শাসনব্যবস্থা-সরকার ও দলের দূরত্ব কমানো কেন গুরুত্বপূর্ণ by এ এম এম শওকত আলী

সরকার ও দলের দূরত্ব কমাতে ক্ষমতাসীন দলের বর্ধিত সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার খবর পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ক্ষমতা লাভের সাত মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হলেও এক বছরেও এ দলের সাংগঠনিক তত্পরতা তেমন পরিলক্ষিত হয়নি।


আরও বলা হয়েছে, দল ও সরকারের সমন্বয়হীনতা ক্ষেত্রবিশেষে দূরত্ব সৃষ্টির বিষয় বলে তৃণমূল নেতারা উল্লেখ করেছেন। সমন্বয়হীনতা কিছুটা দৃশ্যমান যে ছিল সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় টেন্ডারবাজির বেশ কিছু ঘটনা। যদিও দলের নেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কিছু মন্ত্রী এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগের বিষয়টি বারবার উচ্চারণ করেছেন। এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার অধিকাংশই ঢাকাসহ অন্যান্য বড় শহরে হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে হয়নি তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে দলের কিছু ব্যক্তি ও সরকারের গৃহীত নীতির মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান রয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজে নতুন নিয়োগের বিষয়ে যে ঘটনাটি পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হয়েছে সে বিষয়ও ক্ষমতাসীন দলের ঘোষিত ও অঙ্গীকারকৃত নির্বাচনী ওয়াদার লঙ্ঘন হিসেবে অনেকে চিহ্নিত করেছেন। কারণ, ঘোষণায় স্পষ্টভাবে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ নীতির বাস্তবায়নের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালককে কিছু কর্মরত ব্যক্তি অবরুদ্ধ করেছিল। কিছু সময়ের জন্য যে বা যারা এ ধরনের বেআইনি কাজের জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শোনা যায় হাসপাতালের পরিচালককেও তাত্ক্ষণিকভাবে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। তদন্ত কাজ শেষ হওয়ার পর তার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাই যুক্তিযুক্ত হতো। কারণ, পরিচালক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কাঠামোর শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি। পরবর্তী পরিচালক কোনো নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত দিতে নানা দ্বিধায় কাজ করতে বাধ্য হবেন। ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়টি ঘনীভূত হবে, যা প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বা জনগণের কাম্য নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউনিয়নের নামে বিভিন্ন বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকায় কর্মরত কর্মকর্তারা শঙ্কাহীনভাবে কাজ করতে পারে না। বহু দিন ধরেই এই ধারা চলে আসছে। একই সঙ্গে আমরা দেখছি যে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কর্মচারী-ইউনিয়ন হোক বা কর্মকর্তাদের সংগঠন হোক তারাও মুখোশ বদলায়। কারণ এদের অনেকেই সুযোগসন্ধানী। এরা যেকোনো ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে দ্বিধাবোধ করে না। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শৃঙ্খলা ও আচরণবিধিতে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো সরকারি পদধারী ব্যক্তি কোনো শাস্তি ভোগ করেননি। এর ফলে সরকার ও দলের দূরত্ব হ্রাসের বিষয়টি ধূম্রজালেই আবদ্ধ রয়েছে।
এ থেকে আমরা অনুমান করতে পারি যে কেবল সাংগঠনিক তত্পরতাই দূরত্ব হ্রাসের একমাত্র নিয়ামক নয়। দূরত্ব হ্রাসের নামে ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা যদি বিশৃঙ্খল বা বেআইনি আচরণ করা শুরু করে বা অধিকতর যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় যদি দলের কর্মীদের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতা-নেত্রীর অনুশাসন মানতে অস্বীকৃতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে তবে ক্ষমতাসীন দলসহ সরকারের ভাবমূর্তিই বিপন্ন হয়।
