রমণীয় নয়-হেঁশেলের অর্থনীতি থেকে নারীমুক্তি by মালেকা বেগম

‘অনন্যা শীর্ষ দশ-২০০৯’ পুরস্কারের ‘অনন্য’ অনুষ্ঠানের (৪ মার্চ, ২০১০) মূল সুরটি বাড়ি ফেরার পথে গুনগুনিয়ে উঠছিল মনের ভেতরে। নারীর বৈষম্য-বঞ্চনা-নির্যাতনের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে সমাজ-ব্যক্তি-রাষ্ট্রের সমবেত চেষ্টায়—এই ছিল অনুষ্ঠানের মূল অভিব্যক্তি।


ষোড়শী এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা অনন্যা পত্রিকাটির সঙ্গে নানাভাবেই প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলেছিলাম প্রথম থেকেই। কখনো লিখেছি, কখনো পত্রিকার আলোচনা সভায় কথা বলেছি, কখনো পুরোনো কোনো সংখ্যা সংগ্রহের প্রয়োজনে অফিসে গিয়েছি, পত্রিকার সব কর্মী, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক, লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি, সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি, অন্তরঙ্গ আমন্ত্রণে যোগ দিয়েছি এবং ‘অনন্যা শীর্ষ দশ’ ও ‘সাহিত্য পুরস্কার’-এর সব অনুষ্ঠানে ১৬ বছর ধরে আগ্রহভরে যোগ দিয়েছি। যেমন গিয়েছি এবারের অনুষ্ঠানেও। তবে এবারের মতো মিলনায়তন উপচেপড়া ভিড় আগে কখনো দেখিনি। জানা গেল, পুরস্কৃত নারীদের পরিবারের স্বজনেরা বহু সংখ্যায় এসেছিলেন। নারীবান্ধব পারিবারিক পরিবেশের কারণেই নারীরা কৃতী হতে পারছেন। লোডশেডিংয়ের গরমের মধ্যে এই উপলব্ধির সুবাতাস অন্তত স্নিগ্ধ করেছে।
প্রতিবছর ১০ জন কৃতী নারীসহ ১৬০ জন ব্যক্তিত্ব (অবশ্যই অনন্যার বিচারকমণ্ডলীর নির্বাচিত) পুরস্কৃত হয়েছেন। এবার যাঁরা পুরস্কৃত হয়েছেন তাঁরা হচ্ছেন রওশন আরা (ভাষা আন্দোলন), শীলা মোমেন (শিক্ষা), রীনা ফওজিয়া (উচ্চাঙ্গ যন্ত্রসংগীত), মৌলুদা বেগম (কারুশিল্প), শবনম ফেরদৌসী (প্রামাণ্যচিত্র) ড. ফাহমিদা খাতুন (অর্থনীতি), মনিরা রহমান (সমাজকল্যাণ), তাহনিয়াত আহমেদ করিম (ব্যাংকিং), হোসনে আরা বেগম (প্রশাসন), সালমা হক (বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকল্যাণ)। এঁদের সবার সঙ্গেই নানা কাজে প্রীতির অটুট বন্ধনে আমি সমৃদ্ধ হয়েছি। অভিনন্দন সবাইকে।
এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আরও বহু কৃতী নারী আছেন, যাঁরা অনন্যা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হননি, কিন্তু তাঁদের কৃতিত্ব তাতে ম্লান হয়নি—এ কথাটা নির্বাহী সম্পাদক দিল মনোয়ারা বললেন যথাযথ গুরুত্ব দিয়েই। প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি যথেষ্ট গৌরবের সঙ্গে জানালেন, ২০০৭ সালের পুরস্কৃত শীর্ষ দশ অনন্যার মধ্যে তিনিও ছিলেন একজন। তবে অনন্যার দূরদৃষ্টি প্রশংসনীয় যে, রাজনীতিতে কৃতী নারী হিসেবে তাঁকে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
