ইলিয়াস আলীকে খোঁজার তৎপরতা থেমে গেছে

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারে দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই। নিখোঁজ হওয়ার ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইলিয়াসকে খোঁজার তৎপরতা পুরোপুরি থেমে গেছে।


ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, সেই আশ্বাসে তিনি অপেক্ষায় রয়েছেন।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষপর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, ইলিয়াস আলীকে নিয়ে এখন কোনো বাহিনীর কোনো তৎপরতা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, তারা ধারণা করছে, ইলিয়াস আলী আর বেঁচে নেই। এ কারণে অভিযান নিয়ে কোনো মাথাব্যথাও নেই।
গত ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেল থেকে বনানীর বাসায় যাওয়ার পথে বনানী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক আনসার। বনানীর রাস্তায় পাওয়া যায় ইলিয়াসের গাড়িটি। এর পর থেকেই দাবি করা হয়, ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করতে পুলিশের গুলশান বিভাগ, বনানী থানা, ডিবি, র‌্যাব মাঠে নেমেছে। কিন্তু তারা আদৌ কী করছে, তা কেউ বলতে পারছে না। সরকারের সব কটি গোয়েন্দা সংস্থা এ নিয়ে কাজ করছে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু চোখে পড়ার মতো তৎপরতা নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে নিয়ে পুবাইলে অভিযান চালানো ছাড়া পুলিশ বা র‌্যাব আর কোথাও কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি। তারা এখন নীরব হয়ে আছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে গত সোমবার আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ ঘটনা তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। ঢাকা মহানগর হাকিম মুনিরুজ্জামানের আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে এভাবে আরও একবার নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে পুলিশ। ইলিয়াস নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা পর পর তদন্তের অগ্রগতি জানাতে পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। সেই নির্দেশ মেনে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা পর পর প্রায় একই ধরনের প্রতিবেদন দাখিল করছে পুলিশ।
র‌্যাবের গণমাধ্যম ও আইন শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, ইলিয়াস আলী উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা চলছে। যখন সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু পাওয়া যাবে, তখনই সব বলা যাবে। তবে তৎপরতা থেমে নেই।

No comments

Powered by Blogger.