গতকাল সমকাল-আরব বিশ্বে রাজনৈতিক সুনামি by ফারুক চৌধুরী

৩১ জানুয়ারি, ২০১১ সালে ‘আরব বিশ্বে রাজনৈতিক সুনামি’ শীর্ষক একটি নিবন্ধে মিসরের গণজাগরণের ওপর মন্তব্যে লিখেছিলাম, ‘আজ হোক, কাল হোক মোবারককে যেতেই হবে।’ ক্ষমতাচ্যুত মোবারক এখন মিসরীয় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শার্ম আল-শেখে অনিশ্চিত প্রহর গুনছেন। আরও বলেছিলাম,


‘...রাজনৈতিক সুনামির এই আঘাতটি লাগতে শুরু করেছে ইয়েমেন, জর্ডান, আলজেরিয়া আরও না জানি কত দেশে আর সমাজে। তারও বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে নানা রূপে সেই সব জনপদের আর্থসামাজিক আর রাজনৈতিক অবস্থার ওপর। তা নাড়িয়ে তুলতে পারে সেসব সমাজের ঘুণে ধরা সব ভিত্তি। আর তার তাৎক্ষণিক পরিণতিও হতে পারে প্রাকৃতিক “সুনামি”র মতোই; অবিশ্বাস্য, ভয়াবহ আর সুদূরপ্রসারী।’
আমরা একটি সপ্তাহ ধরে লিবিয়ায় তা প্রত্যক্ষ করছি। তা অবিশ্বাস্য—কারণ, একজন তথাকথিত রাষ্ট্রনেতা তাঁর নিরস্ত্র দেশবাসীর ওপর বোমাবর্ষণ করছেন; তা ভয়াবহ—কারণ, তিনি ভাড়াটে বিদেশি খুনিদের ব্যবহার করছেন তাঁর দেশবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করার জন্য; সুদূরপ্রসারী—কারণ, মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে আজ হোক, কাল হোক তাঁর মসনদ থেকে বিদায় নিতেই হবে। কিন্তু লিবিয়াকে কী অবস্থার মধ্যে রেখে যাবেন তিনি? লিবিয়ায় এখন প্রতিনিয়ত যা ঘটছে, তা লিবিয়া থেকে মুক্ত তথ্যপ্রবাহের সব প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা নিয়মিতই জানতে পারছি, দেখতে পারছি টেলিভিশনের পর্দায়। এসবের পুনরাবৃত্তি এখানে নিষ্প্রয়োজন। গাদ্দাফির মন্ত্রীরা পদত্যাগ করছেন; পাইলট, নাবিক, সৈন্যরা আদেশ মানছেন না; কূটনীতিকেরা সরকারের প্রতি তাঁদের আনুগত্য প্রত্যাহার করছেন। আর সবকিছু সত্ত্বেও চার দশকের এই স্বৈরাচারী, যাঁর অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডের ফর্দের মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গের হত্যাকারীদের আশ্রয় প্রদান এবং তাদের জীবিকার সংস্থান করে দেওয়া। বাগাড়ম্বর করছেন যে তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন না, কারণ তাঁর কাছে কোনো ক্ষমতা নেই। তিনি তাঁর পদ ছাড়বেন না, কারণ তিনি কোনো পদই অলংকৃত করেন না! কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধাচরণ যাঁরা করছেন, তাঁদের তিনি তেলাপোকার মতো মেরে মেরে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। শব্দচয়নে, বাচনভঙ্গিতে বেশভূষায়, ইতিহাসের পাতা খুঁজলেও মুয়াম্মার গাদ্দাফি তুলনাবিহীন। উগান্ডার ইদি আমিন তাঁর কাছে শান্তশিষ্ট সুবোধ, উর্দি পরা একজন মানুষখেকো!
