শ্রদ্ধাঞ্জলি-সাংবাদিকতার অক্লান্ত যোদ্ধা এবিএম মূসা by আতাউস সামাদ

মূসা ভাই অর্থাৎ বিখ্যাত সাংবাদিক এবিএম মূসাকে নিয়ে এর আগেও লিখেছি, তবে সেগুলোতে হয়তো বা আবেগ প্রাধান্য পেয়েছে, কারণ তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক হচ্ছে গুরু-শিষ্য, ত্রাতা-বিপদাপন্ন, সেনাপতি-সৈনিক, সহযোদ্ধা, দলপতি-কর্মী, বড় ভাই-ছোট ভাই এবং সময়ে সময়ে যেন বা বন্ধুত্বের।


মোট কথা, তিনি প্রকৃত অর্থেই আমার ও আমার পরিবারের আপনজন। এই লেখার শুরুতেই এ কথাগুলো বলে নিলাম এ জন্য যে মূসা ভাই আজ আমার চোখের সামনে বারবার আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় প্রেক্ষাপটে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি মুসলমানদের ঐতিহ্য, আশা-হতাশা, আনন্দ-বেদনা এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে প্রথমে কিছু সাময়িক পত্রিকার পাতায়, পরে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে। গত শতাব্দীর ষাটের দশকের পুরোটাজুড়েই সাংবাদিকদের একদিকে সংগ্রাম করতে হয়েছে গণমাধ্যমের ন্যূনতম স্বাধীনতা আদায় করার জন্য, অন্যদিকে পূর্ব বাংলার বাঙালিদের মনে প্রথমে স্বাধিকার ও পরে স্বাধীনতার জন্য অদম্য আগ্রহ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে। আবদুস সালাম, তোফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) জহুর হোসেন চৌধুরী ও শহীদুল্লা কায়সারের মতো সাহসী ও যোগ্য সম্পাদকের পাশাপাশি সিরাজুদ্দীন হোসেন, কে জি মুস্তাফা, খোন্দকার আবু তালেব, এবিএম মূসা, ফয়েজ আহমেদ, নিজামুদ্দীন, এম আর আখতার, আওয়াল খান, আলী আশরাফ, সন্তোষ গুপ্ত, এনায়েতুল্লাহ খান, শহীদুল হক ও বজলুর রহমানের মতো লড়াকু ও প্রতিভাবান সাংবাদিকের প্রয়োজন পড়েছে যুদ্ধটা করার জন্য। ওই প্রজন্মের সাংবাদিকদের মধ্যে এখনো কর্মরত ও সক্রিয় আছেন মূসা ভাই ও তোয়াব খান। ফয়েজ ভাই বয়স ও অসুস্থতার দরুন এখন বেশির ভাগ সময় কাটান ঘরে, তবে লেখা একেবারে বন্ধ করেননি। যে প্রজন্মের সাংবাদিকদের কথা বললাম, তাঁরা একাধারে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা পেশা তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এবং নীরবে একটা স্বাধীন দেশ তথা বাংলাদেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। সেই সময়কার সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতায় তাঁদের কাজ বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা ভাগ্যবান যে মূসা ভাই, ফয়েজ ভাই ও তোয়াব ভাই এখনো আমাদের মধ্যে আছেন।