এ ধরনের অনভিপ্রেত আচরণ দলের সাধারণ কর্মী বা অঙ্গসংগঠনের মধ্যেই সীমিত নয়। এর অকাট্য প্রমাণ দুটি প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এক. সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি প্রণয়নের লক্ষ্যে বেসরকারি বিল উত্থাপন। দুই. প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দলীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে উচ্চারিত সাবধানবাণী, যে বাণীতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে বেআইনি বা অনভিপ্রেত আচরণের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি। বেসরকারি বিলটি বেসরকারি বিল না হয়ে সরকারি বিল হলে বলা সম্ভব ছিল যে কিছু সংসদ সদস্যের শৃঙ্খলামূলক আচরণ নিশ্চিত করতে সরকার খোদ আগ্রহী ও আন্তরিক। এ সত্ত্বেও বলা যায় যে যেহেতু সরকারি দলের একজন সংসদ সদস্য এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, সেহেতু সংসদ সদস্যদের মধ্যে কিছু চিন্তাশীল ব্যক্তি দল ও সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার বিষয়ে প্রত্যয়ী। বিলটি যদি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি জনমত যাচাইয়ের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে পূর্ণাঙ্গ বিলের গুণগতমান অধিকতর নিশ্চিত হবে।
এ দেশের নাগরিকেরাই ভোটের মাধ্যমে একটি দলকে দেশের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার প্রদান করে। যেসব দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় তারাও এ দায়িত্ব নাগরিকদের পক্ষে পালন করবে, এটাই সবার প্রত্যাশ্যা। বাস্তব চিত্র ভিন্নরূপ। কেন তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন। একটি বলিষ্ঠ ও সহনশীল বিরোধী দলই নির্বাচিত সরকারকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এ দায়িত্ব পালন না করে বিগত কয়েক দশকে সংশ্লিষ্ট বিরোধী দল সংসদ বর্জন করে আসছে। এতে কি এসব দলসহ ক্ষমতাসীন দলকে জনবিচ্ছিন্ন করে না? জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে দলের সঙ্গে দূরত্ব হ্রাস হলেও তা শক্তি অর্জনের সহায়ক হবে না। এ কথা ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।
দলীয় শক্তির বৃদ্ধি করা এককভাবে দল ও সরকারের মধ্যে দূরত্ব হ্রাসের ওপর নির্ভরশীল নয়। নাগরিক ও ক্ষমতাসীন বা বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস হলেই এটা নিশ্চিত ও টেকসই হয়। প্রশ্ন করা যেতে পারে যে দলীয় কর্মীদের মাধ্যমেই যেকোনো রাজনৈতিক দল নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনমত সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং সাংগঠনিক তত্পরতার প্রয়োজন রয়েছে, তবে সাংগঠনিক তত্পরতা যদি নতুন সদস্যভুক্তির বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে তা সম্পূর্ণরূপে ফলপ্রসূ হবে না। দলীয় সদস্যদের সঠিক সংখ্যা কত কেউ জানে না। যা জানে তা হলো বিরাট জনসভার মাধ্যমে দলীয় শক্তির প্রকাশ করার প্রয়াস। পল্টন ময়দানে এমনটিই সময় সময় দৃশ্যমান হয়। ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কতজন দলীয় কর্মী ভোট প্রদান করে তাদের সঠিক সংখ্যা সাধারণ নির্দলীয় ভোটারদের তুলনায় কম হওয়ারই কথা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নতুন প্রজন্মের ভোটের মনযোগ আকর্ষনের প্রতিই গুরুত্ব দিয়েছিলেন বলে অনেকে মনে করেন। এদের সিংহভাগই দলীয় সদস্য ছিলেন না, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
একথা যদি সত্যি হয় তাহলে দল ও দলীয় সরকারের মধ্যে দূরত্ব কমানোর প্রশ্ন কেনইবা এত গুরুত্বপূর্ণ? এ বিষয়ের গুরুত্ব প্রধানত দুটি। এক. দলের মতাদর্শ ও সরকারের কর্মকাণ্ডের মধ্যে সমন্বয় করা। দুই. এ দুয়ের মধ্যে ব্যবধান থাকলে, যে ব্যবধানকে যতদূর সম্ভব সংকুচিত করা। সমন্বয় ও দূরত্ব হ্রাস করার প্রক্রিয়ায় দলীয় কর্মী ও সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। সংসদীয় গণতান্ত্রিক প্রথায় এ বিষয় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ ব্যবধান হ্রাস করার প্রক্রিয়া সরকার যদি দল বা দলীয় কর্মীদের অন্যায় বা বেআইনি আচরণের বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করে অথবা এদের এ ধরনের আচরণ উত্সাহিত করে তা সাময়িকভাবে ফলপ্রসূ হলেও মধ্যম বা দীর্ঘমেয়াদি সুফল অর্জনে ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ই হলো বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। এ জন্যই নাগরিকদের ভোটের মাধ্যমে সরকার তথা ক্ষমতাসীন দলের রদবদল হয়। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যেসব নির্বাচন হয়েছে তার ফলাফলই এর জলজ্যান্ত প্রমাণ।