লিবিয়া প্রায় ছয় লাখ ৮০ হাজার বর্গমাইলের ৬০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত একটি ভূখণ্ড, যা মাগরেব আরব (আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া আর মরক্কো) আর মিসর থেকে শুরু হওয়া পূর্ব দিকের মাশরেক আরব দেশগুলোর মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে সাহাবার বালুবন্ধন। ভূমধ্যসাগরের উপকূল অঞ্চল ছাড়া সেই দেশের দক্ষিণের মরুভূমি অঞ্চল একেবারেই জনবিরল। জ্বালানি তেল আবিষ্কারের আগে দরিদ্র পশ্চাৎপদ লিবিয়া সেই যুগের আরব ভুবনেও পিঁড়ি পেত না। ইতিহাসে যেতে চাই না, তবে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ লিবিয়াকে ইতালির শাসনমুক্ত করল এবং কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে লিবিয়া স্বাধীন হলো ১৯৫১ সালে। লিবিয়ার রাজা হলেন ‘সানুসি’ গোত্রের ইদ্রিস। ১৯৬৯ সালের সামরিক ক্যু অপ্রত্যাশিত ছিল না সেই দেশে।
কনিষ্ঠ অফিসারদের একটি দল সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাদশা ইদ্রিসের পতন ঘটাল। ক্রমে ক্রমে প্রতীয়মান হলো যে তাদের নেতা হচ্ছেন সামরিক বাহিনীর আপেক্ষিকভাবে গুরুত্বহীন, ‘সিগন্যাল কোরের’ তরুণ ক্যাপ্টেন (জন্ম ১৯৪১) মুয়াম্মার গাদ্দাফি। তিনি অবশ্য সত্তরেই কর্নেলের পদে উন্নীত হলেন। গাদ্দাফির গত চার দশকের শাসনের খতিয়ান, তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিরই হোক অথবা তাঁর বিদেশনীতির, এতই বিচিত্র যে এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দুরূহ। এই নিবন্ধের প্রেক্ষাপটে তা অবান্তরও বটে।
আরব দেশগুলোর মধ্যে জ্বালানি আহরিত পেশিশক্তিতে তিনি ছিলেন কখনো আরব জাতীয়তাবাদী, কখনো বা তথাকথিত সামাজিক ন্যায়বিচারের অজুহাতে তিনি ছিলেন এক মূর্তিমান বিভীষিকা। আর আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে তাঁর প্রভাব বিস্তার করতে অর্থ ও অস্ত্র—দুয়েরই যথেচ্ছ ব্যবহার করেছেন তিনি। বিদেশনীতিতে নানা ডিগবাজির ভেলকিতে তিনি আকৃষ্ট করলেন যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপীয় দেশগুলোকে। দেখালেন তেলের খেলা। ‘লকারবি বোম্বার’-এর বিষাদময় ঘটনা আর তার লজ্জাকর পরিণামের কথা আমরা সবাই অবগত আছি। ক্রমে ক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্য পাত্রে পরিণত হলেন গাদ্দাফি এবং যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপ লিবিয়ার রপ্তানি করা তেলের সিংহভাগ পেয়ে রইল তৃপ্ত। তাই আজও তারা গাদ্দাফির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নামে কাজের চেয়ে কথা বলছে বেশি।
কিন্তু গত চারটি দশক লিবিয়ার জনসাধারণকে সহ্য করতে হয়েছে গাদ্দাফির খামখেয়ালির পরিণাম, লিবিয়ার গোষ্ঠীভিত্তিক রাজনীতির নিষ্পেষণ আর ‘জমহুরিয়াত’ অর্থাৎ ‘জনতার শাসনের’ নামে দুর্নীতি ও স্বৈরাচার।
তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক ভূকম্পনে সৃষ্ট ‘সুনামি’ প্রথম যাত্রায় লিবিয়াকে ডিঙিয়ে পূর্ব দিকে আঘাত হানল মিসরে, তারপর ক্রমে ক্রমে বিভিন্ন মাত্রায় বাহরাইন, জর্ডান, ইয়েমেন প্রভৃতি দেশে। আর অবশেষে এখন ঘড়ির কাঁটার উল্টোপথে (anti-clockwise) গিয়েই আঘাত হেনেছে লিবিয়ায়। লিবিয়ার গত সাত-আট দিনের ইতিহাস হত্যাযজ্ঞেরই কাহিনি, যাতে প্রাণ দিয়েছে রক্ষণশীল গণনায়ও লিবিয়ার অন্তত দুই হাজার নাগরিক। দেশটির নড়বড়ে প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে, আইনশৃঙ্খলা অনুপস্থিত, বিচারব্যবস্থা পলাতক। আর সবকিছুর মধ্যে কখনো প্রতিশোধ, কখনো আল-কায়েদা ও ওসামা বিন লাদেনের জুজুর ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছেন উন্মাদ রাষ্ট্রনায়ক গাদ্দাফি।
