ইতিউতি-সুপ্রিম কোর্টের আকাশে কালো মেঘ দেশে ঝড়ের আশঙ্কা by আতাউস সামাদ

রোজার আগে থেকেই শুরু হয়েছিল জনজীবনে দুর্ভোগ, অস্বস্তি ও শঙ্কা। রমজান মাসজুড়ে দেখা গেছে, সেসব ভয় অমূলক নয়। খাদ্যসামগ্রীর দামের আকাশফোঁড়া লাফ, যা ছিল এত দিন ধরে বিরামহীন মূল্যস্ফীতি সয়ে আসা সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে, ডেঙ্গু জ্বরের রোগীতে হাসপাতাল ভর্তি হয়ে যাওয়া, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য এবং বুক হিম করে দেওয়া গণপিটুনিতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু_এ বছর প্রায় পুরো রোজার মাস এসব দুর্ভোগ নিয়ে থাকতে হয়েছে।


মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ, সাংবাদিক-আলোকচিত্রী আশফাক মুনীর ও তাঁদের তিন সহকর্মীর মৃত্যু বুকের পাথরটা আরো ভারী করল। এরই মধ্যে অপ্রত্যাশিতভাবে দেশের ভেতরে স্থলপথ হয়ে গেল অকেজো। দুই বছর ধরেই মহাসড়কগুলোর নানা জায়গায় গর্ত দেখা দিচ্ছিল। সেগুলো হচ্ছিল না মেরামত। এবার বৃষ্টিতে সেগুলো এতই বড় ও গভীর হয়ে গেল যে বাস মালিকরা ওসব পথে তাঁদের গাড়ি বন্ধ করে দিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসেও এ এক নতুন ঘটনা। সরকার বলতে গেলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ল। পরিবহন শ্রমিকরা যদি ধর্মঘটে যেত, তাহলে তাদের কোনো না কোনো ছুতায় জেলে ভরা যেত এবং পুলিশ দিয়ে পেটানো যেত, কিন্তু মালিকরা তো 'আপনজন', তাদের গায়ে তো আর হাত তোলা যায় না। তাই কয়েক দিন সড়কের বাসগুলো স্ট্যান্ডে বা গ্যারেজে বিশ্রামেই থাকল। এদিকে রেলগাড়ির ইঞ্জিন ঘাটতির জন্য ট্রেনগুলো নিয়মিতই চার থেকে ৯ ঘণ্টা দেরি করতে থাকল। রোজার শেষে এসে যাতায়াতের এ রকম ভয়াবহ অচলাবস্থা ছোটখাটো রাজনৈতিক ঝড়ও তুলল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এবারের রমজান মাসে ভোগান্তির বোঝাটাই বেশি ভারী। ফলে আমাদের লেখালেখিতেও যন্ত্রণার ছাপ স্পষ্ট ছিল।
তবু মনস্থির করেছিলাম যে এখন থেকে ঈদ পর্যন্ত কয়েকটা দিন এমন কিছু নিয়ে লিখব না, যা তিক্ততায় ভরা বা মন বিষিয়ে দেয়, কিন্তু তাও সম্ভব হলো না। কারণ পুলিশি নির্যাতনে আরো এক করুণ মৃত্যু ঘটল রোজার মধ্যেই। সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন আহম্মেদ ১১ আগস্ট পুলিশের হাতে আটক থাকা অবস্থায় জ্ঞান হারান। তাঁর চেতনা ফেরেনি। তিনি শুক্রবার ২৬ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। এম ইউ আহম্মেদ নামে সমধিক পরিচিত এই আইনজীবীর প্রধানতম অপরাধ ছিল তিনি বিরোধী দল বিএনপির সমর্থক ছিলেন। আমাদের গণমাধ্যমে তাঁর মৃত্যু নিয়ে লিখেছে, 'সুপ্রিম কোর্টে হট্টগোল মামলায় অভিযুক্ত আইনজীবী এম ইউ আহম্মেদ রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।' সংবাদের এই গা-বাঁচানো ভাষায় এখনকার দুঃশাসনের ভয়ে সন্ত্রস্ত হওয়ার লক্ষণ সুস্পষ্ট। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট বেঞ্চে মুফতি ফজলুল হক আমিনীর বিরুদ্ধে দায়ের করা 'রাষ্ট্রদ্রোহের' অভিযোগের শুনানির সময় জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার নাম ধরেও (যদিও আবেদনকারী খালেদা জিয়াকে টানেননি) মাননীয় বিচারপতিরা হুঁশিয়ারিমূলক নির্দেশ দিলে আদালতের এজলাসে উদ্ভূত উত্তপ্ত পরিস্থিতি অবাঞ্ছিত রূপ নেয়। অতঃপর ওই বাদানুবাদ ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে বিএনপিপন্থী ১৩ আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালতে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। সেদিন ওই বাদানুবাদ ও বিশৃঙ্খলায় আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরাও ছিলেন। তবে পুলিশের চোখের 'বিশেষ চশমায়' আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের কাজে রত আওয়ামী লীগপন্থীদের দেখা যায় না, তাই তাঁরা কেউ অভিযুক্ত হননি।
