‘দেশের বেশির ভাগ মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়’

বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেছেন, দেশ এখন রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে আছে। এই সঙ্কট হল আগামী নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে। বিরোধী দল চাইছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর সরকার বলছে তাদের অধীনে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কথা। তবে দেশের বেশিরভাগ মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। আজ নাগরিক ঐক্য নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়নে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। আলোচনায় অংশ নেন আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম, ড. আসিফ নজরুল,আইনজীবী ড. তুহিন মালিক ও রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ সরকার। ব্যারিস্টার রফিক উল হক অনুষ্ঠানের আয়োজক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশে যে রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দুই নেত্রীকে এক টেবিলে বসানোর উদ্যোগ নিন। জানি সেটা সম্ভব হবে না। কিন্তু এভাবে দুই নেতার বসা নতুন কিছু না। অনেক দেশে এ ধরনে সংলাপ হয়। প্রধান নেতারা এক টেবিলে বসে আলোচনা করেন। এক সঙ্গে টেলিভিশনের অনুষ্ঠানেও যান। তিনি বলেন, এখন দেশবাসীর প্রশ্ন সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন কিভাবে হবে? এ নিয়ে দুই দলের অবস্থান ভিন্ন। সেই ক্ষেত্রেও যদি মাহমুদুর রহমান মান্না উদ্যোগ নেন তাহলে স্বাগত জানাব। তবে অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না দুই নেত্রীর সংলাপের বিষয়ে অনেকটা হতাশা প্রকাশ করেই বলেন, আমাদের সবাইকে এমন চাপ দিতে যাতে তারা এক সঙ্গে বসতে বাধ্য হন। একই সঙ্গে তিনি ব্যারিস্টার রফিক উল হককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি যদি তাদের সংলাপে বসানোর আহবান জানিয়ে অনশনে বসেন এবং বলেন, তারা সংলাপে না বসলে আনশন ভাঙবেন না, সেই অনশনে ৫০ লাখ লোক সাপোর্ট দেয় তাহলে দেখবেন শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া দৌড়ে আপনার কাছে আসছেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, এই দুই দলের রাজনীতির বিপরীতে তৃতীয় রাজনৈতিক ধারা গড়ে তুলতে হবে। দেশে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠলে লুটপাটের রাজনীতির অবসান হবে।

No comments

Powered by Blogger.