দল ও সরকারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা সংসদীয় গণতান্ত্রিক প্রথায় একটি দুরূহ কাজ। বিষয়টি দুরূহ হয় ওই সময়ে যখন দলভুক্ত সদস্যরা আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে সব ধরনের সরকারি সিদ্ধান্ত নিজেদের মর্জিমতো হোক—এ দৃষ্টিভঙ্গির বশবর্তী হয়ে ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতাপ্রাপ্ত মন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ প্রয়োগে লিপ্ত হয়। যদি দলীয় কর্মীদের মর্জিমাফিক কোনো বেআইনি বা অনিয়মতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত সরকারি ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা গ্রহণে ব্যর্থ হয় তখনই যদি ধরে নেওয়া হয় যে দল ও সরকারের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ জন্য দলীয় কর্মীদের ইচ্ছা অনুসারে তুষ্ট করতে হবে, তাহলে সৃষ্টি হয় সীমিত হলেও কিছুটা নৈরাজ্যমূলক পরিস্থিতির।
তাত্ত্বিকভাবে সব গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত তবে সে ক্ষমতার পরিধি কখনোই সংবিধান বা সংবিধানসম্মত কোনো প্রচলিত আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো ক্ষমতাসীন দল যদি এ পরিধি অবজ্ঞা করে দলীয় কর্মীদের মধ্যে উপর্যুক্ত প্রক্রিয়ায় তথাকথিত দূরত্ব হ্রাসে বিশ্বাসী হয় এবং তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হয় তাহলেই সুশাসনের অভাব দৃশ্যমান হয়। দল ও ক্ষমতাসীন দলীয় ব্যক্তিদের জন্য এ ধ্রুব সত্য উপলব্ধি করতে হবে। এর মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ অর্জনে সক্ষম হবে। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ অর্জনের পূর্বশর্তই হলো সংবিধান ও আইনসম্মত সিদ্ধান্তের ওপর অবিচল আস্থা রেখে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রত্যয়ী ভূমিকা পালন করা। সরকারের তথা ক্ষমতাসীন দলের সব সিদ্ধান্তই যে সংবিধান বা আইনসম্মত হবে এমনটা আশা করা যায় না। তবে বেআইনি বা সংবিধানসম্মত নয় এমন যেকোনো সিদ্ধান্ত বাতিল বা অকার্যকর ঘোষণা করার ক্ষমতা আদালতের রয়েছে। দল তথা দলীয় কর্মীরা যদি এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে যেকোনো বেআইনি বা অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ক্ষমতাসীন দলীয় ব্যক্তিকে বিরত থাকার জন্য চেষ্টা করে তাহলে সে ধরনের আচরণও দল ও ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে দূরত্ব হ্রাসের সহায়ক হয়।
সংবিধান ও আইনসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে যদি ক্ষমতাসীন দল ব্যর্থ হয় তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। এ জন্য দলের উচিত হবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সরকারকে উত্সাহিত করা। বাংলাদেশের প্রচলিত দলীয় ব্যবস্থায় এমনটি প্রায়ই হয়ে ওঠে না। এর ফলে ব্যাপক নৈরাজ্যের সৃষ্টি হলেই তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব ঘটে, যা গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক হয় না। এ ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতাও বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলসহ জনগণের রয়েছে। সুতরাং এ ধরনের সংবিধানবহির্ভূত শাসনব্যবস্থার একমাত্র পূর্বশর্ত হলো সংবিধান ও আইনসম্মত প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় সব ক্ষমতা প্রয়োগ করা। দলসহ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাপ্রাপ্ত দলীয় ব্যক্তিদের এ দৃষ্টিকোণ থেকেই একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আমাদের দলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতিই উপর্যুক্ত পদ্ধতিতে জনস্বার্থে কাজ করার অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধকতা। প্রধানমন্ত্রী এ প্রতিবন্ধকতা নিরসনে উদ্যোগী হয়েছেন, যা তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যে প্রতিভাত হয়। এ অর্জন হবে কি না তা সুস্পষ্টভাবে মূল্যায়নের সময় এখনো হয়নি। পাঁচ বছরের মধ্যে এক বছর যথেষ্ট নয়। তবে প্রচলিত প্রবাদ বাক্য আছে যে সকাল বেলাই বলে দেয় দিনটি কেমন যাবে। এ জন্যই প্রয়োজন ক্ষমতাসীন দলসহ অন্যান্য বিরোধী দলের অধিকতর বিচক্ষণতাসহ আচরণের।
এ এম এম শওকত আলী: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা।

No comments

Powered by Blogger.