মনে এখনো মনরো

বেয়াড়া ঝোড়ো বাতাস বেমক্কা এসে হাজির। পরনের স্কার্টটাকে নিয়ে গেছে হাঁটুর খানিকটা ওপরে, একেবারে বিপজ্জনক সীমানায়! শশব্যস্ত হয়ে তিনি সেই স্কার্ট ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। মুখে দুষ্টু মিষ্টি হাসি। দ্য সেভেন ইয়ার ইচ ছবির সেই বিখ্যাত দৃশ্য।


বলা হয়, আর কখনো যদি মেরিলিন মনরো ক্যামেরার সামনে নাও দাঁড়াতেন, এই একটা ছবিই তাঁকে কিংবদন্তির মর্যাদা দিত।
মনরোর স্মরণে যখন ভাস্কর্য বানানোর পরিকল্পনা করছিলেন শিল্পী সেওয়ার্ড জনসন, স্বাভাবিকভাবেই মাথার মধ্যে ঘুরছিল এই একটা দৃশ্যই। অবশেষে সেই দৃশ্য অবলম্বনেই করাত-ছেনির পরশে বানানো হলো এক বিশাল ভাস্কর্য। মনরোর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীর সময় এই ভাস্কর্য প্রতিস্থাপিত হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়, মনরোর প্রিয়তম শহরে।
২৬ ফুট উঁচু আর ৩৪ হাজার পাউন্ড ওজনের প্রায় তিনতলা সমান উচ্চতার ভাস্কর্যটি প্রথমে ছিল শিকাগো শহরে। সেখান অনেকের ভ্রু কুঁচকে গিয়েছিল। তবে মনরোকে বেশি দিন সেই কুঁচকে থাকা ভ্রুর নিচে একজোড়া বস্ফািরিত চোখের সামনে আর থাকতে হলো হয়নি। শিকাগো থেকে ভাস্কর্যটি শেষে সরিয়ে আনা হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়, যেখানে মনরোর জন্ম, মৃত্যু। যেখানে তাঁর ক্যারিয়ার।
নিউইয়র্কে বসবাসরত নিউজিল্যান্ডের এক শিল্পী সম্প্রতি মনরোর বড়সড় একটা ‘পোর্ট্রেট’ বানিয়েছেন। কীভাবে? সকালের নাশতায় খাওয়া পাউরুটি দিয়ে!
ক্যামেরায় তোলা ব্যতিক্রমী ছবি আর ভিন্নধর্মী শিল্পকর্মের জন্য এরই মধ্যে মোটামুটি সুনাম কেড়েছেন হারগিভস। কদিন ধরে তাঁর মাথার মধ্যে ঘুরছিল কীভাবে মনরো আর তাঁর প্রিয় বিটলস ব্যান্ডের কিংবদন্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা যায়। সকালবেলা নাশতার টেবিলে ব্রেডে আলতো একটা কামড় বসাতেই হুট করে আইডিয়াটি চলে আসে মাথায়। ব্রেড! ব্রেডই হবে শিল্পের মাধ্যম!
জর্জ হ্যারিসনের আধখাওয়া ব্রেড নিয়ে প্রচলিত গল্পটিও কাজ করেছে অনুপ্রেরণা হিসেবে। কোনো একটা সংগীত সফরের সময় একটা ব্রেডের পুরোটা খেতে পারেননি ‘বাংলাদেশ’ গানের জনক হ্যারিসন। পরে সেই ব্রেড নিলামে বিক্রি হয়েছে অবিশ্বাস্য দামে।
৯০০ টুকরো ব্রেড দিয়ে ব্রুকলিনে নিজের স্টুডিওতে এই পোর্ট্রেটগুলো বানিয়েছেন হারগিভস।
তথ্য: এবিসি নিউজ, ডেইলি মেইল

No comments

Powered by Blogger.