সাক্ষাৎকার-জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সমন্বয় বাড়াতে হবে by দেবাশীষ রায়

বিশেষচাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি মেক্সিকোর কানকুনে শেষ হয়ে যাওয়া জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে সরকারি প্রতিনিধিদলের পক্ষে কাজ করেছেন তিনি।


তাঁকে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংগঠন ইউএনএফসিসিসির আদিবাসীবিষয়ক ১৬ জনের ককাসের সদস্য নির্বাচন করা হয়েছে। ইউএন পার্মানেন্ট ফোরাম অন ইনডিজিনাস ইস্যুর নির্বাচিত সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি অর্জনের পর অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার লা ট্রবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের কেন্টের কেন্টারবুরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি লন্ডনের স্কুল অব ল থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে ঢাকা জেলা আদালতে এবং ১৯৯১ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে আইন ব্যবসা করে আসছেন।
 সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইফতেখার মাহমুদ

প্রথম আলো  কানকুনসহ এর আগের জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে বাংলাদেশের ভূমিকাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
দেবাশীষ রায়  সামগ্রিকভাবে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে সমঝোতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা ইতিবাচক। বালি থেকে শুরু করে গত বছর কোপেনহেগেন ও চলতি বছর কানকুন সম্মেলনে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা রাখছে। অন্যতম জলবায়ু বিপন্ন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা যথেষ্ট ভালো ছিল। তবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় নীতি ও স্থানীয়দের অধিকারের সঙ্গে সমন্বয় আনতে হবে।
প্রথম আলো  জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে সরকারের সক্ষমতার ধারাবাহিকতা আছে বলে মনে করেন?
দেবাশীষ রায়  কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চললেও এখনো কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। যেসব সরকারি কর্মকর্তা জলবায়ু নিয়ে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পরিসরে সমঝোতা করছেন, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প তৈরি করছেন, তাঁদের দীর্ঘ মেয়াদে কাজে যুক্ত রাখার কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। পরিকল্পনা করে ২০-২৫ বছর মেয়াদে কিছু লোককে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে তৈরি করতে হবে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়কে এ ক্ষেত্রে নীতি ও উদ্যোগ নিতে হবে।
সুশীল সমাজের একটা বড় অংশ সরকারের কাজে সহায়তা করছে। এর ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। বনের কার্বন ধরে রাখার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জাতিসংঘের তহবিল পাওয়াসহ বিভিন্ন কাজে সরকার কমিটি তৈরি করেছে। কিন্তু সেখানে সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ এখনো যথেষ্ট নয়।
প্রথম আলো  সরকারের জলবায়ুবিষয়ক নীতি ও কৌশলপত্র তৈরি হয়েছে। এ সম্পর্কে মূল্যায়ন করুন।
দেবাশীষ রায়  সরকার জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে সমঝোতা ও তহবিল সংগ্রহ করতে একটি কর্মকৌশলপত্র তৈরি করেছে। একে আমি জলবায়ুনীতিই বলব। এখন দেখতে হবে, এই নীতির সঙ্গে আমাদের বননীতি, পানিনীতি, ভূমিনীতির কোনো সমন্বয় আছে কি না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দেশের ভেতরে যে প্রকল্প ও উদ্যোগগুলো নিচ্ছে, তার সঙ্গে জলবায়ুনীতির সমন্বয় আছে কি না, তা আমরা ভেবে দেখছি না।
প্রথম আলো  কানকুন চুক্তিতে যে সবুজ তহবিলের কথা বলা হয়েছে, সেখানে বনায়ন ও বন সংরক্ষণকেন্দ্রিক কার্যক্রমকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কী ধরনের সুযোগ আছে?
দেবাশীষ রায়  বাংলাদেশের জন্য রেড কার্যক্রম (বনায়ন ও বন ধ্বংস রোধ করে কার্বন নিঃসরণ কমানো) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আমাদের যে বনাঞ্চল আছে, তা ক্রমেই হ্রাস পেয়ে আসছে। এমনিতেই দক্ষিণ এশিয়ায় বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ার দিক থেকে এগিয়ে আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থাও ভালো নয়। কানকুন সম্মেলনে রেড গুরুত্ব পেয়েছে। তবে এর শর্তগুলো এমনভাবে হতে হবে, বন নিধন বন্ধ করা ও বনাঞ্চল রক্ষা করার কাজ করতে বাইরের দেশের সমর্থন প্রয়োজন। সরকারের যে জলবায়ু পরিবর্তননীতি আছে, তা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন। যেমন—উপকূলে আমরা সুন্দরবন থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সবুজ বেষ্টনী করতে চাই। যা আছে তা সংরক্ষণ করতে হবে এবং যেখানে নেই সেখানে বনায়ন করতে হবে। অভিযোজন তহবিল কোনো ভিক্ষার ব্যাপার নয়। শিল্পোন্নত দেশগুলোকে এই অর্থ দিতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রধান সমস্যা বাজারনির্ভর কার্যক্রম। কার্বন-বাণিজ্যের মাধ্যমে তহবিল আসা ঠিক নয়।
প্রথম আলো  কার্বন-বাণিজ্যের পূর্বশর্ত হিসেবে বনজীবীদের বন থেকে সম্পদ আহরণ বন্ধের কথা বলা হচ্ছে। এটি কতটা বাস্তবসম্মত?
