অরণ্যে রোদন-হা বিদ্যুৎ হা পানি হা গ্যাস! by আনিসুল হক

কবি রফিক আজাদ একবার একটা কবিতায় লিখেছিলেন, আমাদের নাগরিকেরা কোনো ত্যাগই স্বীকার করতে জানে না, শুধু দুটো বিশেষ ত্যাগ ছাড়া। সেই দুটো ত্যাগ কী, তা আর বললাম না। এবার আমাদের নাগরিকদের কাছে সরকার একটা বিশেষ রকমের ত্যাগ স্বীকারের আবেদন জানিয়েছে।


তা হলো সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের উত্তুঙ্গ সময়টাতে শীতাতপযন্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। তা যদি করা হয়, তাহলে যে বিদ্যুৎ বেঁচে যাবে, তা দিয়ে অনেক এলাকাকে পুরোপুরি অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়া থেকে বাঁচানো যাবে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, কয়েক লাখ ছেলেমেয়ে পরীক্ষার হলে বসছে, তাদের কথা চিন্তা করে হলেও এই ত্যাগটা শীতাতপযন্ত্রের মালিকেরা করতে পারেন। আমি দেখেছি, যাঁদের টাকা হয়, তাঁদের গরম বেশি লাগে, তাঁরা মাঘের রাতেও শীতকযন্ত্র চালু করে পুরো ঘর সাইবেরিয়ার তুষারাচ্ছাদিত প্রান্তরের মতো শীতল বানিয়ে রাখেন। সন্দেহ নেই, তাঁরা তাঁদের ঘরবাড়ি অফিসের শীতকযন্ত্রগুলো এই চৈত্রের সন্ধ্যায় বা রাতে বন্ধ করতে চাইবেন না। কিন্তু এই টাকাওয়ালাদের আবার গরম সহ্য করার শক্তিও থাকে বেশি। আমরা দেখেছি, এরা ক্রিকেট মাঠেও কাঠফাটা গ্রীষ্মের দুপুরে কোট-প্যান্ট-টাই পরে হাজির হন।
জানি না, অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থানের মতো শীতাতপযন্ত্রে শরীর জুড়োনো মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে কি না। তবে মানুষের গার্হস্থ্য বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সরকার অনেকেরই বিরাগভাজন হয়ে থাকবে। যারা সরকারের এই ঘোষণায় বিক্ষুব্ধ কিংবা বিরক্ত, তাদের পাল্টা প্রশ্ন, মন্ত্রীরা, এমপিরা কি তাঁদের বাসভবনে দপ্তরে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এসি বন্ধ রাখবেন? অত্যন্ত সংগত প্রশ্ন। আশা করি, মন্ত্রী-এমপিরা এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন। যদি দেন, তাহলে জবাবদিহিমূলক শাসনের উদাহরণ তৈরি হবে।
আমি সরকারের এই আবেদনে সাড়া দিতে প্রস্তুত আছি। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দেশে বিদ্যুতের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এ সময়ে যদি আমি কৃষককে বলতে পারি, তোমরা সেচকল চালাবে না, তাহলে প্রত্যেক নাগরিককে বলতে পারব, তোমাদের আরাম-আয়েশের উপকরণগুলো একটু কম করে চালিয়ো। পৃথিবীব্যাপী এখন বৈশ্বিক উষ্ণতা বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হয়েছে, ব্যবহার শেষে মুঠোফোনের চার্জারটাও সকেট থেকে বিযুক্ত করতে বলা হচ্ছে। একটুখানি বিদ্যুৎ পোড়ানো মানেই একটুখানি কার্বন পোড়ানো, পৃথিবীকে আরেকটু উষ্ণ করে তোলা। পৃথিবী উষ্ণ হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হব আমরাই, বাংলাদেশের অনেকাংশই সে ক্ষেত্রে ডুবে যাবে পানির নিচে। কাজেই আমাদের উচিত যথাসম্ভব কম বিদ্যুৎ, গ্যাস, কয়লা, তেল পোড়ানো।
আমাদের একটা আজব অভ্যাস গড়ে উঠেছে। আমি নিউমার্কেটে সকাল ১০টায় গিয়ে কোনো দোকান খোলা পাই না। চুল কাটার জন্য সেলুনে গিয়ে ১০টার সময় দাঁড়িয়ে থাকি, দোকানিদের ১০টায় আসার কথা, তারা হেলতে-দুলতে আসে ১০টার পরে। অথচ সূর্য ওঠে ছয়টার আগে, সাড়ে পাঁচটাতেই চারদিক আলোয় ঝলমল করে। আমরা রোজ এত দেরি করে আমাদের শপিং মলগুলো কেন খুলি? কারণ এগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। এবার আসে সেই পিক আওয়ারের প্রশ্ন। সন্ধ্যার পর পিক আওয়ারে কেন একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মার্কেট খোলা থাকবে? আমাদের কি বিদ্যুৎ বেশি হয়ে গেছে? অথচ যেসব দেশে বিদ্যুতের কোনো সংকট নেই, সেসব দেশে বিকেল পাঁচটার সময়ই সাধারণত সব বড় শপিং মল বন্ধ হয়ে যায়। আমেরিকায় বা ইউরোপের বেশির ভাগ দেশে এটাই নিয়ম। এমনকি ঘোরতর গ্রীষ্মে, যখন তাদের সূর্য ডোবে রাত আটটায় কি ১০টায়, তখনো তারা পাঁচটার মধ্যেই দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। আর আমরা দেরি করে দোকানপাট খুলি আর দেরি করে বন্ধ করি। এই একটা কারণেই আমি সূর্যের আলো সাশ্রয় সময় বা ডে-লাইট সেভিং টাইমের সমর্থক ছিলাম। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বিরুদ্ধে ছিলেন এবং তিনি প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ডে-লাইট সেভিং টাইমের বিরুদ্ধে একটা তীব্র লেখা লিখেছেন। আমরা আনন্দিত যে সরকার সংবাদপত্রের কথায় কান দিয়েছে, সংবাদমাধ্যম আসলে জনমতের প্রতিফলন ঘটায়, কখনো কখনো জনমত তৈরিও করে। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। তবে ড. ইকবাল ওই লেখায় আরেকটা কথা বলেছিলেন, ডে-লাইট সেভিং টাইম চালু না করেও অফিস-আদালতের সময়সূচি বদলে দেওয়া যায়। আমার মনে হয়, বেশি বদল না করাই ভালো, কারণ মানুষ একটা নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তা থেকে সরে যেতে চায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও একথা বলব, পিক আওয়ারে আমাদের বড় মার্কেটগুলো বন্ধ রাখা উচিত। পয়লা বৈশাখের পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, খাবার ও ওষুধের দোকান বাদে বাকি দোকানপাট পিক আওয়ারে বন্ধ রাখা যেতে পারে। বিদ্যুৎহীনতা এখন একটা জাতীয় দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। এ সময়ে আমাদের প্রত্যেককেই কিছু না কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে তাঁদের অনুপ্রাণিত করে সরকার এ ব্যাপারে একটা উদ্যোগ নিয়ে দেখতে পারে।
কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে সমস্যার স্থায়ী সমাধান না করা গেলে শুধু টোটকা ব্যবস্থা দিয়ে পরিস্থিতির অবনতি থামানো যাবে না। এ বছরটাও মানুষ হয়তো ধৈর্য ধরে সহ্য করে যাবে, আগামী গ্রীষ্মে মানুষ পথে নেমে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য সিলেটে একটা নতুন বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করতে গিয়ে আমাদের আশার বাণী শুনিয়েছেন। সাত দিনে খানিকটা উন্নতি হবে, ২০১৩-তে উন্নতি হবে প্রভূত, আর ২০২০-এ এ দেশ পরিণত হবে উদ্বৃত্ত-বিদ্যুতের দেশে।
আমরা প্রধানমন্ত্রীর কথায় আশ্বস্ত বোধ করছি। ধৈর্য ধারণ করছি। সিলেটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বেসরকারি উদ্যোগে ছোট ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে পারে সমস্যার জরুরি সমাধানের একটা পথ। তবে গ্যাস এখন পাওয়া যাচ্ছে না। কাজেই তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রই আপাতত গড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে বাধা হচ্ছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, টেন্ডার নিয়ে প্রভাবশালীদের চাপ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতি ও দুর্নীতি। বছর দেড়েক আগে প্রথম আলোর সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে একটা গোলটেবিল বৈঠক করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, এই দেশে বিদ্যুৎ-সমস্যার সমাধানে ‘পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কোনো বিকল্প নেই’। ঝুঁকি নিরসন ও বর্জ্য নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সাপেক্ষে আমাদের আসলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকেই যেতে হবে। আশা করি, রাশিয়ার সহযোগিতা নিয়ে যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনের চেষ্টা চলছে, সেটা বাস্তবায়িত হবে।
প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস এখন কাতার থেকে আমদানির কথা বলা হচ্ছে। তাহলে আমরা গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ থেকে গ্যাস আমদানিকারক দেশ হিসেবে নাম লেখাতে যাচ্ছি। এরপর হয়তো আর কেউ গ্যাস রপ্তানির কথা পাড়বেন না। কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন তো করতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততা আমাদের অর্জন করতে হবে। সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলিষ্ঠ, দ্রুত, বাস্তবোচিত আর সেই সিদ্ধান্তে সবার ওপরে রক্ষা করতে হবে দেশের স্বার্থ।
