সাক্ষাৎকার-তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে 'জাতীয় ঐকমত্য' হবে by মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সাক্ষাৎকার গ্রহণ :লোটন একরাম সমকাল : বিএনপির প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর পূর্ণ হলো। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা কতখানি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে? মির্জা ফখরুল : যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি গঠিত হয়েছিল তা ছিল প্রধানত_ ১. বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।


২. সুশাসন বিকশিত করা। ৩. জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে অর্থনীতিকে সচল ও উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়া। ৪. বাংলাদেশকে একটি আধুনিক উদারপন্থি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করা।
রাষ্ট্রপতি জিয়ার জীবদ্দশায় এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিলেন। মাঝপথে ১৯৮১ সালে তিনি পথভ্রষ্ট সামরিক কর্মকর্তাদের হাতে শাহাদাতবরণ করলে সেই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। জেনারেল এরশাদ নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন এবং গণতন্ত্র আবার বাধাগ্রস্ত হয়। দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচার এরশাদ গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ান। রাষ্ট্রপতি জিয়ার শাহাদাতের পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নতুন প্রাণ পায়। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আবার ফিরে আসে। এ সময় বিএনপি ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংস্কারের কাজ শুরু করেছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়া। বিকৃত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির স্থবিরতা থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে তিনি মুক্তবাজার অর্থনীতির সচলতায় ফিরিয়ে এনেছিলেন। সৃজনশীল উদ্যোক্তা শ্রেণী সৃষ্টিতে বিএনপি পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১, ১৯৯১-১৯৯৬, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি জনগণের আস্থা নিয়ে সরকার পরিচালনা করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অত্যন্ত শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে নিয়ে গেছে। দেশের শিল্প ও কৃষিতে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বিএনপির নেতৃত্বের কারণে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এসবই সম্ভব হয়েছে বিএনপির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতির কারণে।
সমকাল :গত তিন দশকের রাজনীতিতে বিএনপির সাফল্য ও ব্যর্থতা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
মির্জা ফখরুল : বিএনপির রাজনীতিই তো বাংলাদেশের সব মানুষের রাজনীতি। আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন বাকশাল করেছিল। বিএনপি বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগ তথাকথিত সমাজতন্ত্রের নামে সব শিল্প জাতীয়করণ করে অর্থনীতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি মুক্তবাজারনীতি গ্রহণ করে নতুন নতুন কলকারখানা তৈরি করে দেশকে শিল্পায়িত করেছে। কৃষিতে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এসে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে এবং দুর্ভিক্ষের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছে। উৎপাদন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের রাজনীতি বিএনপির সাফল্য।
সমকাল :বিএনপির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পেছনে কী কী কারণ ছিল? বিএনপির দুর্বলতা কোথায়?
মির্জা ফখরুল : বাংলাদেশের রাজনীতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে স্বৈরশাসক এরশাদের স্বৈরশাসনের জন্য এবং আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রাজনীতির জন্য। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিবাদই বিএনপিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। কিন্তু এরপরও শত প্রতিকূলতা কাটিয়ে বিএনপি উঠে দাঁড়িয়েছে।
সমকাল : বিএনপির সাংগঠনিক স্থবিরতা দূর করতে কোনো উদ্যোগ আছে কী? কাউন্সিলের প্রায় দু'বছর পরও এখনও বেশ কয়েকটি জেলায় বিএনপির নতুন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। কবে নাগাদ এগুলো সম্পন্ন হবে?
মির্জা ফখরুল : এটি একটি বিশাল দল। কয়েকটি জেলার সমস্যা পুরো দলে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না।
সমকাল : দলের চেয়ারপারসনসহ অধিকাংশ নেতাই বলেছেন, ঈদের পর বিএনপি সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেবে। কী ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
মির্জা ফখরুল : জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য সমাবেশ, মহাসমাবেশ, রোডমার্চ, লংমার্চ, প্রয়োজনে ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি আসতে পারে।
সমকাল : সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির প্রধান দাবিগুলো কী কী?
মির্জা ফখরুল : সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আমাদের প্রধান দাবি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলও আমাদের অন্যতম দাবি। কারণ সরকার 'আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' তুলে দিয়েছে। এটি জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়েছে। 'সংবিধানের সমালোচনা করা যাবে না'_ (৭ ক, খ)। এটা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এ ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি, সরকারের ফ্যাসিবাদী মনোভাব দূর করা, সব রাজবন্দির মুক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
সমকাল : মাত্র আড়াই বছরের মাথায় মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার মতো এখনও উপযুক্ত সময় হয়নি বলে অনেকে মনে করেন। একই সঙ্গে বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতাও রয়েছে। আরও আড়াই বছর আন্দোলনের কর্মসূচির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হবে কি?
মির্জা ফখরুল : দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদ। রাজনৈতিক হত্যা, অত্যাচার-নির্যাতন, গুপ্তহত্যা, গ্রেফতারের পর নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করা। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি ও দলীয়করণের প্রতিবাদ। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সোচ্চার হওয়া, সংবিধান সংশোধন করে একদলীয় শাসনের পরিকল্পনা, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, অর্থনীতির নিম্নগতি, কর্মসংস্থানের অভাব_ এসবের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন করতেই হবে। বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল এ কথা সঠিক নয়। সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়ে তা সফল করতে বিএনপির যথেষ্ট সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির কমর্সূচির প্রতি সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে।
