অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি-সবার জন্য রসগোল্লা

এখনো অনেকে মনে করে, পৃথিবী কমলালেবুর মতো গোল (মতান্তরে চ্যাপ্টা)। কিন্তু একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, পৃথিবী দেখতে অনেকটা রসগোল্লার মতো। শুধু তা-ই নয়, রসগোল্লার সঙ্গে পৃথিবীর মিলও অনেক। পৃথিবীর তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্থল। মানে হলো, পানির জন্যই ‘পৃথিবী’ নামক বস্তুটি টিকে আছে।


পানি শেষ তো পৃথিবীও শেষ। রসগোল্লারও একই অবস্থা। পানি, অর্থাত্ রস ছাড়া শুধু গোল্লার কোনো দামই নেই। রস ছাড়া রসগোল্লা, আর খাসির মাংস ছাড়া কাচ্চি বিরিয়ানি—দুটোই সমান কথা। সহজেই বোঝা যাচ্ছে, রসগোল্লা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত খাদ্য। কিন্তু কতিপয় চিকিত্সক ষড়যন্ত্র করে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে রসগোল্লা আস্বাদ করা থেকে বঞ্চিত করছেন (এই সম্প্রদায়কে তারা ‘ডায়াবেটিসের রোগী’ বলে থাকেন), যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। স্বাধীন দেশে প্রত্যেকেরই রসগোল্লা খাওয়ার অধিকার রয়েছে। এমনিতে একটা রসগোল্লা পেলেই খুশিতে সবার মন একেবারে দ্রবীভূত হয়ে যায়। কোনো খুশির খবর পেলেই শুরু হয়ে যায় রসগোল্লা বিতরণ। কিন্তু পরীক্ষার খাতায় কেউ যদি একটার জায়গায় দুইটা গোল্লা পায়, তাহলেই সর্বনাশ। সবার মধ্যে কোথা থেকে যেন ‘রাগ’ নামের ভয়ানক আবেগ এসে ভর করে। আর তার পরের করুণ ইতিহাস তো সবারই জানা। কিন্তু এই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে হবে। পরীক্ষার খাতার গোল্লা হোক, কিংবা চান মিয়ার মিষ্টান্ন ভান্ডারের দোকানের গোল্লা হোক, দুটোকেই তাদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া উচিত। এ সম্মান দেওয়ার প্রক্রিয়াটা যাতে শুরু হয়, সে জন্য আমরা এবার প্রকাশ করলাম আপনাদের পাঠানো হরেক রকম লেখা দিয়ে সাজানো সংখ্যা—রসগোল্লা। তবে এ সংখ্যা পড়ার একটা শর্ত আছে। আগে পেট পুরে রসগোল্লা না খেয়ে সংখ্যাটি পড়লে—বাজি ধরে বলা যেতে পারে—একদমই আনন্দ পাবেন না। বিশ্বাস না হলে খালি পেটে পড়তে বসুন সংখ্যাটি, দেখুন কেমন বিস্বাদ লাগে।
প্রিয় পাঠক, এবার পরবর্তী পাঠকসংখ্যা ঘোষণা করার পালা। কী হতে পারে বিষয়! আমাদের রস+আলো গবেষণা কমিটি অনেক চিন্তার পর বের করেছে পরবর্তী পাঠকসংখ্যার বিষয়—মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন নিয়ে আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া বা ঘটতে পারে এমন মজার ঘটনা, গল্প, কার্টুন, কৌতুক পাঠিয়ে দিন আমাদের কাছে। লেখা যত ছোট হবে, ছাপা হওয়ার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লেখা পাঠিয়ে দিন নিচের ঠিকানায়:
পাঠকসংখ্যা, মোবাইল ফোন
রস+আলো, প্রথম আলো, সিএ ভবন
১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.