টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-সংসদ বর্জনের ধারা থেকে বেরিয়ে এলে দলের প্রতি আস্থা বাড়বে

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার বিএনপির সংসদে যাওয়ার ইঙ্গিত: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উত্সাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ আজ ছাপা হলো; বাকি অংশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে।


মাসুদ পারভেজ, শিক্ষার্থী, শাবিপ্রবি
জাতীয় সংসদকে কার্যকর রাখতে দেশের প্রধান বিরোধী দলের যোগদান একান্ত আবশ্যক। সব দলেরই উচিত সহিংসতা বর্জন করে সংসদে অংশগ্রহণ করা এবং আলোচনার মাধ্যমে দেশের সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা। সুতরাং বিএনপির সংসদে অংশগ্রহণ করার ইঙ্গিত আশাব্যঞ্জক। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে এটি হবে এ মুহূর্তের এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
আফরোজ, চাকরিজীবী
মাদারীপুর
বিএনপির সংসদে যাওয়ার ইঙ্গিত খুবই ভালো লক্ষণ। যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সংসদে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। আমি আশা করি, বিএনপি সংসদে যোগ দেবে এবং ভবিষ্যতে তাদের এই মনোভাব বজায় রাখবে।
মো. শেখ সাদী, শিক্ষার্থী
সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
বিএনপিকে আমি সাধুবাদ জানাই। এবং আমি মনে করি, এত দিনে তাদের শুভবুদ্ধি হয়েছে।
আবদুর রহমান, শিক্ষক (অব.)
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড
জনগণ চায় সরকার ও বিরোধী দলের সমন্বয়ে একটি প্রাণবন্ত সংসদ। কিন্তু দুঃখজনক হলো, আমাদের বর্তমান ও অতীতের সব বিরোধী দল সংসদ বর্জন করাকে রাজনৈতিক তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করেছে। এতে বঞ্চিত হয়েছে দেশের মানুষ। সংসদে না গিয়ে বর্তমান বিরোধী দল তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে চলেছে। আসল কথা হলো, বিরোধী দল সংসদ বর্জনের ধারা থেকে বেরিয়ে এলে তাদের ওপর জনগণের আস্থা বাড়বে এবং তারা রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে।
শতাব্দী গুণ, শিক্ষার্থী
নারায়ণগঞ্জ
যেকোনো দেশের গণতন্ত্রকে সুস্থ ধারায় পরিচালিত করার লক্ষ্যে সরকারি ও বিরোধী উভয় দলেরই সংসদে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে সক্রিয় ও সম্মিলিত ভূমিকা রাখা কর্তব্য। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলের সংসদে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী।
মীর আবদুল আউয়াল
মত্স্য কর্মকর্তা (অব.), রাজবাড়ী
বিএনপি যে সংসদে যাচ্ছে, এই ইঙ্গিতটা ভালো। তবে এটা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। সংসদে বিরোধী দল না থাকলে সরকারি দল তাদের সুবিধামতো আলোচনা করে যায়। জনগণ অনেক কিছুই জানতে পারে না। সংসদে আলোচনা প্রাণবন্ত হয় না।
মামুন সরকার, শিক্ষার্থী
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ
বিএনপি দীর্ঘদিন সংসদে অনুপস্থিত থাকার পর চলতি অধিবেশনে যোগ দেওয়ার যে ইঙ্গিত দিয়েছে, তা দেশবাসীর জন্য আশাব্যঞ্জক। আমরা আশা করব, এর পরবর্তী সব সংসদীয় অধিবেশনে বিএনপি উপস্থিত থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখবে।
বিকাশ রঞ্জন কর, শিক্ষার্থী
ময়মনসিংহ
স্বাধীনতার ৩৮ বছরেও সংসদ কার্যকর হয়নি। গণতন্ত্রের সঠিক চর্চার জন্য সংসদ অন্যতম স্থান। তাই প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির এখনই সংসদে যাওয়া উচিত।
রহিমা আক্তার, লেখক
তেজগাঁও, ঢাকা
একটু দেরিতে হলেও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। দাবি আদায় করবে, কিন্তু সেটা মাঠে, ঘাটে, রাজপথে কেন? প্রথমে তাদের সংসদে এসে সরকারি দলের মুখোমুখি হওয়া প্রয়োজন ছিল। সম্মতির জন্য ধন্যবাদ। দেখি, এখন কী হয়।
