ভবিষ্যতের শ্রেণীকক্ষ!

সম্প্রতি ফ্রেঞ্চ-কানাডাভিত্তিক এক্সোপিসি নামের একটি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষ তৈরিতে কাজ শুরু করেছে। পানামায় নির্মিতব্য এ শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের ব্যবহূত টেবিল, শিক্ষকের ডেস্ক, ব্ল্যাকবোর্ড, বই, নোট, খাতা ও লেখার উপকরণ সবই হবে ডিজিটাল।

বলা চলে ভবিষ্যতের একটি শ্রেণীকক্ষ কেমন হবে, নির্মাণ শেষ হলে এর একটা উদাহরণ হবে পানামার এই শ্রেণীকক্ষ। পানামার সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক চুক্তিতে এ ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষ বাস্তবায়নের কাজ করছে এক্সোপিসি। চুক্তি অনুসারে পানামার গ্রেড স্কুলের পদার্থবিদ্যার শ্রেণীকক্ষে আধুনিক প্রযুক্তির টাচ স্ক্রিন ডেস্কসহ অন্যান্য প্রযুক্তি যুক্ত করছে এক্সোপিসি। এক খবরে হাফিংটন পোস্ট জানিয়েছে, শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ডেস্ক হবে মাল্টি টাচ ট্যাবলেট ডেস্ক। এক্সোডেস্ক নামের এই ডেস্কে যুক্ত থাকবে ৩২ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে।
পদার্থবিদ্যার একটি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য ২০ টি ডেস্ক, শিক্ষকদের জন্য আলাদা একটি ডেস্ক, বড় আকারের মাল্টি টাচ ব্ল্যাকবোর্ডও এই শ্রেণিকক্ষে থাকবে। পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ, তথ্য বা বই সংরক্ষিত থাকবে স্কুলের ডেস্ক মেমোরিতে। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে সে তথ্য ব্যবহার করতে পারবে।
ডেস্কের কম্পিউটারে ইনটেলের তৈরি কোর আই ৫ প্রসেসর ও মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া এক্সোপিসি বিশেষভাবে তৈরি এইচটিএমএল৫ ইন্টারফেস তৈরি করে দিয়েছে, যা পদার্থবিজ্ঞান ক্লাসের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ব্ল্যাকবোর্ডের সঙ্গে ওয়াই-ফাই ব্যবহারে করে এক্সোডেস্কের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম হবে। শিক্ষক ব্ল্যাকবোর্ডে যা লিখবেন ছাত্র-ছাত্রীরা তা ডেস্কে দেখতে পাবে। কোনো সমস্যার সমাধান করতে দিলে সবাই নিজ নিজ ডেস্কে বসে তা সমাধান করতে পারবে আর নিজেদের মধ্যে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। ভারচুয়াল নোটবুকসহ শিক্ষার সব উপকরণই ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা এ ক্লাস থেকে পাবে।

No comments

Powered by Blogger.