দেবাশীষ রায়  জাতিসংঘের তহবিল নেওয়া ও কার্বন-বাণিজ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আদিবাসী যে জনগোষ্ঠীগুলো বনে আছে, তাদের অধিকারগুলো যথাযথভাবে থাকা উচিত। কোপেনহেগেন মতৈক্যে জাতিসংঘের আদিবাসীবিষয়ক ঘোষণাপত্রের সঙ্গে মিল রেখে জলবায়ু তহবিলের কার্যক্রম নেওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
সুন্দরবনে অনেক স্থানীয় জনগোষ্ঠী আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক বননির্ভর গোষ্ঠী ও জাতি আছে। তাই বন সংরক্ষণে আদিবাসীদের সম্পৃক্ত না করার ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। ব্রিটিশ আমল থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ঔপনিবেশিক কায়দায় বন সংরক্ষণ দেখতে পাই। রাষ্ট্রের বন ও জনগণের বনের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য দেখা যায়।
প্রথম আলো  কী ধরনের পার্থক্য দেখতে পান?
দেবাশীষ রায়  সরকার-নিয়ন্ত্রিত বনের ক্ষেত্রে ‘সরকার কা মাল দরিয়া মে ঢাল’ মনোভাব দেখতে পাই। পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৮৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম যখন স্থানীয় সরকার পরিষদ হয়, তখন বন বিভাগকে জেলা পরিষদে স্থানান্তর করা হয়েছিল। দু-এক মাসের মধ্যে তা আবার বন বিভাগের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এটা পার্বত্য শান্তিচুক্তির অংশ। বন বিভাগ জেলা পরিষদের আওতায় থাকলে রাষ্ট্রের স্বার্থ ও স্থানীয় জনগণের স্বার্থের মধ্যে একটা সমন্বয় আনার সুযোগ ছিল। বন বিভাগের আওতায় থাকলে তা সম্ভব নয়।
প্রথম আলো  স্থানীয় জনগণ দিয়ে সত্যিকার অর্থে বন রক্ষা সম্ভব নয় বলে অনেকে মনে করেন।
দেবাশীষ রায়  পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো যতটুকু বন টিকে আছে, এর বেশির ভাগই স্থানীয় উদ্যোগে রক্ষা করা হচ্ছে। স্থানীয় হেডম্যান, কার্বারিসহ আদিবাসী জনগোষ্ঠী নেতারা উদ্যোগ নিয়ে বন রক্ষা করে চলেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকজন স্থানীয় জনগোষ্ঠী নেতাকে বন রক্ষা করার জন্য পুরস্কার পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
প্রথম আলো  বননীতির ক্ষেত্রে কী করা প্রয়োজন?
দেবাশীষ রায়  আমাদের বননীতি যুগোপযোগী করতে হবে। বর্তমানে যে বননীতি আছে, তা বন সংরক্ষণের জন্য যথেষ্ট নয়। একে জনমুখী করতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বন আইন ও নীতি বদলানোর কথা আমরা শুনছি। এতে কিছু ভালো দিক আবার কিছু মন্দ দিকও আছে বলে শুনেছি। আমরা বিষয়গুলো ভালোমতো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি।
প্রথম আলো  সরকার বননীতির ক্ষেত্রে তো পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে। সহব্যবস্থাপনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?