বিশেষ অতিথি অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত অনুষ্ঠানে বেশ তীব্রভাবে নারীর আর্থসামাজিক রাষ্ট্রীয় অস্বীকৃতির প্রশ্ন তুলেছেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে নারীর বৈষম্য, নারীর অবমূল্যায়ন, ‘হেঁশেলের অর্থনীতি’তে নারীর প্রতি অন্যায্য, অবিচার-স্বাস্থ্যহানিকর অব্যবস্থা; কৃষিশ্রমে, শিল্পশ্রমে অবদানের অস্বীকৃতি, রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে অবদানের ক্ষেত্রে নারীর যথাযথ মূল্যায়ন না করার বিষয়ে তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে সরকার, সমাজ ও পরিবারের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাকে দায়ী করেছেন।
তাঁর এ বক্তব্যের মধ্যে শ্রোতা-দর্শকদের হাততালি পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ছিল যে, নারীর সব ধরনের সংগ্রাম, শ্রমসাধ্য কাজ, হেঁশেলের স্বাস্থ্যহানিকর পরিশ্রম, পরিবারের সেবামূলক ক্লান্তিকর কাজ—এসবের স্বীকৃতি সংসারের প্রিয়জনেরা যেমন দেয় না, তেমনি দেয় না সমাজ এবং সরকার-রাষ্ট্র। ‘শুধু ফিতা কেটে নানা উদ্বোধন করে সরকার দায় সারতে চাইলে হবে না।’ প্রধান অতিথি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব অনুযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ‘ফিতা কাটা’র নেতিবাচক দিক প্রসঙ্গে দর্শক-শ্রোতাদের হাততালি ও সমর্থনসূচক সায়ের বিষয়ে কিছুটা বিনয়, কিছুটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানালেন, ‘কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকারের ফিতা কাটার প্রক্রিয়া চলেছে, ফিতা কাটা বাহ্য, কাজটাই প্রধান।’
শুনতে শুনতে ভালোই লাগল যে সরকারের খুব ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, অর্থনীতিবিদ বাজেটের প্রাক্কালে ‘অর্থনীতি সমিতি’র বাজেট প্রস্তাবের লিখিত প্রবন্ধটির আগাম উপস্থাপনা করলেন এবং ‘নারীর অধিকার ও হিস্যা’র বিষয়ে সরকারের অবশ্যকরণীয় প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দিলেন। ধন্যবাদ তাঁকে।
তবে তিনি যে ভাবনাগুলো (প্রায় ১৪টি) বলে বলে প্রতিবার প্রশ্ন রেখেছেন ‘কেউ কি ভেবেছে’ এবং নিশ্চিতভাবে বলেছেন ‘কেউ ভাবেনি’, কথাগুলো সঠিক নয়।
বাংলাদেশের সমাজবিদ, সমাজসংস্কারক, অর্থনীতিবিদ, সমাজতন্ত্রী চিন্তাবিদ, গণতন্ত্রকামী নারী-পুরুষ, নারী আন্দোলন, পরিবেশ আন্দোলন, মানবাধিকার আন্দোলনের সহযোগী একনিষ্ঠ কর্মীরা এসব বিষয়ে ভাবছেন, সমাধানের প্রস্তাব দিচ্ছেন, নিজেরা স্বচ্ছ থেকে কাজ করছেন। কিন্তু মূল জায়গায় কাজ হচ্ছে না। সেটি হচ্ছে—১. সংসার, পরিবার, সমাজের শিকড়ে গেঁথে থাকা নারী-হেনস্থা, নারী-বঞ্চনা, নারী-নির্যাতন, নারী-বৈষম্যের চরম অবমাননা ঘটেই চলেছে নীরবে-সরবে। ২. সরকার গঠিত হয় এসব ক্ষেত্রের নারী-পুরুষ দিয়ে, যেখানে ‘পুরুষতান্ত্রিকতা’র আধিপত্য দাপট দেখাচ্ছে।
সরকার-রাষ্ট্র নীরবে এড়িয়ে যাচ্ছে নারীর সব ধরনের অসাম্য-বৈষম্যমূলক আইন-নীতির বৈপ্লবিক সংস্কার করার বিষয়ে সাংবিধানিক দায়দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সর্বত্র পুরুষতান্ত্রিক, নারী প্রগতিবিরোধী মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অবস্থানের ক্ষেত্রে দৃঢ়, প্রকাশ্য, অব্যাহত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ড. আবুল বারাকাত ‘কেউ কি ভেবেছে’ বলতে যদি সরকারকে বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি সঠিকভাবেই বলেছেন নারীর অবদানের স্বীকৃতি দিতে সরকার স্থিতিশীল পদক্ষেপ নেয় না। সেই সূত্রে ‘ফিতা কাটা’ প্রসঙ্গটি একদিকে বাস্তব ও ইঙ্গিতবহ।
