১০ মাসের শিশুর পেটে বাচ্চা! by শরীফ সুমন

১০ মাসের শিশু তিথির পেটে বাচ্চা ছিল! বিস্ময়করই ঘটনাই বটে! তবে সত্য। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওর পেট থেকে মৃত শিশুটি বের করা হয়েছে। টিউমার ভেবে ১০ মাসের তিথির পেটে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসকদের তো চক্ষু ছানাবড়া! টিউমারের বদলে ওর পেটের মধ্যে ‘মানব শিশু’!

প্রায় ১ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে ১০ মাস বয়সের শিশুকন্যা তিথির পেট থেকে মৃত শিশু অপসারণ করা হয়েছে। পরে তা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাখা হয়।
হাসপাতালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মসুরিপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, তার শিশুকন্যা তিথি ২ মাস আগে থেকে বমি করছিল। তার পেটের এক পাশ শক্ত হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শে সপ্তাহখানেক আগে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সার্জন ডা. নওশাদ আহমেদ ও ডা. আহসান শহীদের তত্ত্বাবধানে তার পেটে টিউমার ভেবে অস্ত্রোপচার করা হয়।

শিশুটি সুস্থ আছে উল্লেখ করে তার মা তাসলিমা বেগম বাংলানিউজকে জানান, তাকে নিয়ে পরিবারের সবাই দুশ্চিনায় ছিল। এখন তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

রামেক হাসপাতালে শিশু সার্জারি বিভাগের সার্জন ডা. নওশাদ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ‘মা তাসলিমা বেগমের জমজ সন্তান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটি ভ্রুন কোনোভাবে তিথির পেটের মধ্যে চলে যাওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষত টু-ইন বেবির ক্ষেত্রে এমনটি ঘটতে পারে।’

ডা. নওশাদ আহমেদ আরও বলেন, ‘জন্মের আগে মায়ের শরীর থেকে তিথি’র শরীরে প্রবেশ করা ভ্রুনটি ধীরে ধীরে বড় হয়। এক পর্যায়ে টিউমার আকৃতি ধারণ করে। ডাক্তারি পরিভাষায় এটিকে ‘ফিটাস ইন ফিটো’ বলা হয়।

তিনি আরও জানান, ‘এ হাসপাতালে এ ধরনের অস্ত্রোপচার এটাই প্রথম। তিথির অবস্থা এখন ভালো। টিউমার আকৃতির মৃত শিশুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কলেজের ল্যাবে রাখা হয়েছে।’

No comments

Powered by Blogger.