সিসিমপুর-চাঁদ আঁকল ইকরি

টুকটুকি, শিকু ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকেই। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে। যা জানতে হলেপড়তে হবে। শিকু, টুকটুকি আর ইকরি পাশাপাশি বসে মনোযোগ দিয়ে ছবি আঁকছে। এমন সময় সুমনা এসে জানতে চাইল, তোমরা তিন বন্ধু মিলে কী করছ?


টুকটুকি ছবি আঁকতে আঁকতে মাথা তুলে বলল, আমরা তিনজনই চাঁদের ছবি আঁকছি সুমনা।
সুমনা খুশি হয়ে বলল, বাহ! নিশ্চয় চমৎকার চমৎকার চাঁদের ছবি দেখতে পাব!
সুমনা টুকটুকিকে বলল, টুকটুকি, দেখি তুমি কেমন চাঁদের ছবি এঁকেছ?
টুকটুকি সুমনাকে তার আঁকা ছবিটা দেখিয়ে বলল, দেখ আমি আকাশে পূর্ণিমার চাঁদের ছবি এঁকেছি। রুপার থালার মতো এত্ত বড় গোল চাঁদ। আর জোছনার আলোয় চারদিক আলোকিত হয়ে উঠেছে। সুমনা টুকটুকির ছবি দেখে বলল বাহ! খুবই চমৎকার ছবি এঁকেছ টুকটুকি।
এবার সুমনা শিকুকে বলল, শিকু, তোমার ছবিটা দেখাবে?
শিকু বলল, অবশ্যই! এই দেখ। আমি আকাশে অর্ধচন্দ্র এঁকেছি। বাঁকা চাঁদ যাকে বলে বুঝলে!
সুমনা ছবিটা দেখে বলল, তুমিও খুব সুন্দর চাঁদের ছবি এঁকেছ শিকু। চাঁদ কখনো কখনো এ রকম সরু আর বাঁকা হয়। তখন চাঁদের আলো কম থাকে, কিন্তু দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
সুমনা এবার ইকরির কাছে এগিয়ে গিয়ে বলল, ইকরি, তুমিও নিশ্চয় দারুণ একটা চাঁদের ছবি এঁকেছ?
ইকরি উৎসাহের সাথে ছবিটা দেখিয়ে বলল, হ্যাঁ, দেখ দেখ সুমনা, ইকরির চাঁদের ছবিটা দারুণ হয়েছে না!
সুমনা দেখল, ইকরির ছবির ক্যানভাসটা পুরো কালো রং করা। সেখানে চাঁদের কোনো ছবিই নেই! সুমনা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ইকরি, তোমার ছবিটা তো পুরো কালো। চাঁদ কোথায়! আমি তো কোনো চাঁদ দেখতে পাচ্ছি না।
ইকরি হেসে বলল, আছে। এখানেই চাঁদ আছে। চাঁদটা কালো মেঘে ঢেকে আছে। তাই এখন দেখা যাবে না। মেঘ চলে গেলে তুমি ঠিকই দেখতে পাবে সুমনা।
ইকরির কথায় সুমনা তো ভীষণ অবাক! সে বলল, ইকরি, দারুণ ছবি ইকরি! তবে মেঘটা সরে গেলে আমাকে খবর দিয়ো। আমি তোমার আঁকা চাঁদটা দেখতে চাই।
ইকরি বলল, আচ্ছা।

No comments

Powered by Blogger.