শুধু প্রত্যাহার নয়, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে-পুলিশ সুপারের কাণ্ড

পুলিশ সুপার মীজানুর রহমান কয়েক দিন ধরে সংবাদের জন্ম দিয়ে চলেছেন। তবে যে কাজের মাধ্যমে তিনি আলোচনায় এসেছেন তা একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য তা একেবারে বেমানান।


গত শুক্রবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাতের আঁধারে শতাধিক পুলিশ আর অর্ধশত শ্রমিক মীজানুরের নির্দেশে গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাটের মধ্যে সীমানা নির্ধারণের ঘোষণা দিয়ে চরগোবরা গ্রামবাসীর জমির ফসল কেটে নিয়ে যায়। ওই এলাকার ব্যক্তিমালিকানার জমিতে পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাও তাঁদের আত্মীয়দের নামে মালিকানা দাবি করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন। এসব কাজে বাধা দিতে গেলে নাজেহাল হন গ্রামবাসী।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হয়ে এভাবে ক্ষমতার দাপটে জনগণের বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে যা ইচ্ছে তাই আচরণ কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। বাগেরহাটের পুলিশের এমন বেপরোয়া আচরণের বিষয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনের নির্দেশে সেসব পুলিশ প্রত্যাহার করা হয় এবং টাঙানো সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়। গত শনিবার মীজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করে তাঁকে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু শুধু প্রত্যাহার নয়, যথাযথ তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
মীজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আগে বিভিন্ন সময়ে বেপরোয়া আচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠেছিল। সর্বশেষ কাণ্ডটি পুলিশের পেশায় তাঁর থাকার নৈতিক অধিকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এমন একজন পুলিশের জন্য পুরো পুলিশ বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পুলিশের প্রতি জনমনে অনাস্থা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। এ বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে পুলিশ সদস্যের এমন আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া জরুরি।

No comments

Powered by Blogger.