আলবদর আজহার গ্রেফতার- ০ ১২শ’ মানুষকে হত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী বহু অপরাধের অভিযোগ -০ ট্রাইব্যুনাল-১-এর নির্দেশে গ্রেফতার- ০ ডিবি হেফাজতে, আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বুধবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামকে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।


গ্রেফতারের পর তাঁকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাজির করা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদালতে।
বুধবার দুপুর বারোটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের মানবতাবিরোধী অভিযোগে এটিএম আজাহারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করার পর তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের তোড়জোড় শুরু হয়। দুপুর সোয়া বারোটার দিকে তার রাজধানীর মগবাজারের ৯১/বি ওয়্যারলেস গেটের ৮তলা ভবনের ৭ম তলার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে পুলিশের একটি টিম। এর আগেই তার বাসার নিচতলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে ফেলে। দীর্ঘ প্রায় দুই ঘণ্টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার বাসভবনের সামনে অপেক্ষা করে। দুপুর দুইটার দিকে রমনা জোনের ডিসি নুরুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে জামায়াত নেতা আজহারকে গ্রেফতারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন।
রমনা জোনের ডিসি নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমরা আদালতের আদেশের লিখিত কপি পেয়েছি। আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পর পরই জামায়াত নেতা আজহারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানান, যেহেতু বুধবার তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না, সে কারণে তাকে বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। ট্রাইব্যুনালে হাজির করার আগ পর্যন্ত ডিবি হেফাজতে থাকবে জামায়াত নেতা আজহার। এর আগে দুপুর পৌনে বারোটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর প্রসিকিউশন জামায়াত নেতা আজহারকে গ্রেফতারের জন্য আবেদন জানান। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করার জন্য নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন তিনি সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
দুপুর প্রায় আড়াইটায় জামায়াত নেতা আজহারকে কড়া পুলিশী নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রিজনভ্যানে তোলার সময় বাড়ির সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে এটিএম আজহার বলেন, সরকার আমাকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করেছে। জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। বিজয় আমাদের হবে। দ্রুত তাঁকে প্রিজনভ্যানে তুলে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়।
এটিম আজহারুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায়। একাত্তরে জামায়াতের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের রংপুর জেলার সভাপতি ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অভিযোগ রয়েছে। রংপুর জেলায় আল বদর বাহিনী সংগঠিত করার ব্যাপারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে অভিযোগ আছে।
এটিএম আজহারের ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে। তাঁর এক মেয়ে সুমি থাকেন কানাডা। অপর মেয়ে মাহবুবা থাকেন সুইডেনে। আরেক মেয়ে উর্মি বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার জিয়াউল ইসলামের স্ত্রী। তাঁর স্বামী জিয়াউল ইসলাম বর্তমানে মিরপুর স্টাফ কলেজে কর্মরত। ছোট মেয়ে মারদিয়া ইডেন কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী। তাঁর একমাত্র ছেলে তাসলিম আজহার সুমন দিগন্ত টেলিভিশনের কর্মকর্তা। এটিএম আজহারুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর বাসায় থাকতেন স্ত্রী শামসুন্œাহার, ছেলে তাসলিম সুমন ও ছোট মেয়ে মারদিয়া।
