মৈত্রীবন্ধন: এগিয়ে চলো-নাটকই দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারে by অমর সাহা

দুই বাংলার মানুষের মধ্যে নাটকের চর্চা যত বেশি বিনিময় হবে, দুই দেশের মানুষ তত বেশি একে অন্যের কাছাকাছি আসবে। মৈত্রীবন্ধন দৃঢ় করবে। তাই দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তাকে আরও এগিয়ে নিতে নাটক-কবিতার জুড়ি নেই।


গতকাল মঙ্গলবার কলকাতার ঐতিহাসিক টাউন হলে মৈত্রীবন্ধন উৎসবের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সন্ধ্যা সাতটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে ভারত ও বাংলাদেশের নাটক, কবিতা নিয়ে আলোচনা হয়। পরে ছিল সংগীত ও আবৃত্তি। ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো এই মৈত্রীবন্ধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
গতকাল উৎসবে ঢাকা ও কলকাতার দুই নাট্য ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এবং রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন টাইমস অব ইন্ডিয়ার আর্টস এডিটর রত্নত্তমা সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘নাটকই গড়তে পারে দু দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সেতু। দুই দেশের নাট্যকারেরা এগিয়ে এলে আমাদের নাট্যশিল্পই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিতকে আরও শক্তিশালী করতে পারবে।’
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘দু দেশের মানুষে মানুষে সখ্য গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের মৈত্রীবন্ধন দৃঢ় হবে না। এই মৈত্রীবন্ধন দৃঢ় করতে আমাদের দুই বাংলার সংস্কৃতির আরও বিনিময় করতে হবে।’ তিনি বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গন দ্রুতই বদলে গেছে। বাংলাদেশের নাটক দিনে দিনে সমৃদ্ধ হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের বাংলা নাটক যদি আরও বেশি করে দুই বাংলায় প্রদর্শিত হয়, তবে এই নাটকই দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত আরও শক্তিশালী করবে। মৈত্রীবন্ধন আরও দৃঢ় হবে।
পরে আসাদুজ্জামান নূর দুই বাংলার প্রখ্যাত কবিদের একগুচ্ছ কবিতা আবৃত্তি করেন। শুরু করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ‘অন্তর মম বিকশিত করো, অন্তরতর হে’ আবৃত্তির মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, ‘নাটকের আবেদন বিশ্বময়। এই নাটকই পারে মানুষের মাঝে মৈত্রীর দৃঢ় সম্পর্ক রচনা করতে। কলকাতার মতো বাংলাদেশও এখন নাটকে অনেক এগিয়ে গেছে। দুই বাংলার নাটকের যত বেশি চর্চা হবে, বিনিময় হবে তত একে অন্যের কাছাকাছি আসার।’
পরে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত আবৃত্তি করেন কবিতা। শেষ পর্বে সংগীত, আবৃত্তি এবং গীতি আলেখ্যে অংশ নেন কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পী গৌতম হালদার, পার্থ প্রতীম দেব, সোহিনী হালদার ও স্বাতী লেখা সেনগুপ্ত।
আজ বুধবার মৈত্রীবন্ধন উৎসবের শেষ দিন। দুই দেশের সাহিত্য নিয়ে আজ মতবিনিময় হবে। এতে বাংলাদেশের লেখক আবদুল্ল্লাহ আবু সায়ীদ এবং কলকাতার সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন।

No comments

Powered by Blogger.