সাংস্কৃতিক অভ্যাস বনাম অপসংস্কৃতি-সময়ের কথা by অজয় দাশগুপ্ত

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র আট মাস ক্ষমতায়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে_ পরিবর্তন কোথায় হলো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সময় চাইছেন। ৩৪ বছরে যা হয়নি, রাতারাতি তিনি তা কেমন করে করবেন_ সে প্রশ্ন রাখছেন। কিন্তু জনতা যে অধৈর্য। এর মধ্যেই তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের নৈরাজ্য।


তার দলের মধ্যেই এলাকায় এলাকায় অনেক উপদল এবং অনেক স্বঘোষিত নেতা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের এ দফার শাসনেও তৃণমূলের সঙ্গে অনেক মিল। ৬২ বছরের পুরনো এ দলটিও ব্যর্থতার জন্য পূর্বসূরিদের ওপর দায় চাপিয়ে দিতে বেশি সক্রিয়। জনগণ তা মানবে কেন?


"গভীর অনুসন্ধান করলে বোঝা যাবে সমস্যাটা 'সাংস্কৃতিক'। বিগত সাড়ে তিন দশকে সদ্য প্রাক্তন শাসক দল এই রাজ্যে যে শাসন-সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে, মূল কথা হল : যে যখন শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে, সে সমাজের সমস্ত পরিসর ও প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের অধিকারী হবে।"
ওপরের কথাগুলো পশ্চিমবঙ্গের শ্রীচৈতন্য কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক শিবাজীপ্রতিম বসুর। ৩১ জানুয়ারি আনন্দবাজারের উপসম্পাদকীয়তে তিনি আরও লিখেছেন :"কয়েক মাস আগে যখন দীর্ঘ তিন যুগের শাসনের অবসান ঘটে সরকার 'পরিবর্তন' সূচিত হল, তখন অনেকে আশা করেছিলেন, বোধহয় এবার সামাজিক ক্ষেত্রগুলি, বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দলীয় প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীন বিকাশের কেন্দ্র হয়ে উঠবে। কিন্তু কেউ কেউ আমার মতো সন্দেহী, আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিল_ যেহেতু এই ব্যাধি সাংস্কৃতিক, তাই তা এত সহজে ঘুচে যাওয়ার নয়। অর্থাৎ সরকারের পরিবর্তন হলেও, শাসক দলের ছাত্রপক্ষের দখলদারির মানসিকতা এত সহজে চলে যাবে না। তার কারণ এই যে, দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক অভ্যাসে তারা এতে কোনও গর্হিত অন্যায় দেখবে না।"
উদৃব্দতিটা একটু বড় এবং তা পাঠ করে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অগণিত নেতাকর্মী আনন্দধ্বনি করে বলে উঠতে পারে_ আমরা যা করছি তা বে-নজির নয়। ভিন দেশেও তো একই ঘটনা। খামাকা আমাদের দোষ দেওয়া কেন?
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও দাবি করতে পারে, আমাদেরই বা দোষ দেওয়া কেন? আমাদের দলকে জনগণ অধিকার দিয়েছে তাদের শাসন করার। শাসনের সঙ্গে শোষণ তো থাকেই।
ভারতের একজন সম্মানিত শিক্ষক বলেছেন, সমস্যা 'সাংস্কৃতিক'। এ অভ্যাস কি এত সহজে বদলানো যাবে?
