আবার মধুচন্দ্রিমায় by ফেরদৌস ফয়সাল

বিয়ে করে স্বপ্ন দেখতাম মধুচন্দ্রিমায় ইউরোপে যাব। কিন্তু আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় দেশের ভেতরেই ভালো করে বেড়ানো হয়নি। আজ স্বপ্নপূরণ হলো। দ্বিতীয় হানিমুন করতে জেনেভা (সুইজারল্যান্ড) যাচ্ছি।’ জানালেন পন্ডস এজ মিরাক্্ল আয়োজিত ‘মাই সেকেন্ড হানিমুন’ প্রচারণায় প্রথম স্থান অধিকারী মুমতাজ আলিয়া আকবরি ও কাজী আবুবকর সিদ্দিকী দম্পতি।


১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
নিজেদের প্রথম মধুচন্দ্রিমার গল্প লিখে সাত সেরা লেখক জিতে নিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে মধুচন্দ্রিমার সুযোগ। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পন্ডস এজ মিরাকলের একটি প্যাকেট কিনে তার নম্বরসহ লেখা পাঠাতে হয়। দেশের নানা স্থান থেকে প্রচুর লেখা আসতে থাকে। বিচারকদের রায়ে বাছাই করা হয় সেরা ২৫ জনকে। সেই দম্পতিরা পান র‌্যাডিসন ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে রাতের খাবারের আমন্ত্রণ। আর সেরা সাতজন পান ইউনিলিভারের সৌজন্যে বিশ্বের সাতটি দর্শনীয় স্থানে মধুচন্দ্রিমার সুযোগ। এই স্থানগুলো হলো: প্যারিস, ভেনিস, জেনেভা, মালে, বালি, ফুকেট, লংকাউই।
শিল্পী দম্পতি তাহসান ও মিথিলার উপস্থাপনায় এ আয়োজনে গান করেন বাপ্পা মজুমদার, পার্থ বড়ুয়া ও ফাহমিদা নবী। অনুষ্ঠানে বিজয়ী দম্পতিরা গান, নাচ, নাটিকা, ফ্যাশন শোতে অংশ নেন। শুরুতে অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে দম্পতিরা মুখোশ পরে দুই সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। স্বামীরা নিজ স্ত্রীদের খুঁজে বের করে একসঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন।
পারসোনার আয়োজনে স্ত্রীরা পান মেকওভার। স্বামীদের প্রতি তাঁদের ভালোবাসার বার্তা নিয়ে আগেই ধারণ করা হয় একটি ভিডিও। তা এদিন প্রচার করা হয়।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরান বকর ও ব্র্যান্ড বিল্ডিং পরিচালক কে এস এম মিনহাজ । অনুষ্ঠানের মিডিয়া সহযোগী বাংলাভিশন ।
বিজয়ী যাঁরা
মুমতাজ আলিয়া আকবরি ও কাজী আবুবকর সিদ্দিকী: জেনেভা, ফাতেমা জাহাঙ্গীর ও এরশাদুর রহমান: ভেনিস, ফারজানা মান্নান ও সাইফুল্লাহ কায়সার: প্যারিস, ফারহানা আহমেদ ও কাজী ইমরোজ: মালে, আয়েশা নায়ার ও আরমান রশীদ: লংকাউই, জেসমিন মান্নান ও আহমেদ সালেহ: বালি, তাহসিন হোসেন ও ইমরান রেজা খান: ফুকেট।

No comments

Powered by Blogger.