বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক-সার্কের চালিকাশক্তি by সুভাষ সাহা

মনমোহনের সফরের মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃষ্টিগ্রাহ্য উন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হলে এবং নয়াদিলি্লর কাছ থেকে ঢাকা কিছু একতরফা সুবিধা পেলে সেটা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বিস্তারে ভারতের সৎ ও আন্তরিক উদ্দেশ্যের স্মারক হতে পারে। বড়র পিরিতি বালির বাঁধ নয়_ এটা প্রমাণের দায়িত্ব ভারতের নয় কি!


দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক কেন দীর্ঘ ২৫ বছরেও একটি কার্যকর সহযোগিতার দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারল না? ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন এর সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি করে ২৭টি দেশের অভিন্ন বাজারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর ইউনিয়নে পরিণত হয়েছে, এমনকি আমাদের বাড়ির কাছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোও যখন আসিয়ানের মাধ্যমে অর্থনীতি থেকে নিরাপত্তা বিষয় পর্যন্ত অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মতো দুরূহ কর্মযজ্ঞে শামিল হয়েছে, তখন আমরা কেন সীমান্ত, পানি, বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ পারস্পরিক লাভজনক বিষয়গুলোতেও কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতাকে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিতে পারছি না? গত মঙ্গলবার কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় পাঠ করলে এ ব্যাপারে খানিকটা আঁচ পাওয়া যেতে পারে। সম্পাদকীয়টিতে যদিও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়নের বিষয় ঠাঁই পেয়েছে, তবে একই ধারণাকে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে সহযোগিতা বিস্তারের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের ছোটখাটো দেশগুলো কেন কখনোই আন্তরিকতা ও বিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে সচেষ্ট হয়নি তা উপলব্ধি করা যেতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধারণাটা সেখানকার রাজনৈতিক ভিশনারি নেতৃত্বের দীর্ঘকালের কর্মযজ্ঞের ফসল। ইউরোপের দেশগুলো প্রথমে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, পরে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক, মনিটারি থেকে শুরু করে নিরাপত্তা পর্যন্ত অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে একটি একক ইউনিট হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়ানোর পূর্বপুরুষের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার দ্বারপ্রান্তে। চূড়ান্তভাবে সফল হলে যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে চীনের পরিবর্তে ইউরোপই হতে পারে আগামী দিনে বিশ্বের পহেলা নম্বরের শক্তি। ইউরোপ যদি সফল হয় তাহলে গোটা বিশ্বকে সহযোগিতামূলক নতুন সম্পর্ক নিয়ে আসার ক্ষেত্র সহজেই প্রস্তুত করা যাবে।
আমাদের অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কি ইউরোপীয় নেতাদের মতো ভিশন ছিল আর ভিশন থেকে থাকলে তা কার্যকরের সিস্টেমেটিক উদ্যোগ অনুপস্থিত কেন? আমরা এ ধরনের একটা সহযোগিতা সংস্থা আদৌ নির্দিষ্ট ভিশন নিয়ে গড়ে তুলেছি কি-না সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ কিন্তু থেকেই যায়। দ্বিপক্ষীয়ভাবে বিশ্বের অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থা ও দেশের সঙ্গে আমাদের অঞ্চলের দেশগুলোর অধিকাংশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারিত হয়ে চললেও সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ একেবারেই নগণ্য। এতেই প্রমাণ হয় আঞ্চলিক সহযোগিতার একেবারেই প্রাথমিক চৌহদ্দির মধ্যে আমরা এখনও ঘুরপাক খাচ্ছি।
