আইভীও মাঠে :আওয়ামী লীগ শিবিরে বিভ্রান্তি by শাহেদ চৌধুরী ও এমএ খান মিঠু

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগে নতুন করে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় আবারও নির্বাচনে লড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আরেক প্রার্থী সাবেক সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন। আইভী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।


এদিকে বৃহস্পতিবার তিন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি অনেকটা আকস্মিকভাবে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে সাবেক সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালানোর পর থেকে মেয়র পদে প্রার্থিতা নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রীতিমতো দোটানায় পড়েছেন। তারা বিষয়টি স্পষ্ট করে জানার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সদুত্তর পাচ্ছেন না।
এ অবস্থায় দলের সমর্থনের বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফও পরিষ্কার করেননি। তিনি গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকায় নাসিক নির্বাচনে কাউকেই সমর্থন দেয়নি আওয়ামী লীগ। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকেই নারায়ণগঞ্জ গেছেন দলের তিন কেন্দ্রীয় নেতা। তারা কারও পক্ষে দলীয় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন কি-না, সেটা দলীয়ভাবে জানা নেই।
মাহবুবউল আলম হানিফের এমন বক্তব্য মানতে চাইছেন না নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা। তাদের ভাষায়, তিন নেতার বক্তব্য ফলাও
করে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তিন নেতাই একেএম শামীম ওসমানকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেখানে তারা কাউকে সমর্থন করেছেন কি-না, তা দলীয়ভাবে না জানার বিষয়ে অবাক হয়েছেন অনেকে। অনেকের মতে, কৌশলগত কারণেই দল সমর্থিত প্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে বলছেন না হানিফ।
অবশ্য মাহবুবউল আলম হানিফের বক্তব্যের সঙ্গে সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বক্তব্যের মিল রয়েছে। আইভী বলেছেন, এ নির্বাচনে কেউই আওয়ামী লীগের সমর্থন পাননি। দলের তিন নেতা ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে সাবেক সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। সুতরাং এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে তার স্পষ্ট কথা, নির্বাচন থেকে কেউ তাকে এক চুলও নড়াতে পারবে না।
দলের সমর্থন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন সমকালকে জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেওয়ার সুযোগ নেই। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের পক্ষে তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের উপস্থিতি আওয়ামী লীগের সমর্থনের বিষয়টি প্রমাণ করেছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে অন্য নেতারাও শামীম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাবেন। প্রায় অভিন্ন মন্তব্য করেছেন আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এদিকে মাহবুবউল আলম হানিফ নারায়ণগঞ্জে একেএম শামীম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাতে যাওয়া তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের সফরকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক হিসেবে অভিহিত করায় দলের ভেতর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের দু'জন সমকালকে জানান, প্রধানমন্ত্রী তাদের নারায়ণগঞ্জ পাঠিয়েছেন। তারা আইভীর বক্তব্যের সঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফের বক্তব্য মিলে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে।
শামীমের সমর্থনে তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের উপস্থিতির পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভক্তিও আরেক দফা প্রকাশ্য রূপ পেয়েছে। শামীম সমর্থকরা তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের উপস্থিতিতে চাঙ্গা হয়েছেন। কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছেন আইভী সমর্থকরা। এ অবস্থায় শামীম ওসমানের পক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরকে। তার পরিকল্পনা ও নির্দেশে নেতারা নারায়ণগঞ্জ গিয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন।
এ অবস্থায় কেন্দ্রের মতো নারায়ণগঞ্জেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে আগে থেকেই বিভক্তি ছিল। বৃহস্পতিবার তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের নারায়ণগঞ্জে একেএম শামীম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালানোর পর থেকে সেই বিভক্তি আরও প্রকট রূপ নিয়েছে। স্থানীয় জেলা ও শহর শাখার নেতাকর্মীরা স্পষ্ট দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একই সঙ্গে তারা নিজেদের পক্ষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কোমর বেঁধে মাঠে নামছেন।
শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, সভাপতি হওয়ার পরও তিনি নারায়ণগঞ্জে কেন্দ্রীয় তিন নেতার উপস্থিতির ঘটনা জানতে পারেননি। এটা দুঃখজনক। জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদিরের মতে, আইভীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তাই নেতাকর্মীরা তার পক্ষে রয়েছেন।
শহরের নলুয়াপাড়া এলাকার রনি নামে এক ভোটার জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ের পর হঠাৎ করেই দলের সমর্থন শামীম ওসমানকে দেওয়ায় আইভীর প্রতি জনগণের সমর্থন বাড়বে। কারণ একজন নারীর সঙ্গে এভাবে হঠকারিতা করার আগে আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় গণতান্ত্রিক দলের ভেবে দেখা উচিত ছিল। যেখানে আওয়ামী লীগ নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে অবিচল, সেখানে দু'জন পুরুষ প্রার্থীর বিপক্ষে একমাত্র নারী প্রার্থীকে সমর্থন না দিয়ে দলটি ভুল করেছে।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উত্তর-দক্ষিণের বিভক্তি ছিল শামীম ওসমানের বাবা প্রয়াত একেএম সামসুজ্জোহা ও আইভীর বাবা আলী আহাম্মদ চুনকার সময় থেকেই। বংশ পরম্পরায় সেই বিভেদ এখন শামীম ওসমান এবং ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মধ্যে গিয়ে ঠেকেছে। মাঝে কিছু সময় তারা চুপচাপ থাকলেও নাসিক নির্বাচনে দলীয় সমর্থন নিয়ে দু'জন পরস্পরের প্রতিপক্ষ হন। তবে শামীম সবসময়ই আইভীকে ছোট বোন এবং আইভী বড় ভাই হিসেবে শামীমকে সম্বোধন করেন। এবার এই দুই প্রার্থীর মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা কাজে আসেনি।
