জেনে রাখুন-ভূমি জরিপের ক্ষেত্রে ৩০ ও ৩১ বিধি বলতে কী বোঝায়?

ভূমি জরিপের ক্ষেত্রে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হয়। যেমন, ট্রাভার্স সার্ভে, কিস্তোয়ার, খানাপুরি, বুঝারত, খানাপুরি কাম বুঝারত, তসদিক বা অ্যাটেস্টেশন, খসড়া রেকর্ড প্রকাশনা, চূড়ান্ত প্রকাশনা। খসড়া প্রকাশনার সময় হয়তো রেকর্ডে কোনো ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। খসড়া পাবলিকেশন্স যাকে সংক্ষেপে ডিপি বলা হয়।

এ পর্যায়ে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা উত্থাপনের সুযোগ থাকে। কোনো ভূমির জরিপ চলাকালে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ৩০ ও ৩১ বিধিতে আপত্তি ও আপিলের সুযোগ রয়েছে। কোনো ভূমি জরিপের প্রকাশিত খসড়া খতিয়ান সম্পর্কে কারও কোনো আপত্তি বা দাবি থাকলে সরকার-নির্ধারিত ১০ টাকার কোর্ট ফি দিয়ে আপত্তি দায়ের করা যাবে। এটিই ৩০ বিধির আপত্তি। এই স্তরে সরকারি সেবা প্রদানে নিয়োজিত কর্মকর্তা হলেন সংশিষ্ট আপত্তি অফিসার বা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার বা উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসার। দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসরণে এটি একটি বিচারিক কার্যক্রম। পক্ষগণ নিজে অথবা প্রয়োজনে মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে নিজ নিজ দাবি আপত্তি অফিসারের কাছে উত্থাপন করতে পারেন। এই স্তরে দাখিলকৃত আপত্তি কেসগুলো নিষ্পত্তির জন্য সেটেলমেন্ট অফিসারের অধস্তন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের কাছে পাঠাবেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার নোটিশের মাধ্যমে বাদী-বিবাদীপক্ষকে হাজির করে পক্ষ-বিপক্ষের বক্তব্য শুনবেন ও বিশ্লেষণপূর্বক রায় প্রদান করবেন এবং অবশ্যই রায় মোতাবেক রেকর্ড সংশোধন করবেন।
আপত্তি কেসের রায় দ্বারা কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি রায় প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত ফি প্রদান করে সিনিয়র সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের কাছে ৩১ বিধিতে আপিল দায়ের করতে পারেন। আপিল অফিসার সংশিষ্ট পক্ষগণকে নোটিশ প্রদান করে এবং ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে শুনানির সুযোগ প্রদান করে আপিল নিষ্পত্তি করবেন।
আপিল রায় মোতাবেক প্রয়োজনে খতিয়ান সংশোধন করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.