এটিএম আজাহারুল ইসলাম কয়েক বছর আগে রাজধানীর মগবাজারের ৯১/বি, ওয়্যারলেস গেটের ৮ তলা ভবনের ৭ম তলার ফ্ল্যাট কিনে সেখানে বসবাস করে আসছেন। অষ্টম তলা ভবনটি ওমর ফারুক নামে আরেক জামায়াত নেতার। তিনি বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাসায় যাওয়ার পথে এটিম আজহারকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মোট ৫টি মামলা আছে। এর মধ্যে পল্টন থানায় ৩টি ও রমনা থানায় ২টি মামলা আছে। এসব মামলায় তাঁকে ২৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত ১৬ আগস্ট জামিন লাভ করেন তিনি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে তিনি গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত মগবাজারের বাসভবনেই অবস্থান করছিলেন। এক সপ্তাহের মাথায় তিনি ফের গ্রেফতার হলেন।
বাসভবনের কেয়ারটেকার বাবুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, স্যার (এটিএম আজহার) মুক্তি লাভের পর থেকে কার্যত গৃহবন্দী হয়েছিলেন। তাঁর বাসার চারদিকে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে পুলিশ সর্বক্ষণিক পাহারা দিতেন। পুলিশ স্যারকে বাসা থেকে বের হতে দেয়নি। বাসায় স্যারের সঙ্গে কেউ দেখা করতে এলে দেখা করতে দেয়া হয়নি। পরিবারের সদস্যরা ছাড়া তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারতেন না। সব সময়ই ২০-২৫ জন পুলিশ বাসার সামনে মোতায়েন থাকত। কেউ যদি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন তাহলে পুলিশ তাঁকে নানা ধরনের জেরা করে নাজেহাল করত।
রমনা জোনের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখার কথা সত্য নয়। তার সঙ্গে যে কেউ যখন তখন দেখা করতে পারতেন। যাতে তার কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা কেবল আদালতের নির্দেশে তার নিরাপত্তা দিয়েছি।
আদালত প্রতিবেদক জানান, প্রসিকিউটরদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়। বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেয়।
এর আগে বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম ম্ক্তুা আসামি এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের আবেদন জানান। গ্রেফতারের আবেদনে প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম মুক্তা বলেন, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ঝাডুয়াবিল ও পদপুকুর এলাকায় এম ইসলাম বিএসসিসহ নিরীহ নিরস্ত্র ১২০০ মানুষকে হত্যার সঙ্গে এটিএম আজহার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আজহারুল ইসলাম বাঙালী নিধনে পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত রাজাকার-আল বদর বাহিনীর নেতৃস্থানীয়দের অন্যতম।
প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম মুক্তা ভিক্টিমদের নাম প্রকাশ না করে শুধু ছদ্মনাম প্রকাশ করেছেন। যাতে করে তাদের পরিবারের ওপর কোন হুমকি না আসে। আজহারুল ইসলামের গ্রেফতারের আবেদনে তিনি আরও বলেন, রংপুর জেলা ছাত্রসংঘের সভাপতি ও কারমাইকেল কলেজের ছাত্র থাকার সুবাদে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে একাত্তরের এপ্রিল মাসে কারমাইকেল কলেজে এক অধ্যাপক ও তাঁর স্ত্রীসহ ১১ জনকে ধরে এনে দমদমা ব্রিজের কাছে নিয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মার্চের শেষে রংপুরের বিশিষ্ট আইনজীবী এ ওয়াই এম আলীকে (ছদ্মনাম) অপহরণ করে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে আটক করে রাখা হয়। এ সময় তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। এপ্রিলে দহিগঞ্জ শ্মশানের কাছে নিয়ে তাঁকে হাত-পা বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁর নিজ এলাকা বদরগঞ্জে হাপিড়ায় ৯ মাসের গর্ভবর্তী মহিলসিহ মোট ১১ জনকে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর নিজস্ব ৫০ সিসি মোটরসাইকেলে পাকিস্তানী পতাকা উড়িয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়মিত যাতাযাত করতেন। এছাড়া জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের নির্দেশে এটিএম আজহারুল ইসলাম বৃহত্তর রংপুর জেলায় রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনী গড়ে তোলেন।
গ্রেফতারের আবেদনে আরও বলা হয়, এটিএম আজহারুল ইসলাম একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি বিভিন্নভাবে লোকজনকে হুমকি দিচ্ছেন। হত্যা, গুমসহ নানা ধরনের হুমকি দেয়া হচ্ছে। যদি তাঁকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে তিনিও বাচ্চু রাজাকার হিসেবে পরিচিত মাওলানা আবুল কালাম আজাদের মতো পালিয়ে যাবেন।
