সিসিমপুর-হালুমের রাগ

টুকটুকি, শিকু ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকেই। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে। যা জানতে হলেপড়তে হবে। হালুম খড়ের গাদার পাশে দাঁড়িয়ে রাগে থর থর করে কাঁপছে। তার হাতে ছিপ ও খলুই।
এমন সময় সুমনা এসে বলল, হালুম কী করছ?


হালুম বলল, আমি খুব রেগে আছি সুমনা। রাগে আমি কাঁপছি।
সুমনা বলল, কেন হালুম?
হালুম বলল, শিকু আর আমার মাছ ধরতে যাওয়ার কথা। ও বলেছিল এখানে আসবে। কিন্তু শিকু এখনো আসছে না! রাগে আমার শরীর থর থর করে কাঁপছে।
সুমনা বলল, হুম, হালুম রাগ করা ভালো। তবে আমি তোমার রাগ কমিয়ে দিতে পারি।
হালুম বলল, কীভাবে?
সুমনা বলল, আমি যখন রেগে থাকি তখন গান ধরি। গান গাইলে রাগ কমে যায়। আমার সাথে গাও !
সুমনা গান গাইতে শুরু করল।
হালুম বলল, অসম্ভব ! রেগে গেলে গান গাওয়া যায় না।
সুমনা বলল, চেষ্টা করো। কমতেও পারে। সুমনা চলে যায়।
হালুম ভাবল, একবার চেষ্টা করে দেখা যাক। হালুম গুনগুন করে গান গাওয়ার চেষ্টা করল। গাইতে গাইতে হালুম বুঝল, তার রাগ কমে যাচ্ছে। হালুম গলা ছেড়ে গান গাইতে লাগল।
এদিকে শিকু হন্তদন্ত হয়ে এসে দেখল হালুম আনন্দে গান গাইছে। সে রাগে গরগর করতে করতে বলল, হালুম, তুমি এখানে গান গাইছ! আমি তোমার জন্য বটতলায় কতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি।
হালুম বলল, তোমার তো এই খড়ের গাদার কাছে আসার কথা শিকু! তাই আমি এখানেই অপেক্ষা করছি।
শিকু বলল, না না বটতলাতে দেখা করার কথা ছিল। আমি খুবই রেগে আছি হালুম।
হালুম বলল, মনে হয় আমরা দুজনে ভুল বুঝেছি। তবে, তোমার রাগ হলেও সমস্যা নাই। রাগ কমাবার একটা পদ্ধতি শিখেছি।
শিকু অবাক হয়ে বলল, কীভাবে?
হালুম বলল, গান গাইলে রাগ কমে যায় শিকু। আমি গান গাইছি, তুমিও আমার সাথে গাও।
হালুম গাইতে শুরু করল। হালুমের সাথে শিকুও গলা মেলাল। কিছুক্ষণ পর শিকুরও রাগ কমে গেল।

No comments

Powered by Blogger.