মূসা ভাইয়ের সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা ভেতর থেকে দেখেছেন যে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কঠিন ও উঁচু দেয়াল ডিঙিয়ে কীভাবে তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। সমধিক গুরুত্বপূর্ণ এ-ও যে, কোন খবরটার প্রতি এই মুহূর্তে সর্বাধিক পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা প্রয়োজন, ত্বরিত গতিতে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই লক্ষ্যে দরকারি ব্যবস্থা নেওয়া। এই কাজগুলো মূসা ভাই করতেন প্রায় অবলীলায়। এটা ছিল তাঁর স্বভাবজাত।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন শেখ মুজিব ঘোষিত ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং দলের বন্দী নেতাদের মুক্তির জন্য পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে হরতাল ডেকেছিল আওয়ামী লীগ। খুবই উত্তেজনাপূর্ণ ওই দিনে সকালের দিকেই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর ঢাকা শহর ও আরও কয়েক জায়গায় গুলি চালায় এবং এর ফলে অন্তত ১০ জন নিহত হন। সে দিন আমার দায়িত্ব ছিল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের অবস্থা ও শ্রমিক বিক্ষোভের রিপোর্ট করা। এখানে গুলি চলার অল্প পরই আমাদের গাড়ির চালক তফাজ্জলের সহায়তায় অফিসে পৌঁছে দেখি, মূসা ভাই (তখন তিনি অবজারভার-এর বার্তা সম্পাদক) নিজেই ছাপাখানায় দাঁড়িয়ে, তক্ষুনি অবজারভার-এর একটি ‘টেলিগ্রাম’ (জরুরি বিশেষ সংখ্যা, টেলিভিশনে এখনকার ব্রেকিং নিউজের মতো অনেকটা) বের করার কাজ করছেন। আমরা রিপোর্টাররা যেসব খবর এনেছি, সেগুলো আমাদের ছোট ছোট স্লিপে লিখে দিতে নির্দেশ দিলেন তিনি। ছাপাখানায় দাঁড়িয়েই সেগুলো সম্পাদনা করে, কম্পোজ করিয়ে, পাতা সাজিয়ে, কাগজ ছাপা শুরু করে দিয়ে দোতলার অফিসে উঠে এলেন তিনি। বললেন, ‘সরকার তো সেন্সরশিপ আরোপ করবে, তাই সেই নির্দেশ আসার আগেই কাগজ বের করে দিলাম।’ মূসা ভাই ঠিকই ধরেছিলেন। ৭ জুনের আন্দোলনের খবর ছাপার ওপর নিষেধাজ্ঞা এল বিকেলের আগেই। সন্ধ্যার পর সরকার একটা বিজ্ঞপ্তি দিল দিনের ঘটনা নিয়ে। সরকারি হুকুম হলো, শুধু এই বিজ্ঞপ্তি ছাপা যাবে, আর কিছু নয়। বার্তা সম্পাদক মূসা ভাই ওই বিজ্ঞপ্তি সে দিনের প্রধান খবর হিসেবে ছাপলেন। তবে সেটার ওপর শিরোনাম লিখলেন, 'Its a government pressnote' (সংবাদটি একটি সরকারি প্রেসনোট)। ফলে পাঠকেরা সেই খবর আর বিশ্বাস করলেন না। অবজারভারকে এ জন্য অনেক চাপের মধ্যে পড়তে হয়েছিল। সরকার বিজ্ঞাপন দেওয়াও বন্ধ করে দেয়। এখানে একটা কথা অবশ্যই বলতে হয় এবং মূসা ভাইও তা বলেন। পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের সমর্থন ছাড়া এসব কাজ বার্তা সম্পাদক বা প্রতিবেদক করতে পারবেন না। অবজারভার-এ মূসা ভাইয়ের এসব সিদ্ধান্তের প্রতি সম্পাদক আবদুস সালাম ও মালিক হামিদুল চৌধুরীর পূর্ণ অনুমতি ছিল। তা হলো, তবে শুধু অবজারভার নয়, মূসা ভাই বিবিসি ও সানডে টাইমস-এর সংবাদদাতা হওয়ার সুযোগটাও স্বাধিকার আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি ব্যবহার করেছিলেন। ১৯৭০ সালের নভেম্বরে বাংলার দক্ষিণাঞ্চলে যে মারাত্মক সাইক্লোন আঘাত হানে, তাতে লাখ লাখ লোক মারা যায়। পাকিস্তান সরকার এ বিষয়ে তথ্য গোপন করছিল। মূসা ভাই তখন বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে বিবিসি ও সানডে টাইমস-এ মৃতের