এছাড়া এটিএম আজহারুল ইসলাম যে কোন সময় আত্মগোপন করতে পারেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইসিটি এ্যাক্ট ৩ (২) ধারায় অভিযোগ তদন্তে এসেছে। ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হওয়ার কারণে তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি সুকৌশলে অপপ্রচার চালিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বৃহত্তর রংপুর জেলার শান্তি কমিটি গঠন, রাজাকার আল বদর, আলশামস গঠন করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩ (২) ধারায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্মান্তরিত করা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দেশত্যাগে বাধ্যকরণসহ নানাবিধ অপরাধ সংঘটিত করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত রয়েছে, যা এখনও তদন্তে বেরিয়ে আসছে। তিনি মুক্ত থাকলে সমস্ত প্রমাণ বিনষ্ট হবে। বিচার কাজকে নস্যাত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করেছে। তাকে গ্রেফতার করা না হলে যেটুকু তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাও ধূলিসাত হবে।
গ্রেফতারের আদেশের পর প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের বলেন, একাত্তরে বৃহত্তর রংপুর জেলার ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন তিনি। ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ও কারমাইকেল কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় এটিএম আজহারুল ইসলাম মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন।
তিনি রংপুর-২ আসনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন। রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়ার বাসিন্দা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামী ছাত্রসংঘের (বর্তমানে ইসলামী ছাত্রশিবির) জেলা কমিটির সভাপতি ছাড়াও আলবদর বাহিনীর রংপুর শাখার কমান্ডার নিযুক্ত হন। কারমাইকেল কলেজের ৬ শিক্ষক এবং এক শিক্ষক-পতœীকে হত্যায় নেতৃত্ব দিয়ে রংপুর এক আতঙ্কের জনপদে রূপ দেন এটিএম আজহারুল ইসলাম।
১৯৭১ সালের ১৭ আগস্ট হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর জামায়াত-সৃষ্ট সশস্ত্র সংগঠন আল বদরকে মিলিশিয়া বাহিনীর স্বীকৃতি দেয়। এ উপলক্ষে ওইদিন আল বদর বাহিনী দেশের বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশের আয়োজন করে। এরই অংশ হিসেবে রংপুর সদরে আয়োজিত আল বদর বাহিনীর সভায় সভাপতিত্ব করেন এটিএম আজহারুল ইসলাম।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে বাঙালীর বিজয় নিশ্চিত হতে থাকলে আজহারুল ইসলাম রংপুর ছেড়ে চলে আসেন ঢাকায়। এরপর মেতে ওঠেন ইতিহাসের আরেক নৃশংস ও জঘন্য এক হত্যাযজ্ঞে। আজহারুল, নিজামী ও মুজাহিদ গংয়ের নেতৃত্বে দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং কলেজে স্থাপিত টর্চার সেলে নিয়ে চালানো হতো অকথ্য নির্যাতন। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে হত্যা করা হতো রায়েরবাজারের বধ্যভূমিতে।
১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দিন নরঘাতক আজহার তাঁর অন্য কয়েক সহযোগীর সঙ্গে পাকিস্তানে পালিয়ে যান। সেখান থেকে পাড়ি জমান সৌদি আরব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরবর্তী অনুকূল পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে আসেন আজহারুল। ১৯৭৭ সালে আবারও প্রকাশ্যে সক্রিয় হন জামায়াতের রাজনীতিতে। তবে ১৯৭১-এর অপকর্মের জের ধরে আজহারুল ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত নিজ জেলা রংপুরে যেতে পারেননি।
এটিএম আজহার ছাড়াও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর আরও ছয় নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁরা হলেন জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ, নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা, মোঃ কামরুজ্জামান, মীর কাশেম ্আলী। এছাড়াও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আব্দুল আলীমও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁদের এখন বিচার চলছে।

No comments

Powered by Blogger.