ভ্যাপসা গরম ডায়রিয়ার প্রকোপ

ভ্যাপসা গরম ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে নগরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ঘরে ঘরে শিশু থেকে শুরু করে বড়রাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর ভিড় ততটা না থাকলেও বিভিন্ন বেসরকারি চিকিৎসকের চেম্বারে ভিড় রয়েছে।


চিকিৎসকদের মতে, এখনকার মানুষ সচেতন। তাই ডায়রিয়া হলে আক্রান্ত লোকজন প্রাথমিকভাবে খাওয়ার স্যালাইনসহ নানা পথ্য গ্রহণ করে থাকেন। এ ছাড়া প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। তাই অনেকের হাসপাতাল পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
চিকিৎসকেরা জানান, গরমের কারণে দ্রুত খাবার নষ্ট হওয়া, দূষিত পানি পান এবং ধুলা-ময়লাজনিত খাবার গ্রহণের কারণে ডায়রিয়া আক্রান্তের হার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতে প্রতিদিনই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসছে। তিনটি মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির দিন ১৫-২০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে মেডিসিন ওয়ার্ডের সহকারী অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের চেয়ে এখন ডায়রিয়া রোগী বেশি। আমাদের এখানে ১০০ থেকে ১২০ জন রোগী ভর্তি হয়। তার মধ্যে ডায়রিয়া রোগী অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। গরমের কারণে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।’
একইভাবে শিশুস্বাস্থ্য ওয়ার্ডেও রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গতকাল চমেক হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য ওয়ার্ডে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ছিল চারজন। এ ছাড়া বহির্বিভাগেও অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ডের সহকারী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, গরমের সময় দ্রুত খাবার নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া অনেকে রাস্তাঘাটে ময়লা খাবার ও পানি পান করে। যার কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। তবে তা অন্যান্য বছরের মতো নয়। তিনি আরও বলেন, ‘এখন মানুষ আগের চেয়ে সচেতন। যার কারণে ডায়রিয়া হলে দ্রুত স্যালাইন কিংবা পথ্য গ্রহণ করেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমাদের চেম্বারেও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গতকাল ১৫ জন শিশু ভর্তি ছিল। এ ছাড়া হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডেও ছিল ডায়রিয়া রোগী।
ডায়রিয়া এড়ানোর জন্য চিকিৎসকেরা বাসি খাবার না খাওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও বিশুদ্ধ পানি পানের ওপর জোর দিয়েছেন। সাবধানতা অবলম্বন করলে ডায়রিয়া মুক্ত থাকা সম্ভব বলে তাঁরা মনে করেন।

No comments

Powered by Blogger.