ধর্ষণ মামলার বাদীর লাশ উদ্ধার

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠিতে কহিনূর বেগম (২৮) নােেমর এক ধর্ষণ মামলার বাদীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের গরংগল গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের মেয়ে। গতকাল সকালে লাশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বাড়ির কাছের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।  এ ঘটনায় খলিল হাওলাদার, জলিল হাওলাদার, মুনসুর ও সিদ্দিককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এর মধ্যে খলিল হাওলাদার ও জলিল হাওলাদার নিহতের ভাই। এ ঘটনায় নিহতের মা সালেহা বেগম (৬৫) অজ্ঞাতদের আসামি করে ঝালকাঠি থানায় খুনের অভিযোগে গতকাল মামলা করেছেন। ঝালকাঠি থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘নিহতের শরীরে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং পুকুর পাড়েও রক্তের দাগ দেখা গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর তাকে খুন করে পুকুরে ফেলে রাখা হলে ভাসমান ওই নারীর লাশটি অর্ধ বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার হয়।’
নিহতের ভাইয়ের স্ত্রী নাসরিন আক্তার (২৮) অভিযোগ করে বলেন, ‘যারা তার ননদকে ধর্ষণ চেষ্টা করেছিল তারাই তাকে খুন করেছে। বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল তারা। কিন্তু পুলিশ আসামিদের না ধরে তার স্বামী ও দেবরসহ নির্দোষ চার ব্যক্তিকে আটক করেছে। শেখেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল আমীন খান সুরুজ জানান, স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে ৫-৬ বছর ধরে কোহিনূর ভাইদের পরিবারে থাকতো। ঝালকাঠি সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী জানান, গতকাল সকাল ১০টায় তার কার্যালয়ে নিহত কোহিনুর বেগমের দায়ের করা মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ছিল। গত বছরের ২৪শে অক্টোবর ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে কোহিনূর বাদী হয়ে তার ভগ্নিপতি বাবুল ফকির (৩৫) ও একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (১৯)কে আসামি করে ঝালকাঠি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০(১) (২)/৩০ ধরায় একটি মামলা করে। আদালতের নির্দেশে আগামী ৩১শে জানুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তাকে নির্দেশ দেয়া হয় বলে জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.