গাদ্দাফির সামরিক বাহিনী সুশৃঙ্খল নয় মোটেও। ইচ্ছে করেই গাদ্দাফি প্রথাগত একটি বাহিনী গড়ে তোলেননি। তিনি দেশ পরিচালনা করেছেন তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী আর ভাড়া করা সশস্ত্র সৈন্যদের মাধ্যমে। তাদেরই তিনি এখন ব্যবহার করছেন গণজাগরণকে দমিয়ে রাখতে। গোষ্ঠীভিত্তিক লিবিয়ার সমাজকে বদলাননি গাদ্দাফি। বরং এক গোষ্ঠীকে তিনি প্রয়োজনমতো ব্যবহার করেছেন অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বেনগাজিসহ পূর্ব লিবিয়ায় তিনি কখনোই তাঁর নিশ্চিত প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। তাই পূর্ব লিবিয়া ইতিমধ্যেই আপেক্ষিকভাবে গাদ্দাফির প্রভাবমুক্ত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে প্রতিবাদী গোষ্ঠীর নেতারা কিন্তু এখন তাঁদের গোষ্ঠীর (tribe) দোহাই দিচ্ছেন না। তাঁরা তাঁদের প্রতিবাদে দেশটি অর্থাৎ লিবিয়ার নামই উচ্চারণ করছেন। তাই গাদ্দাফি নিষ্ক্রান্ত হলেই যে দেশটি গোষ্ঠীর ভিত্তিতে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে—এই ভীতি অমূলকই মনে হয়।
বাংলাদেশের জন্য লিবিয়ার পরিস্থিতির বিবর্তনের একটি বিশেষ মাত্রা রয়েছে। সেই দেশে এখন কর্মরত হাজার হাজার বাংলাদেশি, যাঁদের সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের অজানা। তবে তা ৫০ থেকে ৭০ হাজার হবে। সিংহভাগই কায়িক পরিশ্রমের ওপর নির্ভরশীল। হয়তো বা তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কিছু চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার আর শিক্ষক। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তাঁরা কালাতিপাত করছেন। তাঁদের বহির্গমনের পথ এখন প্রায় রুদ্ধ। পূর্ব দিকে মিসর। লিবিয়ায় মিসরেরই প্রায় ১০ লাখ প্রবাসী। তারাও দেশে পাড়ি জমানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। পশ্চিমে তিউনিসিয়ার সীমান্ত। সেখানেও অবস্থা তথৈবচ। তিউনিসীয় আর আলজেরীয়দের সংখ্যাও লিবিয়ায় কম নয়। তারাও এখন ঘরমুখো। আর উত্তরে ভূমধ্যসাগর। সেই পথে উত্তরের ইউরোপীয় দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব খোদ লিবিয়ানরা—রাতের অন্ধকারে ছোট ছোট নৌযানের বহরে। তুরস্কসহ (৩০ হাজার কর্মী) অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে। ভারতীয় আর পাকিস্তানিদের সম্মিলিত সংখ্যা বোধ হয় বাংলাদেশিদের চেয়ে কমই হবে। অতএব, লিবিয়া নামের ভয়াবহ কারাগারে এখন আটক আছেন আমাদের হাজার হাজার নাগরিক। এটা অবশ্য নয় যে তাঁদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাঁদের মধ্যেও নিরাপদ আর বিপদমুক্ত অবস্থানের হেরফের আছে। তাঁরা একে অন্যের সহযোগিতায় আপেক্ষিকভাবে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারেন। অনেকে আবার আছেন কিছু কোরীয় নির্মাণ কোম্পানির তত্ত্বাবধানে। কিন্তু মূল প্রশ্নটি হচ্ছে, বর্তমানে কর্মহীন, রোজগারহীন এসব মানুষ জীবন যাপন কীভাবে করবে? সীমিত আয়ের এই জনগোষ্ঠীর হাতে অর্থ অপর্যাপ্ত। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, অচিরেই লিবিয়ায় চরম খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। লিবিয়া আমদানিভিত্তিক দেশ। লিবিয়ায় খাদ্য উৎপাদনে গাদ্দাফির উন্মাদ প্রচেষ্টা বহুলাংশে ব্যর্থ হয়েছে।