মঞ্জুরুল ইসলাম, শিক্ষার্থী
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী
বিরোধী দল শুধুমাত্র প্রথম অধিবেশনে হাজির হয়েছিল। তারপর প্রায় এক বছর ধরে তারা সংসদে অনুপস্থিত। এখন তারা সংসদে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে তাদের সদস্যপদ টিকিয়ে রাখার জন্য।
জাহিদ, চাকরিজীবী
রংপুর
সরকারের ভুল ও ব্যর্থতাগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরে তাদের সচেতন করার জন্য বিরোধী দলের সংসদে আসা উচিত বলে মনে করি।
বিশ্বজিত্ সেন, কবি ও গল্পকার
চট্টগ্রাম
দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার পর বিএনপি আবারও সংসদে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। আমার মনে হয়, এ বিষয়টি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের জন্য অবশ্যই এ মুহূর্তে একটা সুসংবাদ। আমরা আশা করব, বিএনপি সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে গঠনমূলক বক্তব্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে এবং সংসদে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করবে। সংসদগামী বিএনপিকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।
মো. মুজাহিদুল ইসলাম খান, শিক্ষার্থী
জেলা পরিষদ মোড়, লালমনিরহাট
বিএনপির উচিত ইশারা-ইঙ্গিত বাদ দিয়ে সংসদে যোগ দেওয়া। কারণ, সংসদ হলো গঠনমূলক রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সরকারি দলও তাদের সংসদে ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী নয়। তাই বিএনপি সংসদে যাবে নাকি আন্দোলনে যাবে, এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান তারা স্পষ্ট করবে।
মুহাম্মদ ইব্রাহিম
কবি ও নাট্যকার, চট্টগ্রাম
বিএনপিকে জনগণ ভোট দিয়েছিল সংসদে গিয়ে তাদের সুখ-দুঃখের কথা বলার জন্য। এত দিন তারা সংসদে না গিয়ে জনগণের সঙ্গে একধরনের প্রতারণাই করেছে। এখন তাদের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আশা করি, তারা সংসদে গিয়ে অতীতের মতো কাদা ছোড়াছুড়ি না করে দেশের মানুষের অধিকারের কথা বলবে।
মো. আবু তালেব, চাকরিজীবী
শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
বিভিন্ন দাবি ও অভিযোগ এনে সংসদে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এটা দলের জন্য ফলপ্রসূ নয়। তারা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে। দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির পর দলটির পক্ষ থেকে সংসদে চলতি অধিবেশনে যোগ দেওয়ার যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, তা অবশ্যই একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য মঙ্গলজনক।
এম এ ওয়াহাব, সংবাদপত্র এজেন্ট
সরিষাবাড়ী, জামালপুর
বিএনপির সংসদে যাওয়ার ইঙ্গিত শুভ লক্ষণ। তারা সংসদে ফিরলে সরকারি দলের উচিত তাদের সঙ্গে সদাচরণ করা। বিএনপিরও উচিত সামান্য কারণে সংসদ বর্জন না করা।
মো. মনিরুজ্জামান
কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক
কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ
বিএনপির সংসদে যোগ দেওয়ার কারণ, তারা তাদের সংসদ সদস্যপদ হারাতে চায় না। তবে জনগণ খুশি হবে, যদি তারা সংসদে স্থায়ী হয়। সংসদে স্থায়ী হলেই তারা সক্ষম হবে তাদের গণতন্ত্রের চর্চার ক্ষেত্রে।
সনজিত্ কুমার দত্ত, প্রশাসনিক কর্মকর্তা
জগন্নাথ হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপি চলমান সংসদ অধিবেশনে যোগদান প্রশ্নে এখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে। সংসদে বেশি দিন অনুপস্থিত থাকলে সংসদ সদস্যপদ হারানোর ভয় আছে। এই আশঙ্কায় বিএনপি সংসদে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। যা-ই হোক, বিএনপি সংসদে ফিরে আসুক এবং জনগণের কথা বলুক, তা আমরা চাই। কেননা দেশ ও জনগণের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই বিএনপির সংসদে ফিরে আসা উচিত।