পুলিশ সিনিয়র আইনজীবী এম ইউ আহম্মেদকে গভীর রাতে বাড়িতে হানা দিয়ে ঘুম থেকে তুলে গ্রেপ্তার করে এবং তখনই তাঁকে তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। জনাব আহম্মেদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গ্রেপ্তার করতে আসা পুলিশরা তাঁর সঙ্গে উগ্র আচরণ করে এবং গাড়িতে তোলার সময় চড়-লাথি মারে। তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ভোরের দিকে পুলিশ তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে জানায়, তাঁর স্বামী অসুস্থ অবস্থায় জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অতএব তিনি যেন শিগগির সেখানে যান। জনাব আহম্মেদের পরিবারের সদস্যরা ওই হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন, পুলিশের হাতে আটক থাকা অবস্থায় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানকার ডাক্তাররা তাঁর অবস্থা দেখে জানান, তাঁকে সুচিকিৎসার জন্য এখনই হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। পুলিশ তাদের হাতে আটক আসামিটিকে বাধ্য হয়েই হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে কয়েক দিন থাকার পরও জনাব আহম্মেদের জ্ঞান ফেরেনি। তখন তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সুপরিচিত আইনজীবী এম ইউ আহম্মেদ কারো ডাকে আর সাড়া দিলেন না। তিনি সেই যে পুলিশের হাতে জ্ঞানহীন হয়ে পড়েছিলেন, সেই অজ্ঞান অবস্থায়ই এ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। আমাদের দেশের এক বিশিষ্ট আইনজীবীর জীবনাবসান হলো ফৌজদারি মামলায় আটক একজন দাঙ্গাবাজ হিসেবে! বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আর তাদের নির্যাতনপটু পুলিশ বোধ হয় এটাই চেয়েছিল। তবে এখন তাদের সাধু সাজার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে ঠিকই। এক পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে বলেছেন, এম ইউ আহম্মেদ আমাদের হাতে আটক ছিলেন না। তাঁকে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকে তাঁর পরিবার তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। অর্থাৎ এ মৃত্যু পুলিশের হাতে আটক থাকা অবস্থায় মৃত্যু নয়। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট এম ইউ আহম্মেদের অকালবিধবা স্ত্রী সেলিনা আহম্মেদ বলেছেন, পুলিশের ভাষ্য একেবারে মিথ্যা।
এম ইউ আহম্মেদ মারা যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ছিলেন কি ছিলেন না, সে সম্পর্কে পুলিশ ও তাঁর পরিবারের দাবি-পাল্টাদাবির ব্যাপারে আরো খোঁজ না নিয়ে আমার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়, তাই আপাতত তা নিয়ে মন্তব্যও করতে পারব না। কিন্তু প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্ন তুলতে পারি তো বটেই। যেকোনো নাগরিকই এই প্রশ্নগুলো করতে পারেন এবং তা করা দরকার। আমার প্রশ্ন হলো, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এম ইউ আহম্মেদ কি একজন অপরাধী চরিত্রের লোক ছিলেন? তিনি কি জঙ্গি ছিলেন? তিনি কি খুনি বা ডাকাত ছিলেন? তিনি কি সন্ত্রাসী ছিলেন (যাদের ঢাকার মিডিয়া ও পুলিশ 'টেরর' বলে অভিহিত করে)? তিনি কি দুর্নীতি কমিশনের করা কোনো মামলার আসামি ছিলেন? তিনি কি 'মানি লন্ডারিং' করেছিলেন? তিনি কি ড্রাগ ব্যবসায়ী ছিলেন? তিনি কি রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বা অন্তর্ঘাতমূলক কোনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত পলাতক আসামি ছিলেন? তিনি যদি এর একটাও না হন, তাহলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য গভীর রাতে হামলা চালাল কেন? ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করলে পুলিশের কী অসুবিধা হতো? কোনো অসুবিধা হতো না।
অন্যদিকে দেশবাসী জানে, কারণ এত ঘটনার পর এটা প্রমাণিত, পুলিশের মধ্যে বহু অপরাধী মনোবৃত্তির লোক আছে, আরো আছে নৃশংস ও উচ্ছৃঙ্খল লোক, যারা আইনকে সম্মান করে না এবং নানা জঘন্য অপকীর্তি করছে, যার বেশির ভাগ তারা করে রাতে। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকায় গভীর রাতে এক থানার নামে গ্রেপ্তার করে অন্য থানায় বা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়, যা ডিবিতে অথবা টিএফআই সেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে শারীরিক নির্যাতন করা, অপমান করা ও মানসিক অত্যাচার করা এখন পুলিশের নিত্যনৈমিত্তিক কাজে পরিণত হয়েছে। এখন গভীর রাতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এম ইউ আহম্মেদ যখন দেখলেন এহেন খ্যাতিমান পুলিশ তাঁকে অজানা গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে, তখন যদি তিনি ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়ে থাকেন, সেটা মোটেও অস্বাভাবিক হয়নি। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের এ ধরনের আচরণ যেটুকু দৃষ্টিগোচর হয়, সেটুকুই একান্ত আপত্তিকর, ভয়ংকর রকম বিপজ্জনক এবং একেবারেই বেআইনি কাজ। আমি সন্দেহ করি, পুলিশ অ্যাডভোকেট এম ইউ আহম্মেদের সঙ্গে আইনবিরুদ্ধ ও ভীতিকর আচরণ করেছে, যা তাঁকে অসুস্থ করে ফেলার জন্য যথেষ্ট ছিল। প্রয়াত আইনজীবীর পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশ তাঁর ওপর এমন নির্যাতন চালিয়েছে যে তাতে তাঁর স্ট্রোক হয়। আর তাতেই তিনি কোমায় চলে যান। তাঁরা বলেছেন, তাঁকে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ দাবি করছে, তারা জনাব আহম্মেদকে কিছুই করেনি।
