প্রতিবেশী যখন বড় দেশ by ড. তারেক শামসুর রেহমান

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্রদের কাছে এটা অনেক দিন থেকেই একটা বড় প্রশ্ন যে, একটি বড় দেশের পাশে যদি একটি ছোট দেশ থাকে, তাহলে এই দুই দেশের মাঝে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত এবং ওই ছোট দেশটি কীভাবে বড় দেশটির প্রভাব ও কর্তৃত্ব এড়িয়ে নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখে।

শুধু সাম্প্রতিককালের দৃষ্টান্তই আমরা দেব না, বরং ইতিহাস থেকেই দেখা যায় একটি বড় দেশের পাশে যদি একটি ছোট দেশ থাকে, তাহলে এই দুয়ের মাঝে সম্পর্ক কখনই ‘মধুর’ থাকে না। বড় দেশটি ছোট দেশের উপর প্রভাব খাটায়, দেশটি দখল করে নেয়, তার অর্থনীতি, রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্যই কৌটিল্য বলেছিলেন, পাশের দেশ কখনই মিত্র হয় না, মিত্র হয় পাশের দেশের সঙ্গে যে দেশটি রয়েছে, সেই দেশটি। তার সেই তত্ত্ব আজও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্রদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৌটিল্যের সেই তত্ত্বকে সামনে রেখেই পশ্চিম ইউরোপের নরডিক দেশগুলোর একজন তাত্ত্বিক এরিক বেওল (Bjol) তত্ত্ব দিয়েছিলেন Pilot-fish behaviour-এর। অর্থাত্ পাইলট নামের এক ধরনের ছোট মাছ আজীবন হাঙ্গরের গা ঘেঁষে চলে, হাঙ্গরের শরীরে যে ময়লা থাকে, তা খেয়ে বেঁচে থাকে। কিন্তু হাঙ্গর কখনই পাইলট মাছকে খেতে পারে না। বেওল এই পাইলট মাছের ভূমিকা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছিলেন। তার তত্ত্বের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে পাইলট মাছ (ছোট দেশ) হাঙ্গরের (বড় দেশ) গা ঘেঁষে চলবে, অর্থাত্ ছোট দেশ বড় দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলবে। তাহলে বড় দেশ ছোট দেশকে খেতে পারবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পাশে ফিনল্যান্ডের অবস্থান ও ফিনল্যান্ডের ভূমিকা ছিল ওই Pilot-fish behaviour তত্ত্বের মতো। ফিনল্যান্ড কখনও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে কোনো ধরনের ‘বিবাদ’ এ না জড়িয়ে, ভালো সম্পর্ক রেখে তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে গেছে। কিন্তু এই অঞ্চলভুক্ত অন্য তিনটি দেশ তা পারেনি। এস্তোনিয়া, লেটল্যান্ড ও লিথুনিয়াকে ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন দখল করে নেয় এবং ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তিনটি দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখন অবশ্যি দেশগুলো আবার তাদের স্বাধীন অস্তিত্ব ফিরে পেয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপরই এই দেশগুলো স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। ফিনল্যান্ড সোভিয়েত আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করতে পারলেও ওই তিনটি দেশ পারেনি। যে কারণে বড় দেশের পাশে থাকা ছোট দেশের রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার অবস্থান, আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক সব সময়ই আলোচনার একটি বিষয়। বড় দেশ ছোটদেশ সম্পর্ক অতীতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনেক ঘটনার জন্ম দিয়েছে। ১৯৬১ সালের Bay of Pigs-এর ঘটনাবলীর পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে, তা বলা যাবে না। তবে কিউবা দীর্ঘ ৪০ বছর ‘বড়দেশ’ যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন থেকে নিজেকে রক্ষা করে আসছে। ওবামা তার নীতিতে কিছু পরিবর্তন এনেছেন সত্য, কিন্তু কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে, এটা বলা যাবে না। কিউবা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ও একটি দৃষ্টান্ত। কিন্তু আফগানিস্তান কিংবা কম্পুচিয়া এ ধরনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি। ১৯৭৯ সালে ‘বড় দেশ’ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ‘ছোট দেশ’ আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছিল। আর ১৯৭৮ সালে ভিয়েতনাম দখল করে নিয়েছিল কম্পুচিয়া। আজকের প্রধানমন্ত্রী হুনসেন ভিয়েতনামেরই সৃষ্টি। লাওসেও রয়েছে ভিয়েতনামের প্রভাব। ভিয়েতনাম লাওসের সঙ্গে যে ‘বন্ধুত্ব ও নিরাপত্তা’ চুক্তিতে আবদ্ধ রয়েছে, তাতে লাওসের রাজনীতিতে বড় একটি ভূমিকা পালন করে ভিয়েতনাম। ওই চুক্তি অনুযায়ী ভিয়েতনাম লাওসে উপদেষ্টা নিয়োগের অধিকার