? না হয়ে থাকলে সুপারিশ থাকতে হবে।
বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, গ্রহণ ও বাস্তবায়নে যে নিষ্ঠার পরিচয় রেখেছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁর কাছেই আমার এই সুপারিশগুলো পেশ করছি বর্তমান নিবন্ধের মাধ্যমে। নিবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার ফলে শিক্ষানুরাগী বিশেষজ্ঞ ও নাগরিকরাও তাদের মতামত প্রকাশে উৎসাহী হবেন, আশা করছি।

লেখক : সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ
ব্যাংক এবং কলামিস্ট

No comments

Powered by Blogger.