আইভী সমর্থক হিসেবে পরিচিত জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এসএম আকরাম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও পরে প্রত্যাহার করেছেন। তিনি আইভীর পক্ষে। যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরেই শামীম ওসমানের পক্ষে রয়েছেন। শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রচার চালাচ্ছেন আইভীর পক্ষে। সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা লড়ছেন শামীম ওসমানের পক্ষ হয়ে। আইভীকে সমর্থন করছেন জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদির। সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল হলেন শামীমপন্থি।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন ঝুঁকে আছেন আইভীর দিকে। শামীমকে সমর্থন দিচ্ছেন জেলা কৃষক লীগ সভাপতি নাজিম উদ্দিন। আবার জেলা সাধারণ সম্পাদক রোকনউদ্দিন হলেন আইভীপন্থি। শহর যুবলীগ সভাপতি সাহাদৎ হোসেন সাজনু সমর্থন করছেন শামীম ওসমানকে। আইভীর ছোট ভাই আহাম্মেদ আলী রেজা উজ্জ্বল শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক। জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাফায়েত আলম সানি ও মিজানুর রহমান সুজন হলেন শামীম ওসমানের সমর্থক।
শামীম-আইভী প্রশ্নে দলের বিভক্তি প্রসঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু বলেন, শামীম ওসমানের পক্ষেই নেতাকর্মী বেশি। নেতাদের মধ্যে আছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, বন্দর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ রশিদ, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম সাগর ও শহর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। সাংগঠনিক তিন থানার শীর্ষ ছয় নেতার মধ্যে পাঁচজনই শামীম সমর্থক।
আইভীর পক্ষে থাকা নেতাকর্মীদের বেশির ভাগই আইভীর আত্মীয়স্বজন। শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন হলেন আইভীর চাচা। জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদির ভগি্নপতি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন খালু। শহর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ আলী রেজা উজ্জ্বল ছোট ভাই। আত্মীয়তার যুক্তি মানতে নারাজ আইভী সমর্থক সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জিএম আরাফাত। তার মতে, আইভীর পক্ষে রয়েছে সাধারণ মানুষের সমর্থন। তারা আইভীর আত্মীয়স্বজন নন।
আওয়ামী লীগে বিভক্তির ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিউর রাবি্ব বলেন, দলের বেশির ভাগ নেতাকর্মী কার পক্ষে রয়েছেন সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। ভোটাররা কাকে নেতা নির্বাচন করবেন, সেটাই দেখার বিষয়। এ জন্য ৩০ অক্টোবরের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।
আইভীর ঘোষণা
শামীম ওসমানকে দল নয়, বরং তার কয়েকজন পূর্বপরিচিত রাজনৈতিক বন্ধু যারা এখন আওয়ামী লীগের বড় পদে রয়েছেন তারা সমর্থন দিয়েছেন। এটা কোনোভাবেই দলের সমর্থন হতে পারে না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাশী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। নির্বাচনের মাঠ এখন সবার জন্য উন্মুক্ত দাবি করে আইভী বলেন, দলীয়ভাবে তিন নেতাকে পাঠানো হলে সেটা তাকে অবহিত করা হতো। কিন্তু সেটা করা হয়নি। তাছাড়া ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিজেই বলেছেন, দলীয়ভাবে কাউকে সমর্থন করা হয়নি।
গতকাল দেওভোগের বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর স্পষ্ট উচ্চারণ, 'নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। ভোটগ্রহণ পর্যন্ত নির্বাচনের ব্যাপারে অবিচল থাকব। নির্বাচন থেকে আমাকে এক চুলও কেউ নড়াতে পারবে না। আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে নানা ধরনের অপপ্রচার ছড়ানো হতে পারে। আমার নারী সত্তার ওপর আঘাত হানা হতে পারে।' কোনো কিছুতেই তিনি ভোটারদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেন।
আইভীর দাবি, দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য অনুযায়ী কাউকে সমর্থন না দেওয়া হলে তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের নারায়ণগঞ্জ সফরকে দলের সমর্থন হিসেবে প্রচার করাটা অন্যায়। আইভীর কথা, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের সমর্থন কোনো ফ্যাক্টর নয়। যদি ফ্যাক্টর হতো তাহলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিধি সংশোধন করে সেখানে দলীয় প্রার্থীর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শামীম ওসমানকে ছাড় দিলেন না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেছেন, ছাড় কেন দেব? তিনি তো আমার বড় ভাই। ছাড় তো তার দেওয়ার কথা।
শামীম ওসমানের প্রতি তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের সমর্থনের ঘোষণাকে কীভাবে দেখছেন_ এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, 'এটা তাদের ব্যক্তিগত সফর এবং সমর্থন। এটাকে বড় করে দেখছি না।'
শামীম ওসমানের দাবি
দলের সমর্থনের কথা তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের মাধ্যমেই দলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন একেএম শামীম ওসমান। নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতার কারণে দল সমর্থনের বিষয়টি প্রকাশ্যে জানাতে পারেনি। তাই এ কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। তাছাড়া দলের এ সিদ্ধান্ত আগেই ঠিক করা ছিল দাবি করে শামীম ওসমান বলেছেন, এ বিষয়টি তার ছোট বোন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীও জানতেন। দল চেয়েছিল আইভী নিজে থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিক। নিশ্চয়ই তিনি (আইভী) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।

No comments

Powered by Blogger.