মণি অরণ্য, কৃষক
নবীনগর, সাভার
বিএনপি নিজের অবস্থান সম্পর্কে স্বচ্ছ নয়। এমনটি ’৯৬-এর নির্বাচনের পরেও আমরা দেখেছি। যা-ই হোক, জাতীয় সমস্যা সমাধানের কেন্দ্র আমাদের জাতীয় সংসদ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংসদ বর্জন করে গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। বিএনপি সংসদে আসবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা চাই, সংসদে আসার ইঙ্গিত সত্যি হোক।
মো. মোহতাসীনুল হক, ব্যাংকার
দিলকুশা, ঢাকা
বিএনপি সংসদে যাচ্ছে, এটা জেনে ভালো লাগছে। তবে এ যাওয়া যেন সংসদ সদস্যপদ রক্ষার আনুষ্ঠানিকতা না হয়।
রাশেদ খান, শিক্ষার্থী
শ্যামলী, ঢাকা
বিরোধী দল সংসদে যাবে—আমি মনে করি এটা একটা ইতিবাচক দিক। দেশের মানুষ চায়, বিরোধী দল সংসদে গিয়ে দেশের কথা বলবে এবং সরকারি দলকে ভালো কাজে সাহায্য করবে।
কে এম রফিকুল কাদের, এনজিও কর্মী
অজহর রোড, নেত্রকোনা
শুধু বিএনপিকে দোষ দিলে চলবে না। নিজেদের মধ্যেও সমঝোতা থাকতে হবে। প্রতিকূল নয়, অনুকূল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে দেশের বৃহত্ একটি বিরোধী দলকে কথা বলার পূর্ণ সুযোগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, সংসদ সবার অধিকার প্রতিষ্ঠার পূর্ণ গৃহ।
মো. আবুল কালাম, চিকিত্সক
জামালখান, চট্টগ্রাম
বিএনপিকে সংসদে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব সরকারি দলের। তাদের সংসদে রাখার দায়িত্বও তাদের। তাদের প্রতি কোনো কটাক্ষ্য বা নিন্দাসূচক বক্তব্য কাম্য নয়।
মো. কামাল খান, শিক্ষার্থী
কলমাকান্দা, নেত্রকোনা
বিএনপি সংসদে যোগ দিলে তা হবে একটি ইতিবাচক দিক। তাদের গঠনমূলক সমালোচনায় দেশ এগিয়ে যাবে বলে আশা করি।
আবদুর রহিম, শিক্ষার্থী, বগুড়া
আমার মনে হয়, বিএনপি তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তারা সংসদে গেলে বেশি লাভবান হবে। সরকারের ভুলগুলো সংসদে গিয়ে আলোচনা করলে জনগণের সমর্থন বেশি পাবে তারা। সরকারও চাপের মধ্যে থাকবে। সর্বোপরি গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকবে।
মুক্তা রহমান, সমাজকর্মী
চাঁদপুর
আমি মনে করি, সরকারের দায়িত্বটা এ ক্ষেত্রে বেশি। সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে বিএনপি যে অভিযোগ তুলেছে, তার কোনো প্রতিক্রিয়া সরকারি দলে দেখা যায়নি। অতএব বিএনপির এই অভিযোগ সত্য বলে মনে করি। বিরোধী দলকে সংসদে নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের দায়িত্ব অনেক বেশি।
মো. নজরুল ইসলাম, চাকরিজীবী
দেবীদ্বার, কুমিল্লা
যেহেতু জনগণ ভোট দিয়ে তাদের নির্বাচন করেছে, তাই তাদের সংসদে যাওয়া উচিত।
এসডি রুবেল, শিক্ষার্থী
ঘাটাইল, টাঙ্গাইল
বিএনপির সংসদে যাওয়ার ইঙ্গিত নিঃসন্দেহে ভালো। তাদের এই সিদ্ধান্ত যেন বাস্তবে প্রতিফলিত হয়।
রানা চৌধুরী, কম্পিউটার প্রকৌশলী
মতিঝিল, ঢাকা
নির্বাচনের আগে তারা সংসদে গিয়ে সাধারণ মানুষের কথা সংসদে বলবে বলে ভোট চায়, কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদ বয়কট করে। বিএনপির রাজনীতি হলো, সালিস মানি কিন্তু তালগাছ আমার। এসব রাজনৈতিক ব্যবসায়ীকে আমাদের বয়কট করা উচিত।
মোবারক হোসেন, শিক্ষার্থী
সাগরদীঘি, টাঙ্গাইল
বিভিন্ন দাবি ও অভিযোগ নিয়ে সংসদে যাওয়া থেকে বিরত থাকছে বিরোধী দল। দলটির পক্ষ থেকে সংসদে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এটাকে আমি সাধুবাদ জানাই। দেশ ও জনগণের স্বার্থে বিএনপি সংসদে গিয়ে আলোচনা করলে দল ও দেশের মঙ্গল হবে।

No comments

Powered by Blogger.