এক কথায়, এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের সিংহভাগ নাগরিককেই লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশ সরকার তাই এখন একটি বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। নব্বইয়ের দশকে দিল্লিতে কর্মরত অবস্থায় সাদ্দামের কুয়েত আক্রমণের ভুক্তভোগীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় প্রান্তিকভাবে হলেও জড়িত ছিলাম এই কারণে যে কুয়েত থেকে প্রত্যাবর্তনকারী অনেক বাংলাদেশিই স্থলপথে উত্তর ভারত, তথা দিল্লি হয়ে দেশে ফিরেছিলেন। এ অবস্থায় মানুষের সমস্যার অন্ত নেই।
এখন প্রয়োজন রয়েছে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আর ত্রিপোলিতে আমাদের দূতাবাসের মধ্যে নিবিড় কর্ম সমন্বয়ের। আমাদের লিবিয়ার দূতাবাসে লোকবল বাড়ানো বর্তমান অবস্থায় সম্ভব কি না জানি না, তবে নিকটস্থ মিসর আর তিউনিসিয়ায় আমাদের সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন অপরিসীম এবং এর জন্য পেশাদার কূটনীতিকদের সাময়িকভাবে পাঠানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। শুনেছি যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং সেল স্থাপিত হয়েছে—তবে প্রয়োজন রয়েছে (হয়তো বা এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে) সংশ্লিষ্ট উপরিউক্ত দুটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে রাজনৈতিক নির্দেশনাদানের ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ স্থাপন করা। শুনেছি যে ইতিমধ্যেই IOM (International Organization for Migration) এবং ICRC (International Community of Red Cross)—এই দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ঢাকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এই দুটি সংস্থার মধ্যে IOM আমাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনায় সহায়তা দিতে করতে অভিজ্ঞ, সক্ষম এবং সম্ভবত প্রস্তুত। ICRC আমাদের নাগরিকদের সাময়িক বাসস্থানের সুযোগ করতে সক্ষম হবে। সরকারের এই দুটি সংস্থার সঙ্গে মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে প্রয়োজন রয়েছে মিসর আর তিউনিসিয়ার নতুন দুই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে আমাদের নাগরিকদের প্রস্থান-প্রক্রিয়া সুগম করা। এই দুই দেশের সীমান্তে আমাদের নাগরিকদের জন্য মেডিকেল টিম, ওষুধ ইত্যাদি পাঠানোর সম্ভাবনা জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনা করা উচিত। সব পদক্ষেপের জন্যই প্রয়োজন অর্থের এবং জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন হলে অন্য খাতে ছাঁটকাট করে পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হাতে তাৎক্ষণিক খবরের জন্য থোক অর্থ বরাদ্দ করা উচিত। বিদেশি সাহায্যের জন্য বসে থাকার সময় আমাদের হাতে নেই।
সব সমস্যারই গোড়ায় রয়েছেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি। তাঁর ওপর চাপ প্রয়োগে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো এখনো কোনো শক্ত পদক্ষেপ নেয়নি। গাদ্দাফির ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করার সময় এখন এসেছে। গাদ্দাফির অবস্থান এখন ভঙ্গুর বলেই মনে হচ্ছে। তার নিষ্ক্রান্তি তাৎক্ষণিকভাবেই অবস্থার উন্নতি ঘটাবে। সেই অবস্থার সৃষ্টি হলে একটি নতুন গণতান্ত্রিক লিবিয়ার অভ্যুদয় আকাশ-কুসুম কোনো কল্পনা নয়। আর সেই লিবিয়ায় আমাদের কর্মীদের প্রয়োজন বাড়বে বৈ কমবে না।
ফারুক চৌধুরী: সাবেক পররাষ্ট্রসচিব। কলাম লেখক।
zaaf@bdmail.net

No comments

Powered by Blogger.