নারী পুলিশ হতে অবমাননাকর পরীক্ষা

সেটা ‘টু-ফিঙ্গার এক্সামিনেশন’ নামে পরিচিত। এই পরীক্ষায় একজন নারী যন্ত্রণাবোধ করেন, সম্ভ্রমহানির গ্লানিতে আহত হন, সব শেষে অবসাদে ভরে যায় মনটা। এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় ইন্দোনেশিয়ার নারী পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সময় সতীত্বের পরীক্ষা দিতে গিয়ে। এ নিয়ে দেশটির ভেতরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই প্রথা বাতিলের দাবি উঠেছে।
আল জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কথিত সতীত্ব পরীক্ষাকে নারীর জন্য অবমাননাকর, বৈষম্যমূলক ও বেদনাদায়ক হিসেবে উল্লেখ করে তা অচিরেই বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া এইচআরডব্লিউয়ের ওই বিবৃতির বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ বিভাগ।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পুলিশের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পুলিশে যোগ দিতে হলে অন্যান্য পরীক্ষার পাশাপাশি নারীদের অবশ্যই সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ, যেসব নারী পুলিশ হতে চান, তাঁদের অবশ্যই সতীত্ব বজায় রাখতে হবে।
ভুক্তভোগী একজন নারীর ভাষ্য, ‘সতীত্ব পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশের মতো কষ্টদায়ক আর কিছু নেই।’
অপর এক নারীর ভাষ্য, ‘আমি আর সেই অভিজ্ঞতার কথা মনে করতে চাই না। এটা অবমাননাকর।’
দেশটির পুলিশের অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও এই ‘সতীত্ব পরীক্ষা’ প্রথার বিরুদ্ধে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। এ বিষয়ে এবার নিন্দা জানাল এইচআরডব্লিউ।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশের এক মুখপাত্রের দাবি, পুলিশে যোগ দিতে আসা নারী প্রার্থীদের মধ্যে যে যৌনবাহিত রোগ নেই, তা নিশ্চিত করতেই ওই পরীক্ষা করা হয়। পেশাদারি প্রক্রিয়ায় করা সতীত্ব পরীক্ষায় কারও কোনো ক্ষতি হয় না।
>>সতীত্ব পরীক্ষাকে নারীর জন্য অবমাননাকর, বৈষম্যমূলক ও বেদনাদায়ক হিসেবে অভিহিত করে তা অচিরেই বন্ধ করতে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। ছবি: এএফপি

No comments

Powered by Blogger.