রাখে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ভিয়েতনাম লাওসকে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল। পাঠক, ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তির কথা স্মরণ করতে পারেন। ওই চুক্তিটি ছিল ২৫ বছরের এবং ১৯৯৭ সালে ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কোনো পক্ষই আর চুক্তিটি নবায়ন করেনি। চুক্তির ৯নং ধারায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতীয় হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নেয়া হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, চুক্তি স্বাক্ষরকারী দুটো দেশের কোনো একটি দেশ যদি শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়, তাহলে উভয় দেশ কালবিলম্ব না করে আলাপ-আলোচনায় মিলিত হবে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর এ ধরনের একটি সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছিল। বিগ্রেডিয়ার খালেদ মোশাররফ চুক্তির ৯নং ধারা বলে ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানানোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছিলেন বলে একটি সংবাদপত্র আমাদের খবর দিয়েছিল (দি ফিনানসিয়াল টাইমস, লন্ডন, ১০ নভেম্বর ১৯৭৫)। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি তা পারেননি বা করেননি, তবে যে বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে বড় দেশ পাশের ছোট দেশের উপর রাজনৈতিক প্রভাব খাটায়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন খাটিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রভাব খাটাচ্ছে। ভারত এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই যে ভারত প্রভাব খাটায়, তা নয়। বরং নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও ভারতের প্রভাব ও কর্তৃত্ব ষমষ্ট। অতীতে ১৮১৬ সালে স্বাক্ষরিত সুগালি চুক্তি অনুযায়ী (Sugali Treaty) নেপালকে ভারতের আধা উপনিবেশে পরিণত করা হয়েছিল। ওই চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিলেন তত্কালীন রাজা পৃথ্বী নারায়ণ শাহ। ভারতে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অবসান হলেও ওই চুক্তির বাধ্যবাধকতা এখনও রয়ে গেছে। গত ১১ জানুয়ারি নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রচন্দ্রে কাঞ্চনপুরে এক জনসভায় ভারতের ‘আধিপত্যবাদী’ ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে চীনে যে অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়, তাতে প্রেসিডেন্ট ডা. যাদবের যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে ডা. যাদব চীনে যেতে পারেননি। তার ক্ষমতাচ্যুতির ব্যাপারেও ভারতের হাত ছিল বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের রেশ এখনও কাটেনি। নানা দৃষ্টিকোণ থেকে এই সফরকে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ষমষ্টতই এ ক্ষেত্রে বিশ্লেষকরা দ্বিধাবিভক্ত। এখানে যুক্তির চেয়ে আবেগ বেশি কাজ করছে। যারা এই সফরকে ‘সফল’ বলে দাবি করছেন, তাদের কাছে আবেগটাই বেশি। তিস্তার পানির ভাগ-বাটোয়ারার ব্যাপারে ভারত কোনো প্রতিশ্রুতি না দিলেও, আমাদের বিদ্যুত্ দেয়ার (২৫০ মেগাওয়াট) কথা দিয়েছে। যদিও এর খুঁটিনাটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুত্ বলি, কিংবা পানি বণ্টনের কথা যদি বলি, নিয়ন্ত্রণ যদি ভারতের হাতে থাকে, তাহলে এ থেকে ভারত ফায়দা ওঠাবেই। পাঠক, এটা বোঝার জন্য এখানে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের দ্বন্দ্ব কিংবা রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশের দ্বন্দ্বের কথা আমরা উল্লেখ করতে পারি।
২০০৯ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে তার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে বড় ধরনের একটি সঙ্কটের সৃষ্টি করেছিল, যা কীনা চিহ্নিত হয়ে আছে ‘গ্যাস যুদ্ধ’ হিসেবে। ইউক্রেন রাশিয়া থেকে সরবরাহকৃত গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। রাশিয়া দাবি করেছিল ইউক্রেনকে ওই গ্যাস আন্তর্জাতিক দরে কিনতে হবে, যাতে ইউক্রেন রাজি ছিল না। তারা চেয়েছিল আগের দামেই তারা গ্যাস বিল পরিশোধ করবে। সঙ্কটটা সৃষ্টি হয়েছিল সেখান থেকেই। অন্যদিকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশ। Druhba বা Friendship Pipeline-এর মাধ্যমে বেলারুশে রাশিয়া জ্বালানি তেল সরবরাহ করে। বেলারুশ ওই তেলের একটা অংশ আবার বিক্রি করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে। ওই সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় বড় ধরনের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছিল। বলা ভালো রাশিয়া, কাজাকিস্তান ও বেলারুশের সমন্বয়ে গঠন করেছে ‘কাস্টমস ইউনিয়ন’, যা কীনা বেলারুশের চিন্তার অন্যতম কারণ। একই সঙ্গে এই দেশ দুটো সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ্Union State, যা কিনা দেশ দুটোকে রাজনৈতিক একত্রিকরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।