সুপার গ্লু লাগিয়ে হত্যা করা হয় পরশকে

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে: দাবিকৃত ৫০ লাখ টাকা না দেয়ায় খুলনার পাবলিক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র আল মাসুদ পরশকে হাত-পা বেঁধে মুখে সুপারগ্লু লাগিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অপহরণের ১৪দিন পর গতকাল বিকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরশের সৎ-মামা সাইফুল ইসলাম বাবু, তার বন্ধু জামাল হোসেন ওরফে ডন মামা, ফিরোজ গাজীকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা এভাবে দিয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। কেএমপি’র ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. আওরঙ্গজেব মাহবুব সাংবাদিকদের আরও জানান, খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশার পাট রপ্তানিকারক আলাউদ্দিন হাওলাদারের বড়পুত্র খুলনার পাবলিক কলেজের বাণিজ্যিক দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র আল মাসুদ পরশকে গত ১৭ই মে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার বন্ধু আশিকসহ কয়েকজন তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ এবং কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পরশের বাড়িতে মোবাইল করে জানানো হয় তাকে অপহরণ করা হয়েছে একই সঙ্গে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণেরও দাবি করা হয়। পরশের পিতা আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, তাকে হুমকি দেয়া হয়েছে যে প্রশাসনকে জানানোর জন্য তার পরিণতি ভাল হবে না। ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণের মধ্যে তিনি ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হলেও তাদের পক্ষ হতে কোনরূপ সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি দৌলতপুর থানায় সৈয়দ আশরাফ হোসেন ওরফে আশিক, সৈয়দ আফতাব হোসেন, শেখ জুয়েল মাহমুদ, মো. আবদুল হালিম ও মো. রফিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। পরে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে এবং রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর মধ্যে আশিকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের মূল হোতা পরশের সৎ-মামা সাইফুল ইসলাম বাবুকে গতকাল সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক জামাল হোসেন ওরফে ডন মামাকে কুষ্টিয়া থেকে এবং ফিরোজ গাজীকে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.