পরিসংখ্যান পাঠাতে থাকেন। বিবিসিতে প্রচারিত খবর হিসেবে ওই পরিসংখ্যান ঢাকায় অবজারভার ও অন্য আরও কাগজে প্রকাশিত হতে থাকে। আর জনগণ কেন্দ্রীয় সরকার ও সেনাশাসক ইয়াহিয়া খান বাংলার এই ভাগ্যাহত জনগণের প্রতি যে চরম ঔদাসীন্য দেখাচ্ছিলেন, তা নিয়ে ফুঁসতে থাকে। সানডে টাইমস-এর খবর উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করেছে, প্রয়োজনে আরও ১০ লাখ মানুষ বাংলার স্বাধিকার অর্জনের জন্য প্রাণ দেবে।’
বিবিসিতে খবর পাঠানোর এমন আরও সুযোগ নিয়েছেন মূসা ভাই। মনে পড়ে ১৯৭১-এর মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের সময় ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী নবনিযুক্ত গভর্নর সামরিক অফিসার জেনারেল টিক্কা খানকে শপথ দিতে রাজি হননি। বিচারপতি সিদ্দিকীর সঙ্গে মূসা ভাইয়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি মূসা ভাইকে ডেকে নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছ থেকে জেনে দিতে যে শপথ দেওয়ার দায়িত্বের ব্যাপারে তিনি কী করতে পারেন। মূসা ভাই গেলেন শেখ সাহেবের কাছে। তিনি বললেন, প্রধান বিচারপতি যেন কালক্ষেপণ করেন। সেই পরামর্শ মোতাবেক জেনারেল টিক্কা খানকে ওই সময় শপথ দান করতে অপারগতা জানালেন প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী। কিন্তু ওই খবর কোনো সূত্র ছাড়া ঢাকার পত্রিকাগুলো ছাপাবে কীভাবে। মূসা ভাই তখন বিবিসিতে খবরটা পাঠালেন। অবজারভার এবং আরও কয়েকটি কাগজ বিবিসি উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করল যে বিচারপতি সিদ্দিকী জেনারেল টিক্কা খানকে শপথ দেননি। ২৬ মার্চ ১৯৭১, পাকিস্তানি সেনারা বাংলাদেশে সামরিক অভিযান শুরু করার পর অবশ্য বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী বাধ্য হয়েছিলেন টিক্কা খানকে গভর্নরের শপথ দিতে। ওই টিক্কা খানই ‘বাংলার কসাই’ পরিচিতি পেয়েছিলেন এখানে তাঁর নৃশংসতার জন্য।
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কিছুদিন পর মূসা ভাই ব্যাংকক চলে যেতে সক্ষম হন। মূসা ভাই বিদেশে প্রখ্যাত ভারতীয় সাংবাদিক অমিতাভ চৌধুরীর উদ্যোগ ও সহায়তায় এশিয়ান নিউজ সার্ভিস নামে একটি বার্তা সংস্থা চালু করতে সমর্থ হন। এই বার্তা সংস্থার প্রধান কাজ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের খবর সংগ্রহ করে পশ্চিমা গণমাধ্যমকে সরবরাহ করা। সেই সময় বিবিসি এই সংস্থার অনেক খবর ব্যবহার করেছিল। আমার মনে পড়ে, একাত্তরের নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের শুরুতে বিবিসিতে মূসা ভাইয়ের পাঠানো সংবাদ উল্লেখ করে প্রচার করা হয়েছিল যে, পাকিস্তানে বন্দী শেখ মুজিবুর রহমানের মেজো ছেলে শেখ জামাল যশোর রণাঙ্গনে যুদ্ধ করছেন। যুদ্ধের আরও খবরের মধ্যে কিশোর মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ের খবরও রণাঙ্গন থেকে পাঠিয়েছিলেন মূসা ভাই।