Union State গঠিত হওয়ার ফলে বেলারুশ এখন পরিপূর্ণভাবে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাসেনকোর ভয়টা এখানেই। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেলারুশে রাশিয়ার স্বার্থ রয়েছে যথেষ্ট, যাকে প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ বলেছেন Zone of Privileged interests। রাশিয়া ইতোমধ্যেই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রিপাবলিকগুলোকে নিয়ে (যারা ১৯৯১ সালের পর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে) একটি Collective Security Organization (CSO) গঠন করার উদ্যোগ নিচ্ছে, যাকে বিশ্লেষকরা NATO-এর বিকল্প ভাবতে শুরু করেছে। এক সময় তো WARSAW Treaty Organization ছিল NATO ’র বিকল্প। আজ ইউক্রেন কিংবা বেলারুশের মতো ছোট ছোট দেশগুলো রাশিয়ার সম্ভাব্য ভূমিকাতে আতঙ্কিত (দেখুন, Jeferey Mankoff, Long Pipelines Make Bad Neighbors, Foreign Policy, January 13, 2010)। এই দুটো দৃষ্টান্ত থেকেই বোঝা যায় পাশের দেশ যদি ‘বড়’ হয়, তাহলে তার প্রভাব কাটিয়ে ওঠা কঠিন এবং সেই ‘বড় দেশ’ পার্শ্ববর্তী ‘ছোট দেশ’-এর উপর তার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখবেই। ভারত বড় দেশ। অর্থনীতিতে অন্যতম পরাশক্তি হতে চলেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়াকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় ভারত। এ ক্ষেত্রে অন্যকোন শক্তি (বিশেষ করে চীন) এ অঞ্চলে প্রভাব খাটাক—এটা ভারত চায় না। এটাই India Doctrine-এর মূল কথা (India To-day, 31 August 1983)। ফরিদ জাকারিয়া (নিউজ উইক-এর সম্পাদক)।
ভারতের এই ভূমিকাকে সামনে রেখেই লিখেছিলেন, India is the hegemon of South Asia with enorimous influence throughout the sub-continent. তিনি আফগানিস্তানে শীর্ষ মার্কিন সেনা কমান্ডার জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টালের একটি গোপন প্রতিবেদন উল্লেখ করে লিখেছেন, increasing Indian influence in Afganistan is likely to exacerbate regional tensions and encourage Pakistani Countermeasures (Washington Post, 23 November, 2009)। ভারতীয় প্রভাব শুধু আফগানিস্তানেই যে বেড়েছে, তা নয়। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলছে, সেখানেও রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা।
বড় দেশ হিসেবে ভারতের কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা, সে প্রত্যাশা পূরণে ভারত কখনই এগিয়ে আসেনি। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে ভারত একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারত। কিন্তু ভারত দেখছে তার স্বার্থ। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যে ৩টি চুক্তি, স্মারক ও সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মন জয় করা যাবে না। ভারত সম্পর্কে একটা ভীতি থেকে যাবেই। পররাষ্ট্র সচিব স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো বাতিল করার সম্ভাবনার কথা বললেও, এটা কোনোদিনই সম্ভব হবে না। আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার কারণে বাংলাদেশকে এসব চুক্তির শর্ত পূরণ করতে হবে। তবে চুক্তি, স্মারক ও সমঝোতায় ‘বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু নেই’—প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণের জন্য পুরো চুক্তি, সংসদে উপস্থাপন করা হোক। ডিবেট হোক। প্রয়োজনে সরকার জনমতেরও আয়োজন করতে পারে। সরকার জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়াবলীতে বিরোধী দলের প্রাক মতামত নিলে ভালো করত। এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজন।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
ই-মেইল : tsrahmanbd@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.