আনন্দবাজারের 'স্বাভাবিক মিত্র' শিরোনামের সম্পাদকীয়টিতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ব্যাপারে ভারতকে চীনের দৃষ্টান্ত অনুসরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে প্রধান উদ্যোগীর ভূমিকা যে ভারতকেই পালন করতে হবে সে ব্যাপারেও পথনির্দেশ করা হয়েছে। চীন তার প্রতিবেশী তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে নিজের জায়মান বাজার উন্মুক্ত করে দিয়ে কীভাবে এদের মন জয় করে নিয়েছিল আর এরই ফলে চীন এখন আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর অন্যতম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে লেখায়। এতে চীনের বিশাল বাজার ও অফুরন্ত বিনিয়োগক্ষেত্র আরও স্ফীত হয়েছে। এর ফলে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোও মারাত্মক অর্থনৈতিক ধকল কাটিয়ে উঠে সিনা টান করে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের মতো অপেক্ষাকৃত ছোট প্রতিবেশীর বেলায় ভারত একই মনোভাব নিয়ে নিজের নগদ লাভের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এগিয়ে গেলে আখেরে উভয় দেশই লাভবান হবে। বাংলাদেশের পণ্যের জন্য নিজের বাজারকে উন্মুক্ত করে দেওয়াসহ বিনিয়াগ ও নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণে ভারত এগিয়ে গেলে বাংলাদেশের সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে ভারত সম্পর্কে বিরাজমান নেতিবাচক মনোভাব কেটে গিয়ে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হবে। এতে বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে হিসেবে নিজের অর্থনৈতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক বিকাশকে যেমন প্রসারিত করতে পারে, তেমনি গোটা ভারতকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার পথকে প্রশস্ত করতে পারে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশীকে বন্ধু হিসেবে পেলে ভারতের হবে নানা সুবিধা। আনন্দবাজারের সম্পাদকীয় থেকে বোঝা যায়, ধনে-মানে-জনে-শক্তিতে বড় ভারতকেই তার অর্জিত বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিপুল সুবিধাকে নিকট প্রতিবেশীসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য উন্মুক্ত করে দিলে ভারতের ক্ষতি নেই। বরং এর মাধ্যমে ভারত যেমন তার দ্রুত বিকাশকে দীর্ঘস্থায়ী টেকসই পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তেমনি অন্য দেশগুলোও অর্থনৈতিক থেকে নানা ক্ষেত্রে সুবিধা লাভ করে গোটা দক্ষিণ এশিয়াকেই অভিন্ন বাজার কাঠোমোয় নিয়ে এসে নিজেদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল ওই অঞ্চলের দুই বৃহত্তম দেশ জার্মানি ও ফ্রান্স। অথচ এ দুটি দেশের রয়েছে একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার দীর্ঘ এক বেদনাদায়ক রক্তাক্ত ইতিহাস। মাত্র ছয়টি দেশের নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের অর্থনৈতিক সহযোগিতা থেকে এটি এখন আঞ্চলিক সহযোগিতার অনুপম দৃষ্টান্ত হয়ে বিশ্বকে নতুন পথের সন্ধান দিচ্ছে। ফ্রান্স ও জার্মানি তাদের সম্মিলিত অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রের সুবিধাকে অপরাপর দেশের জন্য উন্মুক্ত করে এবং বলা যায়, ইউনিয়নের স্বার্থে তারা নিজেদের নগদ লাভকে তুচ্ছ করে দীর্ঘমেয়াদি সম্মিলিত ইউরোপীয় শক্তির লাভকে আমলে নিতে পেরেছিল বলেই এখন ডলারকে পর্যন্ত টেক্কা দেওয়ার কথা ভাবতে পারছে। আমাদের এখানে বৃহত্তম দুটি দেশ হলো ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তানে দীর্ঘকাল সামরিক শাসন থাকায় এবং দেশটি জঙ্গিবাদের সূতিকাগার হয়ে ওঠার কারণে ভারতের পক্ষে হয়তো প্রত্যাশিত সহযোগিতা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি বলে যুক্তি আসতে পারে। তবে বাংলাদেশসহ অপরাপর প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে তো ভারতের সে ধরনের দুর্লঙ্ঘ বাধা ছিল না! তাহলে এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতাটা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বিকশিত হতে পারল না কেন? এখানেই দীর্ঘকাল ধরে ভারতের বিগ ব্রাদারসুলভ মানসিকতার প্রসঙ্গ এসে যায়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আমরা এ ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে পারি। আমরা বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য তালিকার পর তালিকা নিয়ে ঘোড়দৌড় করেছি। কিন্তু ললিপপের মতো আশার বাণী ছাড়া খুব বেশি কিছু আমরা পাইনি। অথচ ভারত বাংলাদেশি সব পণ্যের জন্য তার বাজারকে উন্মুক্ত করে দিলেও তাতে তার কোনো ক্ষতি হবে না বলে আনন্দবাজার পত্রিকাই সওয়াল করেছে। শুধু তা-ই নয়, পানি বণ্টন সমস্যা, সীমান্ত সমস্যাসহ সমাধানযোগ্য সমস্যাগুলোও সদিচ্ছার অভাবে ঝুলে আছে দীর্ঘকাল। এতে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানের জট যেমন খুলতে বিলম্ব হচ্ছে, তেমনি আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় প্রসারিত করা যায়নি। অথচ ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরাজমান দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে অনেক আগেই এগিয়ে আসতে পারত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিজের সম্প্রসারমান বাজার সুবিধাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের অর্জিত সাফল্যগুলোর সুফল ভোগ করার সুবিধা নিশ্চিত করে ভারত নিজেই আঞ্চলিক সহযোগিতাকে এক লাফে অনেকদূর এগিয়ে দিতে পারে।
