খুলনার বন্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠান-সরকার কেন প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না?

সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খুলনার বন্ধ ৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান এখনও চালু হয়নি। অন্যদিকে চালু ৮টি পাটকলের পাটজাত পণ্য অবিক্রীত থাকার কারণে লোকসানের বোঝা ভারী হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। সমকালে শুক্রবার এ সংক্রান্ত রিপোর্টে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে।


বন্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আদৌ চালু হবে কি-না বা চালু হলেও আর কতদিন লাগতে পারে এবং পাটকলগুলোতে অবিক্রীত পাটজাত পণ্য সহসা বিক্রি বা রফতানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি-না, সে ব্যাপারে সরকারের তরফে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। বন্ধ মিলগুলো চালু হলে হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হতো। পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিংয়ে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ধাতস্থ হতে শুরু করায় পাট ও পাটজাত পণ্যের কদর দেশ-বিদেশে বৃদ্ধি পায়। লক্ষ্য করার বিষয় যে, পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হওয়ার সময়ও খুলনার আটটি পাটকলে বিপুল পরিমাণ পাটজাত পণ্য অবিক্রীত থাকছে। কেন এমন হলো, তা অবশ্যই খুঁজে বের করা উচিত। সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খুলনার চারটি শিল্প প্রতিষ্ঠান কেন এখনও চালু হলো না, এ ব্যাপারে অসুবিধা কী_ তা অবশ্যই খোলাসা করা উচিত। অথচ এগুলো চালু হলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি শিল্প উৎপাদনেও সেটা অবদান রাখত। তবে এসব কারখানা কোন ধরনের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচালিত হবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অতীতের মতো আমলাতান্ত্রিক কায়দায় চালু করা হলে এগুলো জাতির ঘাড়ে আরও ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে পুনরায় রুগ্ণ শিল্পের খাতায় নাম লেখাবে। এ ধরনের একটি পরিস্থিতি বন্ধ কারখানা চালু করতে গিয়ে সৃষ্টি হোক_ তা কেউ নিশ্চয়ই চাইতে পারেন না। তাই খুলনার বন্ধ কারখানাগুলো চালু করার সঙ্গে সরকারকে অবশ্যই এগুলো কোন ধরনের ব্যবস্থাপনার অধীনে পরিচালিত হবে সেটা নির্ধারণ করা উচিত। সরকারকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চারটি শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই। চালু ৮টি পাটকলে কেন উৎপাদিত পাটজাত পণ্য অবিক্রীত অবস্থায় আছে এবং এ জন্য উৎপাদন কৌশল, না বাজারজাত কৌশল দায়ী বা অন্য কোনো অন্তর্নিহিত কারণ রয়েছে কি-না, সেটাও জরুরি ভিত্তিতে খুঁজে বের করা দরকার।

No comments

Powered by Blogger.