অতএব, বুঝহ সুজন...।
শিবাজীপ্রতিম বসু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল এবং তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের যে দাপট-দৌরাত্ম্যের কথা বলেছেন তা মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমাবদ্ধ। বাইরেও তারা হানা দেয়, তবে তা প্রকট বলে মনে হয় না। তৃণমূল কংগ্রেস এই প্রথমবার রাজ্যে ক্ষমতায়। তাদের ছাত্র সংগঠন কলেজ ছাত্র সংসদ দখল করার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সেখানকার সংবাদপত্রে, টেলিভিশনে এ নিয়ে খবর থাকছে প্রতিদিন। বেশিরভাগেই রয়েছে নিন্দা ও ক্ষোভ। প্রশ্ন উঠছে 'পরিবর্তন' নিয়েও। মমতা ব্যানার্জির 'ওয়ানম্যান' শো সর্বত্র আলোচিত। জোটসঙ্গী কংগ্রেসের সঙ্গে দিলি্ল ও কলকাতা উভয় পর্যায়েই তার জোর কাজিয়া চলছে। রাজ্য বিধানসভায় তার দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সরকারের জন্য আপাতত হুমকি নেই। কিন্তু তিনি পশ্চিমবঙ্গে আদৌ পরিবর্তন আনতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে বেজায় সংশয়। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের কয়েকটি দিন কলকাতা অবস্থানকালে অবশ্যই একটি বিষয় বিশেষ নজরে এসেছে_ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। এর সঙ্গে 'ক্যালকাটা পুলিশ' কথাটিও বারবার কানে এসেছে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া একটি মেয়েকে জিজ্ঞেস করেছিলাম_ তার দৃষ্টিতে কী পরিবর্তন। তার মায়ের বাবা তৃণমূল, বাবা-মা সিপিএম। সব কুল বাঁচিয়ে তার উত্তর ছিল_ 'স্কুলের সামনে ট্রাফিক জ্যাম কমেছে।'
অনেকের কাছে শুনেছি, ক্যালকাটা পুলিশের কার্যক্রমে যানজট পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছে। কয়েক বছর ধরেই তারা সক্রিয়। সম্প্রতি রাজধানী শহরের বাইরেও তাদের দায়িত্ব পড়েছে। এর ফলে যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং নেই। যানবাহন চালকরা অনেক বেশি সতর্ক। আমাদের নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মতো জবরদস্ত পরিবহন শ্রমিক নেতা সেখানেও রয়েছেন। কিন্তু ক্যালকাটা পুলিশের হাতে পড়লে তাদের অনুগামীরাও ভিজে বেড়াল হয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে। আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় এমন একটি বাহিনী গড়ে তোলা অসম্ভব নয়। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের দৃষ্টান্ত এখানে টানা যেতে পারে। 'এলিট' এ বাহিনীর ক্রসফায়ার বা এ ধরনের আরও কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তোলা যায়। আইন নিজের হাতে নিয়ে নেওয়ার প্রবণতাও প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু 'অপারেশন' চালানোর আগে তারা যে গোয়েন্দা অনুসন্ধান চালায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা যথার্থ বলে প্রমাণিত হচ্ছে। একটি মানবাধিকার সংগঠনের একজন কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন, তারা 'র‌্যাব-দুষ্কৃতকারীদের গুলি বিনিময়ে' নিহতদের নিজ এলাকায় অনুসন্ধান করে দেখেছেন_ সাধারণ মানুষ খুশি। তারা এটা ভালোভাবেই বুঝতে পারে যে, 'পুলিশ-বিচার বিভাগ' এখনও বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা ও ধনবানদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকা ভয়ঙ্কর অপরাধীদের আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তি প্রদান করতে অক্ষম।