আশার কথা এই, প্রতিবেশীদের ব্যাপারে ভারত তার আগের নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন করেছে বলে মনে হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে তার দেশের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরের সময় দু'দেশের মধ্যে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নয়াদিলি্লর আন্তরিকতার প্রমাণ পাওয়া যাবে এমনটাই প্রত্যাশা অনেকের মতো আমারও। ওই সফরে ভারত বাংলাদেশকে একতরফা বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে সার্কভুক্ত অপরাপর দেশের কাছে সম্পর্কোন্নয়নে তার আন্তরিকতার নতুন বার্তা দিতে পারে। ইতিমধ্যে শ্রীলংকার সঙ্গে ভারতের মুক্তবাণিজ্য চুক্তি থেকে সুফল মিলছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানসহ এই অঞ্চলের অপরাপর দেশের সঙ্গেও এফটিএ স্বাক্ষরই শুধু নয়, অভিন্ন বাজার গড়ে তোলার কাজেও হাত দেওয়া যেতে পারে। এই অঞ্চলের তৃতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে ভারতকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। মেরেছ কলসির কানা তাই বলে কি প্রেম দেব না_ এই মনোভাব প্রদর্শন করলে আখেরে ভারতের এবং সার্বিকভাবে গোটা অঞ্চলেরই লাভ হবে।
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের বেলায় ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটছে? লাদেন হত্যা ও ইসলামাবাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের মাত্রাতিরিক্ত চাপ প্রয়োগজনিত পরিস্থিতির কোনো সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেনি এই প্রথম ভারত। বরং দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যকার বৈঠকে নিরুপমা রাও পাকিস্তানের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর সুফলও মিলছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল কিয়ানির উপস্থিতিতে এক সমাবেশে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করে দ্বিপক্ষীয় সমস্যাবলি সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সাহায্য স্থগিত করা ও সাংবাদিক হত্যায় প্রথমে আইএসআই ও পরে সরকারের ভেতরের লোক জড়িত থাকার অভিযোগ করে কার্যত সেখানকার সামরিক বাহিনী ও কট্টরপন্থিদের রাজনৈতিক প্রভাবকে খর্ব করা ও একই সঙ্গে সিভিল সোসাইটি তথা কর্তৃত্বহীন পাকিস্তানের বিকাশশীল মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রভাবকে সে দেশের সমাজ ও রাজনীতিতে ভিত্তি দিতে চেয়েছে ওয়াশিংটন। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ যদি সফল হয় তাহলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি ও নিরাপত্তানীতিও রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে চলে আসবে। তখন পাকিস্তান একটি বিকাশশীল ও স্থিতিশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে। এতে ভারত-পাকিস্তান বৈরিতাকে জাদুঘরে পাঠানোর কাজটি কষ্টসাধ্য হলেও সম্পন্ন করা যাবে। ভুটানে এখন গণতন্ত্র। নেপালে সংবিধান রচনা নিয়ে সমস্যা অব্যাহত থাকলেও বিবদমান পক্ষগুলোর শুভবুদ্ধির উদয় হলে অচিরেই তার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। মালদ্বীপেও গণতন্ত্র। আফগান সমস্যার সমাধান পাকিস্তান ও ভারতের হাত ধরাধরি করে চলার অপেক্ষায়।
মনমোহনের সফরের মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃষ্টিগ্রাহ্য উন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হলে এবং নয়াদিলি্লর কাছ থেকে ঢাকা কিছু একতরফা সুবিধা পেলে সেটা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বিস্তারে ভারতের সৎ ও আন্তরিক উদ্দেশ্যের স্মারক হতে পারে। বড়র পিরিতি বালির বাঁধ নয়_ এটা প্রমাণের দায়িত্ব ভারতের নয় কি!

সুভাষ সাহা :সাংবাদিক
subashsaha@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.