ক্যাচ ছাড়ার মাসুল গুনল দক্ষিণ আফ্রিকা

বিশ্বকাপ শেষে এত দিন মাঠের বাইরে ছিল কেবল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় ছয় মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলার ছাপ ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচটিতেও। ব্যাটে ভালোভাবে বল আসছিল না অনেকের। ফিল্ডিংয়ের সময় ক্যাচও ছাড়লেন গ্রায়েম স্মিথ, ইনগ্রামরা। এর যোগফল ৫ উইকেটের পরাজয়। হাশিম আমলার নেতৃত্বে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার ৭ উইকেটে ১৪৬ রান ৩ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় ক্যামেরন হোয়াইটের দল। শেষ ৯টি টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচে এটা অস্ট্রেলিয়ার মাত্র দ্বিতীয় জয়।চ্যাম্পিয়নস লিগেই যথেষ্ট নজর কেড়েছিলেন ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স।


সেমিফাইনালে নিউ সাউথ ওয়েলসের ২০৩ রান বেঙ্গালুরু পেরিয়ে গেলেও সেই ম্যাচে ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই তরুণ। তাই মাত্র ১৮ বছর ১৫৮ দিন বয়সে অভিষেক হলো অস্ট্রেলিয়া দলে। এটা আবার সবচেয়ে কম বয়সী দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে অভিষেকের রেকর্ড। হতাশ করেননি কামিন্স। ৪ ওভারে ২৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাই কামিন্সের প্রশংসা ঝরল অস্ট্রেলিয়ার টোয়েন্টি টোয়েন্টি অধিনায়ক হোয়াইটের কণ্ঠে, 'ওর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরটা ১৬০ হয়নি, আমরা ব্যাট করেছি ১৪৭ রানের লক্ষ্যে। টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে ১৩ রানের ব্যবধান কিন্তু কম নয়।'
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কেপটাউনের টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচটিতে অভিষেক হয়েছিল চারজনের। এটাও বিরল ঘটনা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে। সেই চারজনের অন্যতম আবার ডগ বোলিঞ্জার। ১২ টেস্ট আর ৩৬ ওয়ানডে খেললেও বিস্ময়করভাবে এত দিন টোয়েন্টি টোয়েন্টি খেলা হয়নি তাঁর। অভিষেকটা তিনি স্মরণীয় করেন নিজের প্রথম ওভারেই গ্রায়েম স্মিথকে (০) বোল্ড করে। তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক আমলা (৪) রানে আউট হলে শুরুতেই চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। ইনগ্রামের (২৮ বলে ৩৩) সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে চাপটা কমিয়েছিলেন জেপি ডুমিনি (৫৩ বলে ৬৭)। তবে ডুমিনি, মিলার (১৯ বলে ২০) ও বোথার (২ বলে ৪) উইকেট তিনটি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তার পরও ১৪৬ রানে বেঁধে রাখেন কামিন্স।
চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা দুটি সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়া ডেভিড ওয়ার্নার কোনো রান না করেই রান আউট হন। অস্ট্রেলিয়ার ওপর চাপটা আরো বাড়ত যদি ২ রানে থাকার সময় মরনে মর্কেলের বলে শেন ওয়াটসনের ক্যাচ স্লিপে নিতে পারতেন স্মিথ। ম্যান অব দ্য ম্যাচ সেই ওয়াটসনই ৩৯ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫২ করে! শেষপর্যন্ত মরকেলের বলে মিলারকে ক্যাচ দিয়ে তাঁর ফেরার সময় ৯.২ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ৮৩। শন মার্শ ১৯ বলে ২৫, ডেভিড হাসি ২৭ বলে ২৫ আর ক্যামেরন হোয়াইট ২২ বলে ২৮ করলেও ম্যাচটা গড়িয়েছিল শেষ ওভারে। অস্ট্রেলিয়ার তখন দরকার মাত্র ৬ রান। রুস্টি থেরনের করা সেই ওভারের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে ওয়েড স্ট্রাইক দিয়েছিলেন স্মিথকে। তিনি দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি আর তৃতীয় বলে ১ রান নিয়ে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন অস্ট্রেলিয়াকে। দুই দলের দ্বিতীয় টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে আগামীকাল, জোহানেসবার্গে। ক্রিকইনফো
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২০ ওভারে ১৪৬/৭ (ডুমিনি ৬৭, ইনগ্রাম ৩৩, মিলার ২০; কামিন্স ৩/২৫, ওয়াটসন ১/২৬)
অস্ট্রেলিয়া : ১৯.৩ ওভারে ১৪৭/৫ (ওয়াটসন ৫২, মার্শ ২৫, হাসি ২৫; মরকেল ১/২৪, বোথা ১/২২)
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শেন ওয়াটসন

No comments

Powered by Blogger.