দেবাশীষ রায়  সহব্যবস্থাপনা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া ও কক্সবাজারের কিছু বনকে এই সহব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এই কার্যক্রম চালুর চেষ্টা করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা পার্বত্য জেলা পরিষদ গ্রহণ করেনি। কারণ এতে পার্বত্যবাসীর অধিকার যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি।
এর কিছুটা ভালো দিক আছে। কেননা এতে বলা হচ্ছে, বন থেকে যে আয় হবে, তা বনজীবীদের দেওয়া হবে। মূলত পর্যটন খাতের আয়ের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, লাউয়াছড়া বা সুন্দরবনের মতো সব বনের ক্ষেত্রে পর্যটন-আয় তেমন নেই। পর্যটনের ওপর নির্ভর করে আমরা বন সংরক্ষণ করতে পারব না। বন সংরক্ষণে বননির্ভরগোষ্ঠী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে যে স্থানীয় ক্ষমতা কাঠামোর লোকেরা আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে মতামত নিয়ে এগোতে হবে। চিফ, হেডম্যানদের সঙ্গে আলোচনা করে বন আইন সংরক্ষণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিসরে বন সংরক্ষণের তহবিল নেওয়া এবং তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেওয়া উদ্যোগগুলো বননির্ভর জনগোষ্ঠীর অধিকারের আলোকে নিতে হবে। সরকারিভাবে যে তহবিল তৈরি হয়েছে, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়ভাবে তহবিল দিয়েছে, তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি তহবিল ব্যবস্থাপনায় বনজীবীদের অধিকার নিশ্চিত করে এগোতে হবে।
প্রথম আলো  বন নিয়ে এর আগে যে বড় উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়েছে, তা সফল হয়নি। সুন্দরবন বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন প্রজেক্ট ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে মধুপুরে বড় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেখানে তো স্থানীয় গাছ কেটে বিদেশি প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। দুর্নীতির কারণে প্রকল্পগুলো মাঝপথে বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
দেবাশীষ রায়  বড় প্রকল্প বা উদ্যোগ নেওয়ার আগে বন বিভাগের আমূল পরিবর্তন দরকার। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার উদ্যোগ নিতে হলে সরকারের বন বিভাগকে ঢেলে সাজাতে হবে। বন বিভাগের সংস্কারের জন্য বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ১৯৯৭ একটি সংস্কার সুপারিশ দিয়েছিল, যা আদৌ সিরিয়াসলি আমলে নেওয়া হয়নি। যার সব কটি ভালো না হলেও অনেক ইতিবাচক সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। আমি ১১ মাস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলাম। আমার কাজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হয়েছে। অনেক কিছু উন্মুক্ত হয়েছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। এখনো সংস্কারের বিরুদ্ধে বন বিভাগের ভেতর থেকে প্রতিরোধ আছে।
বন বিভাগ সেই আগের ব্রিটিশ কায়দায় চলছে। কাঁধে রাইফেল আর মাথায় টুপি পরা বনরক্ষী দিয়ে বন রক্ষা করা যাবে না। আমি বলব, বন বিভাগকে ভবিষ্যতে একটি সম্প্রসারণ সেবা বিভাগে পরিণত করতে হবে। ফৌজদারি মামলা ও নিরাপত্তার বিষয়টি হয়তো সীমিত পরিসরে থাকতে পারে। কিন্তু বন বিভাগ নিজে বন রক্ষা করার সব দায়িত্ব নেবে না। জনগণকে সঙ্গে নিতে হবে। যেমন—কৃষির ক্ষেত্রে আমাদের কৃষি বিভাগ রয়েছে। তারা তো নিজেরা ফসল রোপণ করে না। কৃষককে ফসল রোপণ ও রক্ষায় পরামর্শ ও সহায়তা দেয়। আমাদের বন বিভাগকে এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত না করতে পারলে বন রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। জনগণের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে বন রক্ষা ও বনায়ন হবে।
প্রথম আলো  কিন্তু আমাদের দেশে তো সামাজিক বনায়নের কথা বলা হচ্ছে।
দেবাশীষ রায়  সামাজিক বনায়নের ধারণায়ও গলদ আছে। ইংরেজি সোশ্যাল ফরেস্ট্রি শব্দের বাংলা করা হয়েছে সামাজিক বনায়ন। কিন্তু এর সত্যিকার অর্থ হচ্ছে সামাজিক বন ব্যবস্থাপনা। বনায়ন তার একটি অংশ মাত্র। আমাদের সারা দেশে যে বন আছে, তা কেউ রোপণ করেনি। এগুলো তো প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে। এখনো যদি আমরা এগুলোকে প্রাকৃতিকভাবে টিকে থাকতে দিই, আমরা যদি উপকূলীয় বন সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ দিই, পরিবেশ আছে এমন এলাকায় বনায়ন করি, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এ জন্য আমাদের বন আইন, নীতি ও ব্যবস্থাপনা পাল্টাতে হবে।
প্রথম আলো  জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বেশ কিছু তহবিল তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিসর থেকে জাতিসংঘ ও দ্বিপক্ষীয় তহবিল পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তহবিল ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা আছে। আপনি কীভাবে দেখছেন?
দেবাশীষ রায়  সরকার নিজস্ব অর্থায়নে একটি তহবিল গঠন করেছে। যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু দেশের কাছ থেকে তহবিল পেয়েছে। এই তহবিলগুলো আমরা এখনো সঠিকভাবে ব্যয় করতে পারিনি। কিছু কারিগরি সমস্যা রয়ে গেছে। অভিযোজন তহবিল ও সবুজ তহবিল থেকে অর্থ পাব বলে মনে হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুশীল সমাজের অংশগ্রহণের বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিগুলোর মধ্যে সমন্বয় আনা প্রয়োজন।
প্রথম আলো  আপনাকে ধন্যবাদ।
দেবাশীষ রায়  ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.