মূসা ভাই আমাদের জন্যও অনেক করেছেন। নিজে বিলাতে যা শিখে এসেছেন, আমাদের হাতে ধরে তা লিখিয়েছেন। বড় বড় খবরের উৎস হিসেবে কাজ করে পরিপূর্ণ ব্রিফ দিয়েছেন। সরেজমিনে রিপোর্টিংয়ের গুরুত্ব কর্মফলের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমাকে তো দুবার নিজে গাড়ি চালিয়ে ঢাকার বাইরে (ফতুল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া) একটা লঞ্চডুবি ও একটা ট্রেন দুর্ঘটনার স্থানে নিয়ে গেছেন, নিয়ে এসেছেন, এমনকি নোট নিয়েছেন। আর রিপোর্টগুলো বেরিয়েছে আমার বাই-লাইনে। এখানে উল্লেখ করি, ঢাকায় দৈনিক পত্রিকায় ভালো রিপোর্টে রিপোর্টারদের নাম দেওয়ার প্রথা মূসা ভাই-ই চালু করেন অবজারভার পত্রিকায়। সেই সঙ্গে নাটকীয় আলোকচিত্রের ব্যবহার। ছবিতে নাটকীয়তা আনার জন্য কাঁচি, ব্লেড ও আলপিন ব্যবহার করে সম্পাদনা করতে দেখেছি তাঁকে।
মূসা ভাইয়ের কর্মজগতের ব্যাপ্তি অনেক। পাকিস্তান আমলে তিনি যে শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন ও প্রয়াত কে জি মুস্তাফার সঙ্গে অগ্রভাগে থেকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করেছেন। আইয়ুব খানের কালাকানুন প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ১৯৬২ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাংবাদিক ইউনিয়নের ডাকে আমরা রাজপথে মিছিল করেছিলাম। ইউনিয়নের নেতারা সম্পাদকদেরও রাজি করিয়েছিলেন ওই শোভাযাত্রায় যোগ দিতে। বৃদ্ধ মওলানা আকরম খাঁ-ও এসেছিলেন। তাঁকে মোটরগাড়িতে বসিয়ে শোভাযাত্রায় শামিল করা হয়েছিল। গাড়িটি ছিল মূসা ভাইয়ের ছোট্ট fiat-৫০০ মডেলের নীল রঙের। ওটার হুড খুলে দেওয়া হয়েছিল, যাতে মওলানা আকরম খাঁকে দেখা যায়। মূসা ভাই নিজেই চালাচ্ছিলেন সেই গাড়ি।
মূসা ভাই সম্পর্কে এতগুলো কাহিনি যে মনে করলাম, তাঁর তিনটি কারণ আছে। প্রথমত, সমস্যা ও বিপৎসংকুল সময়ে মূসা ভাইয়ের সাংবাদিকতার ধরন সম্পর্কে পাঠকদের ধারণা দেওয়া। দ্বিতীয়ত, সেই সময়টা সাংবাদিকদের জন্য কেমন ছিল, তা কিছুটা তুলে ধরা। আর তৃতীয়ত, মূসা ভাইয়ের কাছ থেকে এখনো সম্পাদকেরা ও তাঁদের অধীন সাংবাদিকেরা অনেক কিছু জেনে নিতে ও লিখে নিতে পারেন, তা বলা। মূসা ভাই আমাদের সব সময় বলতেন, কোনো সমস্যা নিয়ে রিপোর্ট করলে শুধু সমস্যাটি ও তার কারণ লিখলেই হবে না, সেটি সমাধান করা যায় কীভাবে, তা-ও খুঁজে বের করে বলতে হবে। তিনি এখন কলামিস্ট হিসেবে যা লেখেন, তাতে ওই সূত্রটি মেনে চলেন। টেলিভিশনে সংবাদভাষ্য দেওয়ার সময়ও সেভাবে বলতে চেষ্টা করেন। মধ্য রাতেও টেলিভিশনে মূসা ভাই যে সজাগ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেন, তা দেখে বিস্মিত হই।
আজ মূসা ভাইয়ের ৮০তম জন্মবার্ষিকী। তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানাই। ভাবি সিতারা মূসাকেও শুভেচ্ছা জানাই। তাঁরা দুজন আমাদের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে থাকুন আরও বহু দিন, আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।
আতাউস সামাদ: সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.