পুলিশ এখন যা-ই বলুক, তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যতই অস্বীকার করুক, তারা যা মুছে ফেলতে বা বদলে ফেলতে পারবে না, তা হলো তারা সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলকে গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে গ্রেপ্তার করে, তারা বাড়ির ভেতর তাঁর সঙ্গে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করে, তারা তাঁকে রাতেই কোনো থানায় না নিয়ে ডিবি অফিসে নিয়ে যায়, সেখানে তাঁর সঙ্গে তাঁর কোনো আইনজীবী বা আত্মীয় বা বন্ধু ছিলেন না, জনাব আহম্মেদ ডিবি অফিসেই অচেতন হয়ে যান। তখন পুলিশ বাধ্য হয়েই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রথমে নেয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, তারপর হৃদরোগ হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে ডাক্তাররা নিবিড় চিকিৎসার জন্য ভর্তি করলে আটককারী পুলিশ তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। এসব তথ্য জানা গেছে পুলিশের জবানিতেই। তাই এ কথা খুব জোর দিয়েই বলা যায় যে সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম ইউ আহম্মেদ যে জন্য মারা গেছেন, সেই হেতুটি ঘটেছে তিনি পুলিশের কাছে আটক থাকা অবস্থায়। অতএব পুলিশ কেন জনাব এম ইউ আহম্মেদকে গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ঘুম থেকে তুলে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল, তেমন করার কী প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর ওপর কী নির্যাতন করেছে, যার ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান_এসবের অবশ্যই তদন্ত হতে হবে।
তবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এম ইউ আহম্মেদের মৃত্যু, যা আমাদের চোখে অস্বাভাবিক মৃত্যু, তার সুষ্ঠু বিচার কি বর্তমান পরিবেশ ও প্রেক্ষাপটে সম্ভব? তা মনে হয় না। কারণ অ্যাডভোকেট আহম্মেদ রাজনৈতিক ভাবধারায় বিএনপিপন্থী, আর বর্তমান আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডদৃষ্টে এটা প্রমাণিত যে তারা বিএনপির কোনো লোককে বিচার পাওয়ার যোগ্য বলেই মনে করে না। তাই জনাব আহম্মেদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত আশা করা যায় না। তদুপরি এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষাপট, উৎস, অকুস্থল এবং সমুদয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এমনই যে সরকার তাদের অনেককেই রক্ষা করতে ব্যগ্র থাকবেন। এতদ্সত্ত্বেও প্রয়াত আইনজীবীর স্ত্রী সেলিনা আহম্মেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব ও আরো পাঁচজনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগের খেই ধরে পুলিশ প্রয়াত এম ইউ আহম্মেদের লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য বারডেমের হিমঘর থেকে মর্গে নিয়ে যায়। কিন্তু তারা কাজটা করে গোপনে স্ত্রীকে না জানিয়ে। ফলে রহস্য আরো ঘনীভূত হচ্ছে এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যরা প্রধান বিচারপতির বাড়ির সামনের সড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান ধর্মঘট করেন এসবের প্রতিবাদে।
সব মিলিয়ে দেশের রাজনৈতিক বিভাজন সুপ্রিম কোর্ট নামক সম্মানিত প্রতিষ্ঠানটিতেও আগা থেকে গোড়া ফাটল ধরিয়ে দেওয়ার প্রচণ্ড হুমকি দেখা দিয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বলেছেন, 'যে দেশে ঘরে ঢুকে রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়, শিশু-নারীকে হত্যা করা হয়, সে দেশে তো অনিয়ম-উচ্ছৃঙ্খলতার দুর্ভাগ্য থাকবেই। এরই মধ্যে দেশটায় নিয়মশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।'
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এম ইউ আহম্মেদের দুর্ভাগ্য যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আগেই তিনি গভীর রাতে পুলিশের খপ্পরে পড়ে গিয়েছিলেন।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

No comments

Powered by Blogger.