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্র অটোরিকশা (যা আমাদের এখানে সিএনজি নামে পরিচিত) চলে শেয়ারে। অটোগুলোর জন্য রুট ভাগ করা রয়েছে এবং যাত্রীরা নির্ধারিত ভাড়ায় যেখানে খুশি ওঠানামা করতে পারে। ভাড়ার পরিমাণ খুব বেশি বলা যাবে না। অনেক বছর ধরে অটোর পেছনে বসত তিনজন, সামনে চালকের দুই পাশে তিনজন। সম্প্রতি ট্রাফিক আইন হয়েছে_ সামনে একজনের বেশি বসানো চলবে না। এ নিয়ম ভেঙে একদল চালক চারজনের বেশি যাত্রী তুলতে চেষ্টা করে অটোতে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ কয়েকজন অটোচালককে জরিমানা করে। অনেকের নামে কেস হয়। দেখা গেল, আটকদের বেশিরভাগ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক।
আমার ধারণা, বাংলাদেশে পুলিশ-র‌্যাব এমন সাহস দেখাতে গেলে বরং নিজেদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে।
ঢাকায় শেয়ারে সিএনজি চালানো হলে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক যাত্রী সহজে চলাচল করতে পারত। আমরা দেখি, এসব গাড়ি রিজার্ভ চলাচল করে। যাত্রী থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক বা দু'জন এবং মিটার থাকলেও ভাড়া দিতে হয় চালকের মর্জিমতো। এর পরিবর্তে রুট হতে পারে এ রকম_ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শাহবাগ-নিউমার্কেট, আজিমপুর থেকে আসাদগেট, মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট, মগবাজার থেকে গুলশান ১ নম্বর হয়ে ২ নম্বর, বিমানবন্দর থেকে মহাখালী, গুলিস্তান থেকে সদরঘাট। যাত্রীরা গন্তব্য পথ অনুসারে সিএনজি বদল করতে পারে। এতে যানজটের শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার সম্ভব হবে। তারা বেশি যাত্রী বহন করবে, আয়ও ভালো হবে। যাত্রীদের ওপর ভাড়ার চাপ পড়বে কম।
কিন্তু হায়, আমাদের পুলিশ শেয়ারে যাত্রী তোলাই নিষিদ্ধ করে রেখেছে! বাংলাদেশের মানুষের অপচয় করার মতো অর্থ রয়েছে যে!
ঢাকায় এখন যে কোনো ফলের দোকানে আপনি যান_ আপেল, কমলা, আঙ্গুর, আম, পেয়ারা যা-ই কিনতে চান দোকানি কমলা শুনলে বলবে, কত ডজন নেবেন? আম বা আপেল চাইলে আপনাকে প্রশ্ন করা হবে, কত কেজি নেবেন? আপনি যদি এক হালি কমলা কিংবা আধা কেজি আম কিনতে চান, দোকানি আপনার সঙ্গে ভালো করে কথাও বলবে না। অথচ আমরা সবাই জানি, ফল হচ্ছে পচনশীল এবং বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে একসঙ্গে বেশি সংখ্যা বা পরিমাণে তা না কেনাই ভালো। কিন্তু এটাও তো 'সংস্কৃতিতে' পরিণত হয়েছে।
এ 'সংস্কৃতি' মাছের বাজারেও। তিন-চার জনের একটি পরিবারে রুই, চিতল, পাঙ্গাশ বা কাতল মাছ খেতে হলে কিনতে হবে গোটাটি। ৩-৪ কেজি ওজনের একটি মাছ খেতে হবে ফ্রিজে রেখে এবং তাতে স্বাদ কমে যাবেই। এতে পকেটেও বাড়তি চাপ পড়ে। বাজারে গেলে আপনি প্রয়োজন ও পছন্দমতো মাছ কিনবেন_ তেমন ব্যবস্থা নেই। ঢাকায় এখন কোনো আত্মীয় বা বন্ধুর বাড়িতে এক কেজি মিষ্টি নিয়ে গেলে নিজেকেই ছোট মনে হবে। অথচ স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়তে থাকায় অনেক পরিবারেই এখন ভরপেট মিষ্টি খাওয়ার চল নেই। এমনকি দিনে চায়ে এক চামচ চিনি খেতেও আপত্তি করা লোকের সংখ্যা অনেক। যে কোনো বাড়ি বা অফিসে কিংবা রেস্তোরাঁয় চা পরিবেশনের আগে অবধারিত প্রশ্ন_ চিনি দেব কি? কিন্তু দোকানে গিয়ে মিষ্টি চাইলে_ প্রশ্ন ছুটে আসবে_ কত কেজি দেব?
পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই মাছ কেনা যায় পছন্দমতো। বড় মাছের এক বা দুই টুকরো কেনে অনেক ধনবান পরিবার। এবারে অনেক ফলে সাজানো একটি দোকান থেকে একটি মাত্র পেয়ারা কিনতে দেখেছি একজনকে এবং দোকানি তাকে মোটেই হেনস্তা করেনি। ঢাকায় কেন এমনটি ভাবতে পারি না? এটা হলে পছন্দের খাবার ঘরে আনা যায়, অপচয় কম হয় এবং আর্থিক সাশ্রয় তো থাকেই। এ ধরনের ব্যবস্থা বাংলাদেশে আরও বেশি করে প্রয়োজন আমাদের অর্থনৈতিক পরনির্ভরতার কারণে। মাছে-ভাতে বাঙালি প্রবাদের এ দেশ। কিন্তু আমাদের মাছের উৎপাদন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। ইলিশ মাছ এখন মধ্যবিত্তের খাবার নেই। উচ্চবিত্তরাও এক কেজি ওজনের মাছটি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিনতে গিয়ে দ্বিধায় পড়ে। ধানে আমরা মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু ডাল, সয়াবিন তেল, গুঁড়ো দুধ, মাংস, পেঁয়াজ-রসুন-আদা, চিনি_ কত কিছুতেই পরনির্ভরতা প্রকট। জনসংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে অনেক মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। এ কারণে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে চাপ বাড়ছে। এ সমস্যা সমাধানের একটি উপায় দেশে উৎপাদন বাড়ানো। পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে, অভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন এনেও বাজারের ওপর চাপ কমানো সম্ভব।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির ব্যবহারেও এ মনোভাব বাঞ্ছনীয়। রাজধানী ঢাকায় এখন প্রায় দেড় কোটি লোকের বসবাস এবং এ সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। তাদের জন্য সস্তায় রান্নার গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিপুল ব্যয় পড়ছে এবং সে অনুযায়ী চার্জ আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। মাটির নিচ থেকে ওয়াসা পর্যাপ্ত পানি তুলতে পারছে না। নদীর পানি দূষিত এবং রাজধানীর পুকুরগুলোতে গড়ে উঠেছে বড় বড় দালান। এ অবস্থায় ৪০০-৫০০ টাকায় ২৪ ঘণ্টা গ্যাসের সরবরাহ কিংবা স্নান-রান্নার পাশাপাশি গাড়ি ধোয়ামোছা ও বাড়ির লন সবুজ রাখার জন্য সস্তায় সরকারি পানির জোগান কতদিন সম্ভব হবে?
শুরু করেছিলাম 'সাংস্কৃতিক' সমস্যা দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গে যখন যে দল ক্ষমতায় তাদের মনোভাব 'উইনার্স টেকস অল'। সবকিছু চাই নিজেদের করে। বাংলাদেশেও তাই এবং সম্ভবত মাত্রাটা একটু বেশিই। এর বিরুদ্ধে উভয় ভূখণ্ডেই গণমাধ্যম উচ্চকণ্ঠ। কিন্তু শাসকদের তাতে ভ্রূক্ষেপ কম। এর পরিণতি ভালো হয় না। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র আট মাস ক্ষমতায়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে_ পরিবর্তন কোথায় হলো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সময় চাইছেন। ৩৪ বছরে যা হয়নি, রাতারাতি তিনি তা কেমন করে করবেন_ সে প্রশ্ন রাখছেন। কিন্তু জনতা যে অধৈর্য। এর মধ্যেই তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের নৈরাজ্য। তার দলের মধ্যেই এলাকায় এলাকায় অনেক উপদল এবং অনেক স্বঘোষিত নেতা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের এ দফার শাসনেও তৃণমূলের সঙ্গে অনেক মিল। ৬২ বছরের পুরনো এ দলটিও ব্যর্থতার জন্য পূর্বসূরিদের ওপর দায় চাপিয়ে দিতে বেশি সক্রিয়। জনগণ তা মানবে কেন? এমনকি 'সাংস্কৃতিক' সমস্যাকেও তারা ততটা আমল দিতে রাজি নয়। ক্ষমতা যাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে সংস্কৃতির নামে আসলে যে অপসংস্কৃতি চলছে তাতে পরিবর্তন আনা। সেটা কি পারবে আওয়ামী লীগ?

অজয় দাশগুপ্ত : সাংবাদিক
ajoydg@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.