ফেসবুক পেজ থেকে-আইনি জিজ্ঞাসা

ফেসবুকে আইন অধিকার পেজেযোগদিয়েমতামতওআইনিজিজ্ঞাসাকরতেপারেনwww.facebook.com/AINADHIKAR
প্রশ্ন: আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে এক চটকদার বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় দেখে আমি ফাঁদে পড়ে আবাসিক প্লট বরাদ্দের টাকা দিয়ে অদ্যাবধি প্লটের দখল বুঝে পাইনি।

প্রতিষ্ঠানটি জমির মূল্য কম দেখিয়েছে এবং নিম্ন মানের জমি কম দামে কিনে বেশি টাকা নিয়েছে। উন্নয়নের নামে নেওয়া টাকা লুট করেছে এবং উন্নয়নের কোনো কাজ না করে বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া কোনো সুযোগ-সুবিধা দেয়নি। আমাকে শুধু জমি রেজিস্ট্রেশনের একটা কাগজ দিয়েছে
এ অবস্থায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কি কোনো সুযোগ আছে?
আফজাল হোসাইন

উত্তর: আপনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তবে জমির মালিকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে কি না, তা বলেননি। প্লট বরাদ্দ চুক্তিপত্র ও রেজিস্ট্রি-সংক্রান্ত রশিদ এবং টাকা দেওয়ার রশিদ দিয়ে আপনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। দণ্ডবিধির ৪০৬ এবং ৪২০ ধারায় এ সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্ন: আমি জানতে চাই, হিন্দু বিবাহ আইনে কোর্ট ম্যারেজ বা নোটারি পাবলিকে বিয়ে সম্পন্ন করলে সে বিয়ের কি আইনি ভিত্তি থাকবে? মেয়ের বয়স যদি ১৮ বছর না হয়, তাহলে নোটারি পাবলিকের বিয়ে কি গ্রহণযোগ্য হবে? যদি না হয়, তাহলে কীভাবে বিয়ে করলে আইনি ভিত্তি পাবে?
প্রশান্ত সূত্রধর

উত্তর: নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে হলফনামার মাধ্যমে বিয়ের ঘোষণা দিয়ে থাকেন মাত্র, যা পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিবাহ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বিবাহের হলফনামা একটি দালিলিক প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। এটি দিয়ে ঘোষণা দেওয়া হয় যে উভয়ে প্রচলিত আইন মেনে বিয়ে করেছেন। কিন্তু এতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল তা বলা যাবে না। অবশ্যই হিন্দু আইনের প্রথা মেনেই বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। কেননা, হিন্দু বিবাহে নিবন্ধনের কোনো বিধান নেই। ছেলেমেয়েকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। মেয়ের বয়স ১৮ বছরের কম হলে তা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
প্রশান্ত কুমার কর্মকার
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

No comments

Powered by Blogger.