সমকাল : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অভিযোগ করছে, যুদ্ধাপরাধী ও খালেদা জিয়ার 'দুর্নীতিবাজ' দুই ছেলেকে রক্ষা এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানোই বিএনপির আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।
মির্জা ফখরুল : মহাজোট জনগণের কোনো সমস্যারই সমাধান করতে পারছে না। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার এসব অবাস্তব ও অবান্তর কথা বলছে।
সমকাল : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলা দায়েরের ঘটনায় আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন অনেকে। আপনাদের বক্তব্য কী?
মির্জা ফখরুল : মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে না। এ দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবে।
সমকাল :তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার ইস্যুতে ডান-বাম-ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে 'বৃহৎ ঐক্য' গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এ উদ্যোগে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
মির্জা ফখরুল : এ বিষয়ে 'জাতীয় ঐকমত্য' তৈরি হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সমকাল : ইতিমধ্যে কোন কোন দলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে এবং কোন কোন দল ঐক্য গড়তে সম্মত হয়েছে?
মির্জা ফখরুল : বিকল্পধারা, এলডিপি ও কৃষক শ্রমিক লীগ, কল্যাণ পার্টিসহ আরও ৮-৯টি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
সমকাল :বৃহৎ ঐক্য গড়ার ব্যাপারে বিএনপি যতটুকু আশা করেছিল ততটুকু সাড়া পাচ্ছে না বলে মনে করেন অনেকে?
মির্জা ফখরুল : এ ধারণা ঠিক নয়।
সমকাল : সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেছে। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা ভিন্ন নামে বিকল্প কিছু করতে হলে সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পেঁৗছতে হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। আপনার অভিমত কী?
মির্জা ফখরুল : এ ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সমকাল : সর্বদলীয় সংবিধান সংশোধন কমিটিতে বিএনপি অংশ নেয়নি। সেখানে কি সংশোধনের প্রতিবাদ করা যেত না?
মির্জা ফখরুল : এসবই সাজানো নাটক। পূর্বপরিকল্পিত।
সমকাল :দেশের সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও 'থিঙ্কট্যাঙ্ক' মনে করে বিএনপির সংসদ বর্জন সঠিক হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের বৃহদংশও তা-ই মনে করে।
মির্জা ফখরুল : আমরা তো সংসদে যেতে চাই। সরকারই চায় না আমরা সংসদে যাই। চাইলে তারা উদ্যোগ গ্রহণ করত। যে সংসদে কথা বলা যায় না, জনগণের সমস্যার কথা বলা যায় না_ সেখানে যাওয়া না যাওয়ার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই।
সমকাল : দীর্ঘদিন ধরে সংসদে যোগ না দেওয়ায় বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে সংসদ থেকে পদত্যাগেরও পরামর্শ দিয়েছেন। আপনার বক্তব্য কী?
মির্জা ফখরুল : ওবায়দুল কাদের কি এত তাড়াতাড়ি নিজেদের অতীত ভুলে গেছেন?
সমকাল : বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সংলাপে সাড়া দেয়নি কেন? ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট হচ্ছে। এ পদ্ধতি নিয়ে আপনাদের বিরোধিতার কারণ কী?
মির্জা ফখরুল : এ নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে তার অতীত আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের সাহায্যে নির্বাচনে কারচুপির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বহু দেশে এটি এখন গ্রহণযোগ্য নয়।
সমকাল : বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে এবং বিরোধী দলে গেলে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধিতা করে থাকে বলে মনে করেন অনেকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছেন এবং এ সফরে দু'দেশের দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা সমস্যাগুলোর সমাধান হবে বলে আশা করছে সরকার পক্ষ। বিএনপির দু'একজন নেতা মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় হরতাল দেওয়ার কথাও বলেছেন।
মির্জা ফখরুল : ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী বন্ধু দেশ। আমরা ভারতের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক চাই। ভারতের সঙ্গে আমাদের সমস্যাগুলো মীমাংসা হওয়া খুব জরুরি। ৫৪টি নদীর উৎসমুখ ভারত। ইতিমধ্যে ভারত কোনো না কোনোভাবে নদীগুলো থেকে পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। আমরা তিস্তা, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা চাই।
টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করা প্রয়োজন। ট্রানজিটের নামে করিডোর নয়। ট্রানজিটে আমাদের কী লাভ হবে? সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধ হবে কি-না? সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হবে কি-না? তিনবিঘা করিডোর আমরা পাব কি-না? আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা যেন বিঘি্নত না হয়। বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ কমিয়ে আনা হবে কি-না_ এ বিষয়গুলোর সমাধান হওয়া প্রয়োজন এবং তা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে। চুক্তির সব বিষয় জনগণকে জানাতে হবে।
সমকাল : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তারা কি আত্মসমর্পণ করবেন?
মির্জা ফখরুল : তারেক রহমান লন্ডনে চিকিৎসাধীন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আরাফাত রহমান খুব অসুস্থ। তার অনুপস্থিতিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোনো সুযোগ না দিয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে চরম প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি শুধু প্রতিহিংসা বাড়ায়। পরিবেশ নষ্ট করে।
সমকাল : গণমাধ্যমে সংবাদ বেরিয়েছে, গ্রেফতার এড়াতে তারেক রহমান লন্ডন থেকে কানাডায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন?
মির্জা ফখরুল : বাজে কথা।
সমকাল :দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বর্তমানে বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মির্জা ফখরুল : দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য করা।
সমকাল : বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী এবং দুর্বলতার দিকগুলো কী কী?
মির্জা ফখরুল : প্রধান চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। দুর্বলতা উল্লেখযোগ্য নয়।
 

No comments

Powered by Blogger.