আমাদের নদীগুলোকে রক্ষা করতে হবে। বুড়িগঙ্গা-শীতলক্ষ্যার পানি শোধনের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এর কারণ প্রধানত শিল্পবর্জ্য। আমাদের শিল্পকারখানাগুলো থেকে অশোধিত বর্জ্য জলাশয়ে-নদনদীতে ফেলা কি আমরা বন্ধ করতে পারবই না? এর পরে আছে মনুষ্যবর্জ্য। ঢাকা শহরের মনুষ্যবর্জ্য সরাসরি নদীতে গিয়ে মিশছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলে না। এ ব্যাপারে নীরবতা ভঙ্গ করতে হবে এবং ঢাকা ওয়াসাকে ব্যবস্থা নিতেই হবে। হয়তো হাতিরঝিল প্রকল্প এ ক্ষেত্রে একটা আদর্শ হতে পারে। ঢাকা শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিবছর ১০ ফুট করে নেমে যাচ্ছে। ১০ বছর পরে আর গভীর নলকূপ থেকে পানি উঠবে না। আমাদের শহরের ৮৭ ভাগ পানি আসে গভীর নলকূপ থেকে। আমাদের বিকল্প খুঁজতেই হবে। মাটির ওপরের পানি ব্যবহার করতে পারতে হবে। ঢাকা ওয়াসার অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে এই ব্যাপারে। আশুলিয়া এলাকায় জলাধারে পানি ধরে রাখা, সাভার এলাকায় আবিষ্কৃত নতুন ভূগর্ভস্থ জলাধার ব্যবহার, পদ্মা-মেঘনার পানি ব্যবহার—নানা পরিকল্পনাই আছে। এসব পরিকল্পনাকে প্রকল্পে রূপান্তর করে অবিলম্বে কাজ শুরু করে দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে রাজউক নিয়ম করে দিতে পারে, যাতে নতুন বাড়ি বানানোর নকশায় বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক বলে গণ্য হবে। ঢাকা শহরের জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তাতে ২০২১ সালে ঢাকায় জনসংখ্যা আসলে কত হবে, কেউ বলতে পারে না। ঢাকা ওয়াসার হিসাবে সেটা হবে দেড় কোটি, আমার ধারণা আসলে হবে দুই কোটির বেশি। সে ক্ষেত্রে যদি ওয়াসার সব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়ও, পানির সংকটে পড়বে ৫০ লক্ষাধিক মানুষ। আর পানির সমস্যা সমাধানে একটা তাত্ক্ষণিক উপায় আছে, তা হলো সবগুলো পাম্পে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা। সরকার এত জায়গায় এত টাকা খরচ করে, মানুষকে পানি দেওয়ার জন্য কয়েকটা জেনারেটর কেনার টাকা জোগাতে পারে না, এ কেমন কথা?
আমাদের এক সাবেক প্রেসিডেন্ট জনসভায় বলতেন, আপনারা কলাগাছ লাগান। আমি তখন ছোট, বিস্ময় বোধ করতাম, এত গাছ থাকতে তিনি কলাগাছ লাগাতে বলেন কেন! এখন বুঝি, কারণ কলাগাছ লাগালে বছর ঘোরার আগেই ফল পাওয়া যাবে। আম জাম কাঁঠালের ফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে কমপক্ষে এক যুগ!
আমাদের সরকারগুলোর এই একটা ‘কলাগাছ’ রোগ আছে। তাঁরা এমন গাছ লাগাতে চান না, যার ফল পাঁচ বছরের মধ্যে ধরে না। বিদ্যুতের জন্য বিনিয়োগ করব আমি আর ফিতা কাটবে পরের সরকার, এটা কোনো সরকার কল্পনাও করতে পারে না। কিন্তু এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। পানি গ্যাস বিদ্যুৎ দিতে না পারলে পরিস্থিতি কী হয়, বিএনপি সরকারের আমলে কানসাট আর যাত্রাবাড়ী তা দেখিয়ে দিয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি ও যানজট নিরসনেরও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দরকার। আরেকটা কথা, যানজট কেবল ঢাকা শহরে হয় না, মহাসড়কগুলোতেও হয়। আমরা কেন রেল ও নৌ-যোগাযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছি না? ঢাকা-চট্টগ্রাম আরও একটা নতুন মহাসড়ক যদি হতে পারে, কেন নয় তাতে দুই লেনের রেল সড়কও থাকবে? তাতে তো ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে সাধারণ রেলগাড়িতেই চার ঘণ্টার বেশি সময় দরকার হবে না! বন্দরনগরের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগে রেলপথের দূরত্ব কমিয়ে আনা খুবই জরুরি। সেটা পরিবেশ ও জলবায়ুবান্ধবও হবে। আমরা কি কেবল জলবায়ু তহবিল থেকে সাহায্যই চাইব, নাকি আমরা নিজেরাও একটা সবুজ উন্নয়ননীতি গ্রহণ করব? নাকি বাস-ট্রাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই থাকব?
সরকারের সামনে কর্তব্যকর্মের পাহাড় জমে গেছে, তার সবই করতে হবে; বিদ্যুৎ পানি গ্যাস দিতে হবে মানুষকে, দিতে হবে খাদ্য, শিক্ষা, ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা, স্থাপন করতে হবে আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা, রক্ষা করতে হবে নদী জলাধার বন কৃষিজমি! সামলাতে হবে বেপরোয়া নেতা-কর্মীদের। সেই সব কথা স্মরণ করিয়ে বলি, ১৪১৬-এর আবর্জনা দূর হয়ে যাক, নতুন বছর আমাদের সবার জন্য শুভ হোক, আর সেটা করার দায়িত্ব সরকারেরই। কিন্তু নাগরিকদেরও যে কিছুটা কর্তব্য আছে, তা যেন আমরা ভুলে না যাই।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.