প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘সরকার’-এর সমালোচনায় স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছিলেন। সরকার বলতে যে ‘বর্তমান ক্ষমতাসীন’ দল বা ‘সরকার’কে বোঝায় না, এটা একটা রাষ্ট্রীয় কাঠামো, রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিচালক ও সর্বোপরি রাষ্ট্রের নীতি-আইননির্ধারককে বোঝায়, সেটা উপলব্ধি করলেও দলের সমর্থনে অবস্থান নিয়ে তিনি ‘প্রধানমন্ত্রী’র নারীবান্ধবনীতি ও প্রচেষ্টার বিষয়ে প্রথাবদ্ধ গুণগান করলেন।
তবে প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে তিনি যেতে পারেননি সামাজিক প্রসঙ্গেও। ‘সম্পত্তির উত্তরাধিকার’ ও ‘বখাটেদের উত্ত্যক্তে মেয়েদের আত্মহত্যা’ প্রসঙ্গে তিনি প্রথাগতভাবেই পরিবার ও নারীকেই দায়ী করলেন, তাদের ওপরই করণীয় নির্ধারণ করে দিলেন যে অধিকার বুঝে নিতে হবে মেয়েদেরই। সম্পত্তির উত্তরাধিকার আইনে ধর্ম-জাতি নির্বিশেষে ছেলেমেয়ের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব পুরোটাই সরকারের। আইনে যদি সংস্কার আনা হয় যে, পরিবারের যৌথ সম্পত্তিতে ছেলে বা মেয়ে উভয়েরই সমান অধিকার, বাবার সম্পত্তিতে একমাত্র সন্তান মেয়ে হলেও সেই পুরো সম্পত্তি পাবে—চাচার ছেলেসন্তান সেখানে ভাগ বসানোর অধিকার পাবে না—তাহলেই মেয়েটি বঞ্চিত হবে না, ছেলেরও কোনো দাবি-পদক্ষেপ থাকবে না বোনের-মায়ের সম্পত্তি গ্রাস করার। এর পরও যদি বোন নিজের সম্পত্তি ভাইকে লিখে দেয়, তাতে বঞ্চনার-বৈষম্যের কোনো অভিযোগ কেউ দাখিল করবে না। অর্থাৎ প্রথমত, আইনত সরকারকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে মেয়ে ও ছেলের মধ্যে আর্থসামাজিক-শিক্ষা-বিবাহসম্পর্কিত এবং অন্য সব বিষয়ে (উদাহরণ দিয়ে বলা যায় চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনের ১২টি ইস্যু, যেগুলো বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃতি ও গুরুত্ব দিয়েছে) কোনো বৈষম্য, বঞ্চনা, নির্যাতন, আধিপত্য ও অধীনতা থাকবে না। বাস্তবেও সরকারের সব কাজের মধ্যে নিরবধি অব্যাহত থাকবে এই নীতি ও আইন বাস্তবায়নের সততা। শুধু ‘বিশেষ দিবসে’ গত্বাঁধা বুলি, ফিতা কাটা, পুরস্কার-পদক দেওয়ার পর্বেই ইতি টানলে চলবে না। ব্যক্তি মেয়েটি যদি রাষ্ট্রীয় সুশাসনের, মানবাধিকারের পাটাতনে সুসম-স্বাধিকার অর্জন করতে পারে শিক্ষায়-উপার্জনে, চলাফেরায়-সংস্কৃতির বিকাশে, সম্পর্কের স্বচ্ছন্দ গতিতে; তাহলেই তার জীবনের চলার পথটি মসৃণ হবে, বিকশিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি রাজনীতির মসৃণ পথে হাঁটেননি, এখনো তাঁকে অসম এবং পুরুষ আধিপত্যবাদী সমাজব্যবস্থার কণ্টকাকীর্ণ রক্ষণশীল, অপমানসিকতার পরিবেশে কাজ করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাঁর সৌভাগ্য, বাধা ডিঙানোর মতো সহায়ক পরিবেশ তিনি পেয়েছেন পরিবারে, সংসারে ও রাজনীতিতে। কিন্তু শতকরা ৯০ ভাগ নারীর (গ্রাম-শহর-শ্রেণী-ধর্ম-জাতি নির্বিশেষে) জীবনে এমন সুসম পরিবেশ-সহায়তা ক্ষণিকের জন্যও জোটে কি না সন্দেহ। ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন শহরের থানার পুলিশের আয়ত্তের মধ্যেই ছিনতাই-রাহাজানি, নারীর সম্ভ্রমহানি, খুন, উত্ত্যক্ত করার মতো অত্যাচার কিশোরী-তরুণীদের এবং তাদের মা-বাবা-ভাইবোন-স্বজনদের জীবনহানির ঘটনা আমাদের যেমন শিহরিত করছে, তেমনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও যন্ত্রণা দিচ্ছে, লজ্জায়-দুঃখে তিনি ‘অনন্যা শীর্ষ দশ’ অনুষ্ঠানে সে বিষয়ে বললেন বেশ বিমর্ষ কণ্ঠেই। সে জন্য তাঁর কথায় আকৃষ্ট হয়েছি সহমর্মিতায়। তবে গত্বাঁধাভাবেই তিনি যখন মেয়েদের ‘আত্মহত্যার’ জন্য পরিবারের অনুদার পরিবেশ-ধিক্কার-তিরস্কারকেই দায়ী করলেন এবং বখাটে-উত্ত্যক্তকারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকারের উচ্চপদ-ক্ষমতার দায়বদ্ধতা থেকে একটিও হুঁশিয়ারি দিলেন না (অপরাধীকে দমনের দায়বদ্ধতা সরকারের সবারই, প্রশাসনের এবং সামাজিক মানুষের তো বটেই), তখন আমরা শ্রোতা-দর্শক সবাই দুঃখ পেলাম, লজ্জিত হলাম।
আমরা যারা সচেতন, শিক্ষিত, অধিকার আন্দোলনে সোচ্চার হই—(নারী আন্দোলনের সংগঠক কর্মীরাই প্রধানত এবং মানবাধিকার আন্দোলনের নারী-পুরুষ সবাই) লিখি, সাহিত্য রচনা করি, পড়াই এবং পড়ি, গবেষণা করি ও নীতিনির্ধারণে পরামর্শ দিই; সবাই কেমন যেন দায়সারা কথা বলি, গত্বাঁধা পথে চলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।
মনে পড়ল সম্প্রতি স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলাম এক মতবিনিময় সভায় (প্রথম আলো, ১ মার্চ, ১০) বলেছেন, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজ থেকেই আন্দোলন চালিয়ে ভেঙে ফেলতে হবে অনড় অচল পশ্চাৎপদ রক্ষণশীল সমাজকে, সব অসাম্য-বৈষম্য-নির্যাতনের কাঠামোকে। প্রসঙ্গটি ছিল রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক। তাঁর লেখায়-বিভিন্ন বক্তব্যে তিনি শ্রমজীবী গার্মেন্টসের নারীদের অবদানের কথাও বলেছেন।
এসব ক্ষেত্রে বৈষম্যের, অসাম্যের বিরুদ্ধে যে জনগণের সম্মিলিত বিপ্লব গড়ে তুলতে হবে, তা প্রতিনিয়তই আমরা শিক্ষিত, মধ্যবিত্তরা বুঝতে পারছি, কিন্তু কাজটি করছি না, কেননা কোনো না কোনোভাবে আমরা আত্মসন্তুষ্ট হয়ে আছি।
পুরোনো-পচা-পশ্চাৎপদ-রক্ষণশীল সমাজের খোলস বদলানোর কাজই আমরা করছি, ভূমিকম্প ঘটিয়ে ভাঙতে চাচ্ছি না সমাজকে, বরং ভূমিকম্পকে ভয়ই পাচ্ছি। এ উপলব্ধি নিয়েই অনুষ্ঠানের স্থল ‘সুফিয়া কামাল মিলনায়তন’ থেকে বেরিয়ে এলাম। শ্রদ্ধেয় প্রয়াত সুফিয়া কামালের পূর্ণ অভাববোধ আমাকে পীড়িত করছে এখনো।
মালেকা বেগম: নারী আন্দোলনের কর্মী, শিক্ষক, গবেষক।

No comments

Powered by Blogger.