সেমিনারে আইনমন্ত্রী-মার্চেই কাজ শুরু করবেন আরেকটি ট্রাইব্যুনাল

আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করতে মার্চ মাসেই আরেকটি ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরু করবেন। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, ধর্মান্ধতা ও সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্তির জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে হবে।
গতকাল শনিবার ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার দ্রুত বাস্তবায়ন ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক সেমিনারে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।


ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সম্মিলিত তরুণ পেশাজীবী পরিষদ ওই সেমিনারের আয়োজন করে।
দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে এর প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও অনেককে বিচারের আওতায় আনা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, ধর্মান্ধতা ও ধর্মীয় উগ্রবাদের আলামত দেখতে পাচ্ছি। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিকভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার সুষ্ঠুভাবে করতে পারলে এসব মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য বিচারে সবার সমর্থন ও সহায়তা করা উচিত।’
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরু করবেন। তিনি বলেন, ‘শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ২০১২ সালের মধ্যে শেষ করতে চাই। যারা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদের প্রতিহত করা হবে।’
কম্বোডিয়ায় গণহত্যার বিচারে সম্প্রতি দণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষস্থানীয় অপরাধীর সাজার উদাহরণ টেনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে নানা বিতর্ক হবে। বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানা চক্রান্ত চলছে। জামায়াত নেতা কাশেম আলী কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগের চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলেন।’
রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, ‘এই বিচার নিয়ে বিশেষ করে জামায়াত আন্তর্জাতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তবে বিচার প্রক্রিয়া মসৃণভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব না—এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রশ্নে নিরপেক্ষতার কোনো জায়গা নেই। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে সংশয় ও বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।’ মেনন তদন্ত সংস্থার সদস্যসহ কলেবর ও জনবল বাড়ানোর দাবি জানান।
জনগণকে সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা। তরুণ প্রজন্মকে তাদের নিজেদের অবস্থানে থেকে আরও সংগঠিত হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সম্মিলিত তরুণ পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদের সভাপতিত্বে সেমিনারে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, ওশান গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শহীদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

No comments

Powered by Blogger.