পরকীয়ার কোন তথ্য পায়নি পুলিশ

শামারুখ মাহজাবিন সুমি’র সঙ্গে কারও পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল না বলে পুলিশকে নিশ্চিত করেছেন তার স্বামী সুলতান সাদাব। ঘটনার দিন সকালে সুলতান সাদাব ও মাহজাবিন একসঙ্গে বাসা থেকে বের হন। প্রাইভেট কারে থাকাবস্থায় মাহজাবিনের মোবাইল ফোনে বারবার একটি কল আসে। তা রিসিভ না করায় কে কল করেছে জানতে চেয়েছিলেন সাদাব। এ সময় মাহজাবিন তার এক বান্ধবীর কথা জানান। সাদাবের সন্দেহ হলে তিনি নিজে ফোনটি নিয়ে কল ব্যাক করে দেখেন একটি ছেলে তা রিসিভ করেছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয়। পরে মাহজাবিনকে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে নামিয়ে দিয়ে সাদাব জজ কোর্টে চলে যান। মাহজাবিনের মৃত্যুর পর এ বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দেন সাদাব। সাদাব তখন পুলিশকে জানান, এ ছাড়া তার স্ত্রী মাহজাবিনের সঙ্গে তার কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। স্ত্রী হত্যার অভিযোগে  গ্রেপ্তারকৃত সাদাব তিন দিনের রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন গতকাল জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন দুপুরে সাদাব বাসায় ফেরার পর তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তখন মাহজাবিন তাকে বলেছেন, বারবার কল করার কারণে বাধ্য হয়ে তিনি মিথ্যা বলেছেন। তিনি মনে করেছিলেন কোন পুরুষ বারবার এভাবে কল দিয়েছে জানলে সাদাব তাকে সন্দেহ করবেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি সাদাব তাৎক্ষণিকভাবে কল ব্যাক করবেন। পরে সাদাব ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এবং তথ্য নিয়ে জানতে পারে সে মাহজাবিনের জুনিয়র একটা ছেলে। মেডিকেলের মেধাবী শিক্ষার্থী মাহজাবিন ছিলেন একজন ভাল বিতার্কিক। বিতর্কে নানা পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। বিতর্ক করতে গিয়েই তার সঙ্গে মাহজাবিনের পরিচয়। ওই ব্যক্তির নাম প্রত্যয় বিশ্বাস। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত। বিতর্কের নানা তথ্যের বিষয়ে মাহজাবিনকে কল দিয়েছিলেন তিনি। এতেই বিপত্তি ঘটে স্বামী সুলতান সাদাব ও মাহজাবিনের মধ্যে।

মাহজাবিনের সঙ্গে কারও পরকীয়া সম্পর্ক ছিল না জানালেও তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য দিতে পারেননি সুলতান সাদাব। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি  বারবার হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সাদাব জানিয়েছেন, মাহজাবিন আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে এ বিষয়ে তেমন কোন তথ্য তিনি দিতে পারেননি। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশের রিমান্ডের শেষ দিন আজ এ বিষয়ে সাদাবের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.